বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেছেন, ঢালাওভাবে লকডাউনের কোনো যুক্তি নেই। যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানেই কঠোরভাবে বিধি নিষেধ দেওয়ার পাশাপাশি আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আমি বললাম, কিন্তু কেউ মাস্ক পড়লো না, তা হবে না। মাস্ক বাধ্যতামূলক পড়তে হবে। না পড়লে কি ধরনের শাস্তি তা বলে দিতে হবে। প্রয়োজনে শাস্তি কার্যকর করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনে আলাপকালে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম একথা বলেন। আলাপচারিতায় তিনি বলেন, পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল কলেজও খুলে দিতে হবে। যারা স্কুল-কলেজে যাবে তাদের একজনও যেন মাস্ক ছাড়া না বের হয়। ফুটপাত দিয়ে যারা হাঁটবে তাদের অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে। কেউ না মানলে তাকে সোজা জেলে পাঠাতে হবে। আর্থিক দন্ডও নিশ্চিত করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, দেশজুড়ে এভাবে বিধি নিষেধ না দিয়ে নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত। একটা স্থানীয় পর্যায়ে বিধি নিষেধ, আরেকটি জাতীয়ভাবে বিধিনিষেধ। আমরা যদি একটি জেলাকে বিধি নিষেধের আওতায় নিয়ে আসি, তাহলে সেই জেলাকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেখানে পর্যাপ্ত টেস্ট করাতে হবে। যতগুলো মানুষকে পজেটিভ পাওয়া যাবে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তার পুরো ফ্যামিলিকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে আসতে হবে। না হলে তো শুধু বিধি নিষেধ দিয়ে লাভ হবে না তারা তো করোনা ভাইরাস ছড়াবে। সুতরাং কোয়ারেন্টাইন করে ফ্যামিলিকে আলাদা করতে হবে। ওই জেলার কেউ বাইরে চিকিৎসার জন্য তখনই যেতে পারবে যখন সেখানে আইসিইইউ থাকবে না। সেখানে চিকিৎসা হবে না। তখন অ্যাম্বুলেন্সে করে যেখানে আইসিইউ বা অন্যান্য সুবিধা আছে সেখানে যেতে পারবে।