নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের টেবিলে ৫০০-এর বেশি সুপারিশ জমা পড়েছে। ছয়টি বিষয়ে বেশি মতামত দিয়েছেন নাগরিকরা। আগামী ১৫ নভেম্বর সুপারিশ বা মতামত দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। তবে মতামত দেওয়ার সময় বাড়ানোর চিন্তা করছে কমিশন। সূত্র জানিয়েছে, কমিশন ইতোমধ্যে ১৪টি বৈঠক করেছে। ইমেইলে ১০৯, ওয়েবসাইটে ১৮৫, ফেসবুক পেজে ১৮২ এবং ফেসবুক মেসেঞ্জারে ৪৬টি মতামত এসেছে।
এর মধ্যে নির্বাচন পদ্ধতি; সংবিধান ও নির্বাচনি আইনি কাঠামো; প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা; নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, ক্ষমতা এবং সার্বিক বিষয়; ভোটের স্বচ্ছতা; নির্বাচনে সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার বিষয়ে বেশি মতামত দিয়েছেন নাগরিকরা। এসব মতামত গত ২২ অক্টোবর খেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে ব্যাপক সারা পাচ্ছি। মতামত দেওয়ার সময় হয়তো আমরা বাড়াতে পারি। কারণ যত মানুষ মতামত দেবেন; ততই ভালো। আমরা রাজনৈতিক দলসহ সব নাগরিকের কাছেই লিখিত সুপারিশ চাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা ৫০০-এর বেশি সুপারিশ পেয়েছি; আরও পাব। তিনি বলেন, যে সব সুপারিশ পেয়েছি, সেগুলোকে মোটাদাগে ছয়টি ভাগে ভাগ করেছি। আগামীতে হয়তো আরও বিষয় যুক্ত করতে হবে। এটা নির্ভর করবে আরও কী ধরনের সুপারিশ আসে তার ওপর।
নির্বাচন পদ্ধতি; সংবিধান ও নির্বাচনি আইনি কাঠামো; প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা; নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, ক্ষমতা এবং সার্বিক বিষয়; ভোটের স্বচ্ছতা; নির্বাচনে সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার বিষয়ে বেশি মতামত এসেছে।
অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিদ্যমান নির্বাচনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে মতামত চেয়ে গত ২২ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংস্কার কমিশন। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে আগ্রহী ব্যক্তিদের এই সংস্কার কাজের জন্য পরামর্শ, মতামত ও প্রস্তাবনা পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গত ৩ অক্টোবর ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’ গঠন করে। ৯০ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে আট সদস্যের এই কমিশনের। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ কমিশন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবার মূল্যবান পরামর্শ, মতামত ও প্রস্তাবনা জানতে আগ্রহী। এ পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ে সবাইকে তার অভিজ্ঞতালব্ধ ও সুনির্দিষ্ট মতামত ইমেইল অথবা ওয়েবসাইট অথবা কমিশনের ফেসবুক পেজে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পাঠানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে [email protected] ইমেইলে, https://erc.ecs.gov.bd ওয়েবসাইটে ও www.facebook.com/ercbd2024 ফেসবুক পেজে মতামত দেওয়া যাবে।