কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে তারেক রহমানকে নেতা বানানোর রাজনীতি আমি করি না। তিনি বলেন, তবে বেগম খালেদা জিয়া তো তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি নেতা হতে পারেন। কিন্তু তারেক রহমান নয়। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আপনারা নিজেরাই চান না, এটা আজ পরিষ্কার। কারণ তাঁর মুক্তি হলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। আর তাহলে আপনাদের অনেকেরই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, নির্বাচনের আগে মনোনয়নের জন্য নয়াপল্টনের রাস্তা তিনদিন ধরে বন্ধ রাখতে পারেন। আর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য মাত্র এক ঘণ্টাও বন্ধ রাখতে পারেননি। এতেই বোঝা যায় যে, আপনারাই তাঁর মুক্তি চান না।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে অতিথি হিসেবে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, নাসরিন কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা ও প্রতিরোধ যুদ্ধ’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য তৎকালীন সেনা প্রধান কে এম শফিউল্লাহ এবং কর্নেল শাফায়াত জামিলের (মরণোত্তর) ফাঁসি দাবি করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্যে জিয়াউর রহমানকে দোষারোপ করা হয়। কিন্তু জিয়াউর রহমান তো সে সময় সেনা প্রধান ছিলেন না। সেনা প্রধান ছিলেন কেএম শফিউল্লাহ। তাকে যখন বঙ্গবন্ধু ৩২ নম্বর থেকে ফোন করে ১৫ আগস্ট রাতে বিপদের কথা জানালেন, তখন কেএম শফিউল্লাহ তাকে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। আর সেই শফিউল্লাহকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এমপি বানালেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বানালেন। আমি তার ফাঁসি দাবি করছি।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব