নারী ও কিশোরীদের নেতৃত্ব বিকাশের লক্ষ্যে ‘উইমেন লেড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স’ নামে নতুন একটি প্রকল্পের কাজ করতে যাচ্ছে ‘পার্টনার্স ইন হেলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি)। প্রাথমিক পর্যায়ে গাইবান্ধা জেলার তিনটি উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এগুলো যথাক্রমে- গাইবান্ধা সদর উপজেলার (গিদারী, কামারজানি ও মোল্লারচর), ফুলছড়ি উপজেলার (হলদিয়া, ভরতখালী ও ঘুড়িদহ) এবং সাঘাটা উপজেলার (গজারিয়া. ফজলুপুর ও ফুলছড়ি সদর)।
পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র অর্থায়নে-পিএইচডি এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
সোমবার এই লক্ষ্যে গাইবান্ধার এসকেএস ইন্ এর জলধারা হল রুমে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে ‘সেন্সিটাইজেশন এবং কন্সালটেশন’ শিরোনামে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
গাইবান্ধা জেলার পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুশান্ত কুমার মাহাতো, সিভিল সার্জন ডা.এ কে এম আক্তারুজ্জামান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জুয়েল মিয়া, সিনিয়র প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর ডেভিড সিমকুস, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহবুব-উল-আলম, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের চিপ অফ হেলথ্ ভিবাবেন্দ্র সিং রাঘুভানসি, পার্টনার্স ইন হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’র (পিএইচডি) পরিচালক প্রোগ্রাম, সাখাওয়াত হোসেনসহ গাইবান্ধা জেলা ও সংশ্লিষ্ট উপজেলার সরকারী ও বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন সহযোগী বেসরকারী সংস্থার কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য-উপাত্ত ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে, আগামী দিনগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে আমাদের নারী এবং কিশোরীরা আরও সংকটে পড়বে। সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন, এবং তৃণমূল পর্যায়ে নারীর নেতৃত্ব কার্যক্রম বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। প্রকল্পটি বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে সহায়তা করবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত