সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০১৪-'১৫ অর্থ বছরে ২৫১ মিলিয়ন টার্গেট থাকলে গত জুন মাসেই তা অতিক্রম করে ২৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে গেছে। আমদানি-রপ্তানির হিসাব কষে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মাসুদুর রহমান জানান, বাংলাদেশ থেকে আমিরাতে রপ্তানি বেড়েছে শতকার ১৫ থেকে ১৮ ভাগ। দিন দিন এ খাতের উন্নতি হচ্ছে। চলতি অর্থ বছরে আমিরাত থেকে রেমিটেন্সও প্রেরণ করা হয়েছে ২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ৭০টিরও অধিক পণ্য আমিরাতে রপ্তানি হয়। এছাড়া বাংলাদেশের প্যাকেটজাত পণ্যের চাহিদা বাজারের বেশি থাকায় এসব পণ্য রপ্তানিও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চামড়াজাত পণ্য, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, আইটি সেক্টর গুলোতেও রপ্তানির একটি ভালো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে একান্ত সাক্ষাতে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে আমিরাতে ফুড এক্সপো-তে বাংলাদেশের সাতটি কোম্পানি ও ২০১৫ তে ২০টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। গলফ আইটি ও ফুড এক্সপোতে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে ভালো ফলাফল পাচ্ছে। পাশাপাশি শারজাহ এবং দুবাইয়ে যেসব এক্সপোগুলো হচ্ছে সেগুলোতেও ব্যাপক হারে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করতে হবে। ডিসেম্বরে আসছে অটম ফেয়ার। এতে গার্মেন্টসের সম্পৃক্ততা আছে। নির্ভরশীল ব্যবসা হিসেবে এতে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও আমিরাতে চার-পাঁচটি মেলায় বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণ করতে পারলে এক্সপোর্ট আরও বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইউএসডিএফ স্বীকৃতি পেলে বাংলাদেশের মেডিসিন কোম্পানিগুলোও আমিরাতের সাথে ব্যবসা করতে পারবে। মেডিসিন সেক্টরটা ইউএইতে প্রবেশ করতে পারলে অনেক বেশি লাভবান হবে।’
নতুন নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভবনা সৃষ্টি হওয়ায় ভবিষ্যতে রপ্তানির মাত্রা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা। তারা বাংলাদেশ প্রতিদিন কে জানান, ব্যবসায়ী ফোর্স ও ভাল উদ্যোক্তা হতে পারলে দেশের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে । দুবাই থেকে পণ্যের রি-এক্সপোর্ট হবার সুযোগ থাকায় আমিরাতের সঙ্গে ব্যবসা করার জায়গা অনেক। ব্যবসার সম্ভাবনাও বেশি। রপ্তানির বাজারে আমাদের চাহিদা বাড়াতে উদ্যোক্তাদের এ অঞ্চলের সঙ্গে ব্যবসা করার জন্যে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। দেরিতে হলেও ব্যবসায়ীরা বাজার ধরতে পারায় বছর বছর এর প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
তবে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আমিরাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের নিত্য নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে কিন্তু সে তুলনায় দেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হচ্ছেনা। স্বাভাবিক রীতিতে ব্যবসায়ীদের ভিসার প্রদান প্রক্রিয়া চালু করলে ও নৌ পথে যোগাযোগ বাড়ালে নতুন উদ্যোক্তারা যেমন উৎসাহ পাবে তেমনি রপ্তানি খাতে আরও অধিক লাভবান হবে বাংলাদেশ।’
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ জুলাই, ২০১৫/ রশিদা