জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে আতঙ্কের নাম র্যাগিং। এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়রদের র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। যদিও অতীতের তুলনায় এবার র্যাগিংয়ের ঘটনা কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম রাশিদুল আলম।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে র্যাগিং দেওয়ার দায়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে শহীদ রফিক জব্বার হলের ৫২ ব্যাচের শুভজিৎ বিশ্বাস নামে একজনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনায় আরও ছয়জন শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্কতা করা হয়েছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ গত ২২ সেপ্টেম্বর ১ম বর্ষের (৫৪ ব্যাচ) নবীনবরণের দিনেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ক্লাসরুমে পরিচিত হওয়ার নামে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে একটি ‘র্যাগিংবিরোধী সেল’ গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ- জাকসু। জাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) আবদুর রশিদ জিতু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ক্যাম্পাসে আর কখনো গণরুম, গেস্টরুমের কালচার ফিরতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে আমরা র্যাগিংবিরোধী সেল গঠন করেছি। কোনো ছাত্রছাত্রী যদি র্যাগিং বা নির্যাতনের শিকার হয় অভিযোগ দিলেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম রাশিদুল আলম বলেন, ‘নতুন প্রশাসন আসার পর গত ১ বছরে ক্যাম্পাসে র্যাগিং, গণরুম, গেস্টরুমের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ক্যাম্পাসে গণরুম, গেস্টরুমের কালচার নেই বললেই চলে। এ বছর ছোটখাটো দুএকটি ঘটনার মৌখিক অভিযোগ পেলেও শেষমেশ শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে সমাধান করে নিয়েছে।’