আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের একটি খণ্ডিত অংশ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ারও কোনো কারণ নেই। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোটের বাক্স ভরা বা মিডনাইট ভোট প্রসঙ্গে সিইসি’র দেওয়া একটি বক্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যটা সঠিকভাবে উত্থাপন হয়েছে কি না জানি না। একটি খণ্ডিত অংশ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আমাদের দেশে প্রতিটি নির্বাচনের পরেই পরাজিত দল এবং পরাজিত প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করেন। তাই ইভিএম পদ্ধতি যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে কিন্তু আর ব্যালটের সংশ্লিষ্টতা থাকে না। ব্যালট নিয়ে প্রার্থী বা দলের যে অভিযোগ সেটা নিয়ে অভিযোগ করার যৌক্তিকতা থাকে না।
উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে দলীয় এমপিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে হানিফ বলেন, সংসদ সদস্যরা তাদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে স্থানীয় নির্বাচনী এলাকাগুলোতে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন আবারও প্রমাণ করেছে, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য তারা বদ্ধপরিকর। এ সময় বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিতে অনীহা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, উনি যদি নিজেকে সেই পরিমাণ অসুস্থ মনে না করেন তাহলে তো চিকিৎসা নিতে অনীহা প্রকাশ করবেনই। আমি যদি সুস্থ থাকি, আমাকে কেউ জোর করে চিকিৎসা দিতে চাইলে আমি কি নেব? আমি তো অনীহা প্রকাশই করব। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
