যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় বলেছেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন বিফলে যায়নি। গত বছরের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হলে দেশ আবার স্বৈরশাসকদের কবলে পড়তো। ভুলুুণ্ঠিত হতো জনগণের অধিকার। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাংলাদেশকে আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগে নিয়ে যেতো। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৭ কোটি মানুষকে অন্ধকার থেকে টেনে বের করে আলোর পথে নিয়ে যাচ্ছেন।’
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্রীড়া উপমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সুসংহত করতে প্রত্যেক প্রবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের মধ্যে কোন ধরনের অনৈক্য থাকা চলবে না। অনৈক্য থাকলে একাত্তরের পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে’।
তিনি আরও বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত স্বাধীন-সার্বভৌম সোনার বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ গড়তে আমরা স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’।
প্রবাসীদের প্রত্যেককে একেকজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘প্রবাসীদের রেমিটেন্সেই বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত হয়েছে। এ কারণে শেখ হাসিনা এবং তার সরকার প্রবাসীদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী উদার।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে এ মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ বিশেষ একটি স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশের পরামর্শকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থা তৈরী হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষতাপূর্ণ নেতৃত্বের পরিপ্রেক্ষিতে।’
যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের আহবায়ক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ এবং আইরিন পারভিন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম এবং উপ-প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ জুলাই, ২০১৫/মাহবুব