করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি আমাদের যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছেন তা যথাযথভাবে পালন করলে আমি মনে করি আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।
আজ দুপুরে রাজধানীর বনানীর বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভোলা উপজেলা প্রায় ১৭শ ইমাম ও মুয়াজ্জিন এবং ১শ মন্দিরের পুরোহিতের মধ্যে খাদ্যখামগ্রী বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি গরীবের মাঝে আড়াই হাজার করে টাকা দিয়েছেন। ভোলার মানুষও এটা পেয়েছেন। আমরা বয়স্ক ভাতা দেই, বিধবা ভাতা দেই। বিভিন্ন সময় চাল দিয়েছি। অর্থ দিয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে। তিনবারে ত্রিশ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছি। আগামী ২০ ও ২১ তারিখে আরও ১০ হাজার মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করবো। যাতে তারা রোজা, ঈদ সুন্দরভাবে কাটাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতো রিলিফ দিয়েছেন। এতো অর্থনৈতিক সাহায্য করেছেন। যা অতীতে কোনও দিন হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে বলে আমার মনে হয় না। কৃষকের জন্য প্রনোদনা, ব্যবসায়ীদের জন্য প্রনোদনা এগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে আর কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
করোনা সংকট মোকাবিলায় ভোলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা সবাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছি। একইভাবে সারা দেশের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা ত্রাণ বিতরণ করছেন। আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাজনৈতিকভাবে যুদ্ধ করেছি রাজনৈতিক নেতা এবং কর্মীরা।
এই করোনাযুদ্ধেও যাকে যেখানে যে দায়িত্বই দেওয়া হোক না কেন। মূলত কাজগুলো করে যাচ্ছে জনপ্রতিনিধিরা।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, মধ্য দু-একজায়গায় যদি নিয়ম বরখেলাপ হয়। কেউ যদি অসাধু পন্থা গ্রহণ করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আরেকটা জিনিস মনে রাখবেন। আমরা যে রিলিফ দিচ্ছি এটা দলীয়ভাবে নয়। যারা গরীব, দুস্থ, দিন আনে দিন খায়, অনেক শ্রমিক আছে যারা গাড়ি-ট্রাক, লসিমন করিমন চালাতো এখন কাজ নাই, ঘাটের মাঝি, কুলি তাদের প্রত্যেকের ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা খুব সম্মানিত ব্যক্তি। আমি তাদের সম্মান করি। সবসময় পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করি। করোনাভাইরাসের কারণে অনেক সম্ভান্ত মানুষ, যারা কারও কাছে হাত পাতে পারে না। নিরবে নিভৃতে আমরা তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছি। কেউ কিছু মনে করবেন না। ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন দুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন