শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

সুন্দরবনে উপড়ে পড়েছে ১২ হাজারের বেশি গাছ

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

সুপার সাইক্লোন আম্ফান সুন্দরবনে ৮ ঘণ্টা ধরে তান্ডব চালালেও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে ১২ হাজার ৩৫৮টি। এতে করে গাছের ক্ষতি হয়েছে ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৬০টাকার। মারা যায়নি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ কোনো বন্যপ্রাণী। ১০টি জলযানসহ অবকাঠামোর ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪০০ টাকা। সবমিলিয়ে আম্ফানের আঘাতে সুন্দরবনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২  কোটি ২৫ লাখ ৩২ হাজার ৪৬০ টাকা। সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে গঠিত ৪টি তদন্ত কমিটির দাখিলকৃত রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা  (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও খুলনার পশ্চিম সুন্দরবন     বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বশির আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সুন্দরবন বিভাগের এ দুই শীর্ষ কর্মকর্তার কাছে চারজন রেঞ্জ কর্মকর্তার জমা দেওয়া তদন্ত  রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগে আম্ফানের তা বে ১২ হাজার ৩৩২টি গেওয়া, গরান গাছ ভেঙে-উপড়ে গেছে। এর মধ্যে গরান গাছের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৯টি। আর বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগে গাছ ভেঙে-উপড়ে পড়েছে মাত্র ২৬টি। এই ২৬টি গাছ হচ্ছে বন অফিস চত্বরে বনায়ন করা নারকেল, তাল, ঝাউ, বট ও রেইনট্রি। সুন্দরবনে আম্ফানের তা বলীলায় ২৬টি জেটি ধ্বংস হয়ে গেছে। ৪৯টি ফরেস্ট অফিস ও ব্যারাকের চাল উড়ে এবং গাছ পড়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। হারবাড়িয়ায় একটি ওয়াচ টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রর হরিণ ও ডলফিনের  শেড ভেঙে ল ভ  হয়ে গেছে। পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের ১০টি জলযানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব বিভাগে ১৭টি ও পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের ২৩টিসহ ৪০টি পুকুর জলোচ্ছাসে লবণ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে সুন্দরবনে বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণীদের খাবার পানির উৎসে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। ২৪  মে রাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের দুই ডিএফও পৃথক ৪টি তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েই দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর