বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, দুই দফাতেই ৪০ জনের মতো প্রাণহানি, সহিংসতা, ভোট কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্যে ভোট প্রদানের হুমকি, প্রশাসনের চূড়ান্ত হস্তক্ষেপ ও টাকার খেলা যদি উৎসবমুখর পরিবেশের ভোটের চেহারা হয়, তাহলে নির্বাচন ব্যবস্থা কী পরিণতি নিয়েছে তা বোধগম্য। নির্বাচন কমিশন স্বীকার না করলেও তারা ইতিমধ্যেই নির্বাচনের দফা রফা করে দিয়েছেন। গতকাল বিকালে শেরপুর নালিতাবাড়ী করোনা প্রতিরোধে গঠিত কমরেড আবুল বাশার ব্রিগেডের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। শেরপুর ব্রিগেডের সমন্বয়ক রাজিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন, জাকির হোসেন রাজু, শরীফ শামশীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন, মুর্শিদা আখতার নাহার, রওশনারা বেগম রেখা প্রমুখ।
মেনন বলেন, এখন দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন প্রশাসনের কাঁধে দায় রাখতে চাচ্ছে। অথচ ভোটের সময় প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীন থাকে। কমিশনের হুকুম মানতে প্রশাসন বাধ্য। আর রিটার্নিং অফিসারদের আইনগত ক্ষমতাই আছে এসব নিয়ন্ত্রণ করার। নির্বাচনকে এই অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য নির্বাচন কমিশনই দায়ী। সামনের নির্বাচন কমিশনের যদি একই হাল হয় তাহলে গণতন্ত্রের জন্য বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। করোনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ভয় যে আবার ফিরে আসবে না তার নিশ্চয়তা নেই। আর সে কারণে শতভাগ টিকা আর মাস্ক পরিধানের বিকল্প নেই। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারও সময়ের দাবি।