জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের রক্ত চক্ষুকে পরোয়া না করে চিড়া-মুড়ি নিয়ে মাইলকে মাইল পথ হেঁটে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক জনতা সমাবেশ স্থলে হাজির হওয়া এবং রাতে পলিথিন বিছিয়ে মাথার নিচে ইট রেখে রাস্তায় এবং ফুটপাতে শুয়ে থাকার অভাবিত দৃশ্য ‘গণযুদ্ধ’ সূচনার ইঙ্গিত মাত্র। এটা রাজনীতির ময়দানে এক ভিন্ন বাস্তবতা হাজির করেছে এবং যা চিন্তার জগতে নাড়া দিচ্ছে। রাজনীতির বর্তমান খরায় এর তাৎপর্য বিশ্লেষণ করা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য জরুরি।
সোমবার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ শাজাহান এর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় (ভার্চুয়ালি) এসব কথা বলেন আ স ম আবদুর রব।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীনদের অত্যাচারে নিষ্পেষিত গণমানুষের মুক্তির আকাঙ্খাকে অনুধাবন করতে হবে। মানুষ অত্যাচার হাত থেকে মুক্তি চায়, মানুষ বন্দীদশা থেকে মুক্তি চায়। মানুষ রাষ্ট্র রাজনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন চায়।
এই ধরনের প্রতিশ্রুতিশীল গণশক্তির উত্থানের মাধ্যমেই রাষ্ট্র রূপান্তরের গণস্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা আজ দিবালোকের মত পরিষ্কার যে, পুরনো শেকেলে অতীতমুখী রাজনীতি আজকের বাস্তবতায় অচল।
আ স ম রব আরো বলেন, সরকার অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকারের বাড়াবাড়িতে জনগণ ফুঁসে উঠছে। জনগণ বিপদ আপদ উপেক্ষা করে প্রতিবাদ করতে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামতে শুরু করেছে।
আ স ম রব শ্রমিক কর্মচারীদের প্রতিনিধি নিয়ে মজুরি কমিশন ও পে কমিশন যুগোপযোগী করার দাবি জানান এবং জাতীয় সংসদসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান।
শিশু কল্যাণ পরিষদ, সেগুনবাগিচায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সভাপতি মোশারফ হোসেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জেএসডির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস. এম আনসার উদ্দীন।
বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান, নোমানুজ্জাম আল আজাদ, মহাসচিব, সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব নোমানুজ্জাম আল আজাদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সহ-সভাপতি এম. এ. আউয়াল ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন মিয়া।
সভাপতির ভাষণে মোশারফ হোসেন বলেন, মোহাম্মদ শাহজাহান ছিলেন শ্রমিক রাজনীতির প্রাণপুরুষ। জাতীয় মজুরি কমিশন গঠন, রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে শ্রমজীবীদের প্রতিনিধিত্ব প্রদান এবং শ্রমিক শ্রেণীর মুক্তির লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই মোহাম্মদ শাহজাহানের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
