আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ক্ষমা পাবে না ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের কুশিলবরাও। এদেশের মানুষ বাংলার মাটিতে আর কোনও ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট হতে দেবে না।
বুধবার বিকালে মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতিহাস সাক্ষী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা করা। দীর্ঘ ২১ বছরে তারা দেশকে দিয়েছে জঙ্গিবাদ, শোষণ, নিপীড়ন। দেশ প্রেম হয়েছিল ভুলণ্ঠিত। বাংলাদেশ পেল র্দুনীতিগ্রস্থ রাষ্ট্রের তকমা।
সভার প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে হত্যার মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে নামতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড খুনি জিয়াউর রহমান, ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান।
আব্দুর রহমান বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতা বাবর বলেছে যার হুকুমে গ্রেনেড হামলা হল তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল, আর আমাদের হল মৃত্যুদ্ণ্ড। মুফতি হান্নানও ও একই কথা বলেছে। তারেক রহমানকে গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবনের বদলে ফাঁসির রায় দিতে হবে।
দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নজরুল ইসলাম বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম