চট্টগ্রাম বন্দর পরিষেবার মাশুল (ট্যারিফ) গড়ে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধির এক সপ্তাহ পর কার্যকরের সময়সীমা এক মাসের জন্য পেছানো হয়েছে। গতকাল বন্দরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় বন্দর ব্যবহারকারীদের আপত্তির মুখে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এ ঘোষণা দেন। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ট্যারিফ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আরও এক মাস লিভ দেওয়া হচ্ছে। বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। চেয়ারম্যান রাজি আছেন। তার পরামর্শে আমরা রাজি হয়েছি, এক মাস পিছিয়ে দেব। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ধরনের সেবার মাশুল গড়ে ৪১ শতাংশ বাড়ানো হয়। পরদিন অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন মাশুল কার্যকর বলে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। ১৯৮৬ সালে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের সর্বশেষ মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর প্রায় ৩৯ বছর পর তা বাড়ানো হয়। তবে এই প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর বন্দর ব্যবহারকারীরা বিরোধিতা শুরু করেন। তারা দাবি করেন, এতে ব্যবসা-ব্যয় বাড়বে। ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বেড়ে যাবে পণ্যের মূল্য। কনটেইনার হ্যান্ডলিংসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের আমদানি-রপ্তানি খরচ বেড়ে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের ওপর চাপ তৈরি করবে। বন্দর ব্যবহারকারীরা মাশুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। গতকালের কর্মশালায়ও তারা নতুন মাশুল স্থগিতের দাবি তোলেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় বন্দরের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে শিপিং এজেন্টরা নতুন ট্যারিফ স্থগিতের আহ্বান জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এক মাস পর থেকে ট্যারিফ কার্যকর করা হবে বলে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এই এক মাস আগের ট্যারিফ আদায় করা হবে।