শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৪৬, সোমবার, ১৭ মে, ২০২১ আপডেট:

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন: বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ

ড. মোঃ আওলাদ হোসেন
অনলাইন ভার্সন
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন: বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ

১৭ মে। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘদিন বিদেশে নির্বাসিত থেকে, ১৯৮১ সালের এই দিনে, শেখ হাসিনা স্বদেশের পবিত্র মাটিতে ফিরেছেন। ঐদিন ঢাকায় প্রচণ্ড তাপদাহ ছিল। সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে সমবেত হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সাজসাজ রব। প্রচণ্ড গরমে মানুষের নাকাল অবস্থা। শেখ হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি যখন বাংলার আকাশে প্রবেশ করলো, আবহাওয়ার কারণে আকাশ তখন মেঘলা হয়ে আসলো। আল্লাহর অশেষ রহমতে অঝোরে বৃষ্টি নামল। সেদিন মানিক মিয়া এভিনিউতে সমবেত জনতা তাপদাহের পর বৃষ্টিতে ভিজে স্বর্গীয় সুখ ও শান্তি পেয়েছিল।

শেখ হাসিনা ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত পরহেজগার ও ধর্মপ্রাণ একজন মুসলিম নারী। এই উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য ইরাক থেকে আসা শেখ আব্দুল আউয়াল এর বংশধর শেখ হাসিনা, পাঞ্জেগানা নামাজসহ অন্যান্য নফল নামাজ নিয়মিত আদায় করেন, নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করেন এবং মহান আল্লাহর বাণী  আমল করার উদ্দেশ্যে বাংলা ভাষায় অনুবাদসমূহ নিয়মিত পাঠ করেন। তিনি আলেম-ওলামাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন এবং সাক্ষাতে সম্মানের সঙ্গে কথা বলেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক সফরকালে পথিমধ্যে ‌অবস্থিত ওলি-আউলিয়াদের মাজার জিয়ারত করেন এবং যথাযথ সম্মান করেন।

গত ০৯, ০৯, ২০২০ বুধবার, একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের মুলতবি অধিবেশনে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় সংসদ সদস্য ফকরুল ইমাম এক সম্পূরক প্রশ্নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট জানতে চেয়েছেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি খোঁজেন?” প্রশ্নোত্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভোরে ঘুম থেকে উঠেই আমি প্রথমে জায়নামাজ খুঁজি। সকালে উঠেই আগে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ার পর কোরআন তেলাওয়াত করি...”। 

এমনি একজন মহিয়সী নারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আমরা গর্বিত। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতির সম্মান বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আশির দশকে বাংলাদেশের রাজনীতি দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে যায়- স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিসমূহকে ঐক্যবদ্ধ করে শুরু করেন এক কঠিন সংগ্রাম, বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লড়াই। 

২০২০ সালে সারাবিশ্বের ২১৩টি দেশে নির্মম তাণ্ডব চালিয়েছে মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)। করোনা‘র প্রথম ঢেউয়ে (First wave) বিভিন্ন দেশ করোনা‘র সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মরিয়া হয়ে লকডাউনসহ নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। World Food Program (WFP) অনুমান করে বলেছিল, করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশে লকডাউনের কারণে শুধু শিল্প নয়, কৃষিতেও উৎপাদন কম হবে, ফলে বিশ্বে ৩ কোটি মানুষ অনাহারে মারা যেতে পারে। কিন্তু কৃষির ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি বিভাগের সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের কারনেই বাংলাদেশে খাদ্য সংকট হয়নি। WFP এর ভবিষ্যৎ বাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ফোর্বস ম্যাগাজিন করোনা মোকাবেলায় বিশ্বের দুইশতাধিক দেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ৭টি দেশের গৃহিত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে।

১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের নীলনকশার অবশিষ্টাংশ বাস্তবায়নে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য অসংখ্যবার চেষ্টা করলেও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। গত ১ মে, ২০২১ শনিবার বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে সৈয়দ বোরহান কবীর লিখেছেন- ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার এটা সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরতে গেলে দেখা যায় ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে, ২০০০ সালে গোপালগঞ্জে, ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে চারটি, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে চারটি হত্যা চেষ্টার কথা প্রকাশ হবার কথা জানা যায়।  

শেখ হাসিনার কয়েকটি হত্যা চেষ্টার মধ্যে-২০১১ সালে শ্রীলংকার একটি সন্ত্রাসবাদী দলের সাথে বাংলাদেশের শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য চুক্তি করে। এজন্য অগ্রিম টাকাও দেয়া হয়। শ্রীলংকার সেই সন্ত্রাসবাদী দলের আততায়ীদের টিম গাড়ি করে কলকাতা বিমানবন্দরে যাবার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে ভেস্তে যায় শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনাটি। এর পেছনে বিদেশে পলাতক এক বিএনপি নেতার নাম এসেছে।

জিয়া পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শরিফুল হক ডালিম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ জন অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য সামরিক অভ্যুত্থানের চক্রান্ত করে, যা উইকিলিকসের সৌদি আরবের এক গোপন বার্তায় প্রকাশ পায়। হংকংয়ে বসবাসরত এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ইসরাক আহমেদ এ পরিকল্পনায় অর্থায়ন করেন বলে গোপন বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১৪ সালের শেষদিকে প্রশিক্ষিত নারী জঙ্গিদের মাধ্যমে মানব-বোমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৫০ জন নারী ও ১৫০ জন যুবককে বিশেষ প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। এদের নেতৃত্বে ছিল ১৩ জঙ্গি দম্পতি। তবে প্রশিক্ষণরত অবস্থায়ই পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে ওই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়, যার পেছনে বিএনপির হাত থাকার অভিযোগ আছে।

এছাড়া ২০১৫ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে কারওয়ানবাজার এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে বোমা হামলার চেষ্টা চালায় জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যরা। কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণও ঘটায় তারা, যাদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি, খালেদা জিয়া তার পরিবারের সদস্যদের অনেকেই।’

তবে শেখ হাসিনাকে প্রথম হত্যা চেষ্টা করা হয় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। এ দিন চট্টগ্রাম মহানগরের লালদীঘির ময়দানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভা শেষে ফেরার পথে তাঁর গাড়িবহরে পুলিশ কতৃক ব্রাশফায়ার করা হয়। শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও ১১ জন দলীয় কর্মী এতে প্রাণ হারান। শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার সকল ষড়যন্ত্র থেকে মহান আল্লাহ আলৌকিকভাবে শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাংলার মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য। 

২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজের প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করা হচ্ছে। ২১ জুলাই জনসভাস্থলের অদূরে একজন চা'র দোকানদার পার্শ্বস্থ পুকুরে কেটলি ধোয়ার সময়, বৈদ্যুতিক তারের টুকরো কেটলিতে জড়িয়ে গেল। সেই তারের উৎসস্থল খুঁজতে গিয়ে জনসভাস্থলে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমার সন্ধান পাওয়া গেল। সেই সূত্রেই শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেল। মহান আল্লাহর ইচ্ছায়ই চা‘র দোকানদার ঐ সময় কেটলি ধুইতে গিয়েছিলেন এবং ঐ তারটি কেটলিতে জড়িয়ে গিয়েছিল। 

২০০৪ এর ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ট্রাকমঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। বক্তব্য শেষ করার কয়েক মূহুর্ত পূর্বে হামলাকারীরা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়লো। ট্রাকমঞ্চের যেই কর্নারে শেখ হাসিনা অবস্থান করছিলেন, ট্রাকের সেই কর্নারের বাহিরে সবগুলো গ্রেনেড বিস্ফোরিত হলো। সেখানে অবস্থানরত মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আইভি রহমানসহ অসংখ্য মহিলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী শাহাদাৎবরণ করেছিলেন। মহান আল্লাহর আশির্বাদে একটি গ্রেনেডও ট্রাকে বিস্ফোরিত হয়নি। গ্রেনেড নিক্ষেপকারীরা নিশ্চয়ই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিল। তা সত্বেও মহান আল্লাহর আলৌকিক ইশারায় সবগুলো গ্রেনেডই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। পরবর্তিতে শেখ হাসিনা ট্রাকমঞ্চ থেকে নেমে অকুস্থলে অপেক্ষমান বুলেটপ্রুফ গাড়িতে উঠার সময় উনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারীদের ছোড়া গুলিতে আত্মহুতি দিলেন শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী দলের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাহবুব সাহেব। আল্লাহর কি মহিমা, ঐ মাহবুব সেদিন ছুটিতে ছিলেন। তিনি হঠাৎ করে কাহারো নির্দেশনা ছাড়াই ঐ মূহুর্তে ওখানে হাজির হয়ে দেহঢাল তৈরি করে নিজের শরীরে গুলিটা গ্রহণ করলেন। মহান আল্লাহ শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখলেন।

১৫ আগস্ট ১৯৭৫, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসবেন। বঙ্গবন্ধুকে বরণ করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক আয়োজন চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। সংগত কারণেই তাঁর মনেও অনেক আনন্দ। কিন্তু তাঁর স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল জার্মানিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ৩০ জুলাই ১৯৭৫ ফ্লাইট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর মতিন চৌধুরীর অত্যন্ত স্নেহের ছাত্রী শেখ হাসিনা। তাই বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে উপাচার্য মহোদয়কে জানাতে গেলেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তিনি নিজের রচিত 'শেখ মুজিব আমার পিতা' গ্রন্থে বর্ননা করেছেন কিভাবে মহান আল্লাহ ১৫ আগষ্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে তাঁদের রক্ষা করেছেন। ঐ গ্রন্থের ৮০ ও ৮১ পৃষ্ঠায় শেখ হাসিনা লিখেছেন, "আমি দেখা করে বিদেশে যাওয়ার কথা বলায়, তিনি (উপাচার্য অধ্যাপক মতিন চৌধুরী) প্রথমে আমাকে নিষেধ করলেন। আমি ড. ওয়াজেদের সেখানে একাকিত্বের কথা বলায় তিনি বললেন, তাহলে যেন অন্তত কয়েকটা দিন আমি অপেক্ষা করে ১৫ তারিখের অনুষ্ঠানটির পরে রওয়ানা করি।...স্যারের অনুরোধে আমি ভীষণ দ্বিধায় পড়ে গেলাম। আমি ভাবতেও পারিনি যে তিনি আমাকে থেকে যেতে বলবেন। সুতরাং একটু অপ্রস্তুত হয়ে পরলাম।...

দ্বিধাগ্রস্ত মন নিয়েই বাসায় ফিরলাম এবং ফিরে এসেই মাকে স্যারের অনুরোধের কথাটা বললাম। কয়েকদিন আগে থেকেই আমার ছেলে জয়ের খুব জ্বর। সুতরাং থেকে যেতেই মনস্থির করে ফেললাম। কিন্তু সন্ধ্যায় ড. ওয়াজেদের ফোন এলো জার্মানী থেকে। আমি ওয়াজেদকে স্যারের নিষেধ এবং ১৫ তারিখে থেকে যাওয়ার ব্যাপারে আমার ইচ্ছের কথা জানালাম। আরও বললাম, একদিকে জয়ের জ্বর, অন্যদিকে ১৫ তারিখের অনুষ্ঠান, আমি খুব দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। উত্তরে আমার স্বামী জানালেন যে তিনি ইতিমধ্যেই ছুটি নিয়ে ফেলেছেন এবং বাজারও করে ফেলেছেন। অগত্যা আমি যাওয়াই স্থির করলাম। ৩০ জুলাই ঢাকা ছাড়লাম, ৩১ জুলাই জার্মানী পৌঁছলাম।...মাঝে মাঝে মনে হয়, সেদিন যদি স্যারের কথা অমান্য না করে ঢাকায় থেকে যেতাম...।"
৩০ জুলাই ১৯৭৫ শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে তাঁর স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল পশ্চিম জার্মানী গমন করলেন এবং সেখানেই অবস্থান করলেন। পরবর্তিতে ভারতে অবস্থান করেছিলেন।

১৫ আগষ্ট, ১৯৭৫ এর কালো রাতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ধানমন্ডি ৩২ নং বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে অবস্থানরত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সকল সদস্য ও অন্যান্য সকলেই শাহাদাৎ বরণ করেন, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান। এমনি আলৌকিক ভাবেই মহান আল্লাহ শেখ হাসিনাকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন।

মহান আল্লাহ শেখ হাসিনাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবেন, হয়তোবা সে কারণেই তাঁর দুই কন্যাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে।

শেখ হাসিনা ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেন এবং দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। সেই থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নিম্নআয়ের দেশের তালিকা থেকে উন্নীত হয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি সেক্টরের বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি। 

১৯৭১ সালে এ দেশে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি। বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। প্রতিনিয়তই দেশের আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমছে। বিশেষ করে আবাসন, শিল্পকারখানা স্থাপন, নগরায়ন, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও নদী ভাঙনের ফলে প্রতি বছর ৬৮ হাজার ৭০০ হেক্টর করে কৃষিজমি কমছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততার কারণে প্রতিবছর প্রায় ১৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, এছাড়া একই কারণে ফসলি জমিও কমছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা, বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা। কিন্তু মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উদ্বৃত্ত হলো। শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কৃষি বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেছে, কৃষিবিদদের পরামর্শ মোতাবেক কৃষকগণ মাটি চাষ করেছেন। কৃষকের চাষ করা জমিতে মহান আল্লাহ ফসল ফলনে বরকত দিয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো বাংলাদেশ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন-, ‘নির্জিব জমিন ওদের (মানুষের) জন্য একটি নিদর্শন, যাকে আমি সঞ্জীবিত করি এবং যা হতে জন্মাই শস্য যা ওরা খায়। ওতে আমি সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের উদ্যান এবং উৎসারিত করি প্রস্রবণ; যাতে ওরা ভক্ষণ করতে পারে এর ফলমূল যা ওদের হাতের সৃষ্টি নয়.... ‘(সূরা ইয়াসিন, আয়াত ৩৩, ৩৪, ৩৫)।

খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যই মহান শেখ হাসিনার শাসনকালে বছরগুলোতে আল্লাহর অশেষ রহমতে দেশে অনাবৃষ্টি নাই, অতিবৃষ্টি নাই, খরা নাই, রোগবালাই-এর আক্রমণ নেই বললেই চলে। যদিওবা কখনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা গেছে, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে শেখ হাসিনার দুরদর্শী নির্দেশনায় কৃষি বিভাগ সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ন্ত্রন করেছে। কক্সবাজারে পঙ্গপালের আক্রমণ করলেও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে সরকারের কৃষি বিভাগ পঙ্গপাল ধ্বংস করতে সমর্থ হয়েছে। এমনকি ফসল ঘরে তোলার আগে পর্যন্ত বন্যা বা হাওর এলাকায় অপ্রত্যাশিত ঢলও নেই। ১৯৯৮ সালে দেশব্যাপি ভয়াবহ বন্যা হলেও তাঁর দূরদর্শী পদক্ষেপে তা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। ধান কাটা শেষ হওয়ার এক/দুইদিন পর ঢল এসেছে। এই প্রাকৃতিক বিষয়সমূহ সবই মহান আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে। শুধু ধানই নয়, সবজি, আলু, মাছ, দুধ, ডিম, মাংস ফলমূল সবকিছুরই উৎপাদন বেড়েছে। সবকিছুই মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। এমনকি করোনাকালে রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সবই মহান আল্লাহর আশির্বাদ।

মহান স্রষ্টা অলি-আউলিয়ার বংশধর, ধর্মভীরু, অত্যন্ত পরহেজগার মুসলমান নারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশটাকে সাজানোর পরিকল্পনা করেছেন। আর সে কারণেই ১৯৮৮, ১৯৭৫, ২০০০ ও ২০০৪ এর আগস্টের হামলাসহ সকল বিপদ থেকে মহান আল্লাহ শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতেই মহান আল্লাহ বারবার সকল প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শুকরিয়া মহান আল্লাহর দরবারে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
সর্বশেষ খবর
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

২৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

মাঠে ময়দানে