আওয়ামী লীগ বারবার দেশের ধ্বংস ও ক্ষতিসাধন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে দেশে নাকি বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন। তাদের নাকি এখন পয়সা নেই। তো ৪২ বিলিয়ন রিজার্ভ গেল কোথায়? আসলে তারা দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। এভাবে গোটা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম ও ব্যারিস্টার মীর হেলালের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুইয়া, মোস্তফা কামাল মজুমদার ও রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াত করেন কৃষিবিদ আব্দুর রহমান নূরী।
আরে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. এএস হায়দার পারভেজ, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, গোলাম হাফিজ কেনেডী, কামরুজ্জামান রতন, কাদের গণি চৌধুরী, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী, অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক, অধ্যাপক ড. শেখ মনির উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, ডা. একেএম মাসুদ আখতার জীতু, ডা. ফখরুজ্জামান ফখরুল, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম শিমুল, ড. খায়রুল ইসলাম, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, কৃষিবিদ কেএম সানোয়ার আলম, মিসেস শামীমা রাহিম, ডা. সাজিদ ইমতিয়াজ, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, রাকিবুল ইসলাম, আসিফ হোসেন রচি অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, মোস্তাফিজুর রহমানসহ জেডআরএফের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে। কারণ তিনি তো আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা থেকে দেশকে উদ্ধার করেছিলেন। সেজন্য মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম মাইলাম বলেছেন- যদি জিয়াউর রহমান মে মাসের আগে মারা যেতেন তাহলে আরও কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হতো। হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু জিয়াউর রহমান সেখান থেকে দেশকে স্বয়ংসম্পন্ন করে বিদেশে খাদ্য রফতানি করেছিলেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আশা জাগিয়েছেন। পথে পথে ঘুরে জনগণকে জাগিয়ে তুলেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হাতে কলমে কাজ করেছেন। তারই উত্তরসূরী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের পতাকা তুলে ধরে সারা বাংলা ঘুরে বেরিয়েছেন। নয় বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখনো তিনি গৃহবন্দী। পতাকা কিন্তু থেমে নেই। আজকে সেই পতাকা তুলে নিয়েছেন তাদেরই সন্তান তারেক রহমান। তিনি ৮ হাজার মাইল দূরে থেকেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দেশের জনগণ জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে আছি। আমরা টেকব্যাক বাংলাদেশ চাই। যেখানে গণতন্ত্র থাকবে। স্বাধীনতা থাকবে। যেখানে কোনো মা বোন ধর্ষিতা হবে না। সেই বাংলাদেশ আমরা ফিরে পেতে চাই। আজকে পঞ্চাশ বছর পর কোনো অধিকার ফিরে পেতে লড়াই করতে হবে? কারণ আওয়ামী সেই স্বপ্নক ধ্বংস করেছে। ১৯৭২ সালে বাচ্চাদের জন্য বিদেশ থেকে আনা দুধ ও কম্বল চুরি করেছে। সেজন্যই শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন সবাই কম্বল পেল তো আমার কম্বল কোথায়?
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত