নিখোঁজের চার দিন পর এক টেইলার্স মালিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম শাহজালাল (২৫)। গতকাল সকালে হাতিরঝিল লেকের মধুবাগ এলাকা থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ১৭ মার্চ দোকান বন্ধ করার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই টেইলার্স ব্যবসায়ী। স্বজনদের ধারণা, তাকে হত্যা করা হয়েছে। কীভাবে তিনি খুন হলেন সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আওলাদ হোসেন মামুন জানান, ওই যুবক বাড্ডার আনন্দনগর ঝিলপাড়ের টেইলার্সের দোকানি। তার দোকানের নাম শাহজালাল টেইলার্স। মেরুল বাড্ডার বৈঠাখালী মোড়ে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে। ১৭ জুলাই সকাল ৮টায় বাসা থেকে বের হয়ে তিনি দোকানে আসেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকান করার পর বন্ধ করে বাসার দিকে রওনা হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন তার নিখোঁজ থাকার বিষয়টি জানিয়ে পরিবার বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। কিন্তু কোনো হদিস মেলেনি। ওসি জানান, সকালে হাতিরঝিলে অজ্ঞাত হিসেবে শাহজালালের লাশটি উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে পরিবারের লোকজন শাহজালালকে শনাক্ত করেন। শাহজালালের লাশ কীভাবে হাতিরঝিলে এসেছে, কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সে রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। জানা গেছে, শাহজালালের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায়। পুলিশ বলছে, শাহজালাল হয়তো বাড্ডা এলাকায় খুন হতে পারেন। খুন হওয়ার পর খুনিরা লাশ হাতিরঝিল এলাকায় ফেলে যেতে পারেন। অথবা হাতিরঝিলে এসে তিনি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েও খুন হতে পারেন। তবে কোনোটিই এখনো পরিষ্কার নয়। যেহেতু হাতিরঝিল থানা এলাকায় লাশ উদ্ধার হয়েছে, তাই একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। আর যেহেতু নিহতের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড্ডা থানা এলাকার মধ্যে, তাই ওই এলাকা থেকে কীভাবে তিনি নিখোঁজ ছিলেন সে বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।
নিখোঁজের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, শাহজালালের মৃত্যুর রহস্য নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। হাতিরঝিল থানার পাশাপাশি বাড্ডা থানা পুলিশও কাজ করছে।