নিউইয়র্ক কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-১৪ এর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো করটেজ (২৮) বাংলাদেশিদের সাথে মতবিনিময়কালে বললেন, ‘আমি আপনাদের মতোই খেটে খাওয়া একজন অভিবাসী। বলতে দ্বিধা নেই-আমি তোমাদেরই লোক। তাই নতুন অভিবাসী হিসেবে বাংলাদেশিরা কী ধরনের সমস্যার মধ্যে রয়েছেন, তা আমি ভালো করেই জানি। তেমন পরিস্থিতির অবসানেই কংগ্রেসে সদা সোচ্চার থাকবো।’
মার্কিন কংগ্রেসে চতুর্থ শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট যোসেফ ক্রাউলিকে ধরাশায়ী করে দলীয় মনোনয়ন লাভকারি আলেক্সান্দ্রিয়া এ সময় বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘নিউইয়র্ক সিটিতে বহু বাংলাদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। তাদেরকে নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে দলে দলে ভোট দিতে হবে। ভোটের হিসাব-নিকাষ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন প্রকল্প প্রদান করা হয়। বাংলাদেশিরাও যাতে তার ন্যায্য হিস্যা পান-সে ব্যাপারে আমি সজাগ থাকবো।’
দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর মার্কিন মিডিয়া কর্তৃক ‘উদীয়মান তারকা-রাজনীতিক’র খেতাবপ্রাপ্ত আলেক্সান্দ্রিয় বলেন, ‘অভিবাসী সমাজের পক্ষে কথা বলবো বলেই স্বার্থান্বেষী মহল এবং কর্পোরেশনের কাছে থেকে কোন চাঁদা নেইনি। খেটে খাওয়া মানুষেরাই আমরাই প্রেরণার উৎস’।
এ সময় কম্যুনিটি লিডার হাসানুজ্জামান হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে আলেক্সান্দ্রিয়া বলেছেন, ‘বাংলাদেশিরা আমার জন্যে যেভাবে খেটেছেন এবং এখনও সোচ্চার রয়েছেন, সে ঋণ আমি শোধ করবো তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার সুসংহত করার মধ্য দিয়ে। একইসাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গণবিরোধী সকল কর্মকান্ড রুখে দিতেও কংগ্রেসে সোচ্চার থাকবো।’
উল্লেখ্য, কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-১৪ এর ভোটারের ৭০% হলেন ডেমোক্র্যাট। তাই দলীয় প্রার্থী হিসেবে জয়ী হবার পর আর কোন সমস্যা থাকে না। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্যে নভেম্বরের ৬ তারিখ চূড়ান্ত নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
এ মতবিনিময় সভায় আরো ছিলেন বাংলাদেশি আমেরিকান এডভোকেসী গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ার কামাল ভূইয়া, ডা. এম বিল্লাহ, হুমায়ূন খান, ডা. ওয়াজেদ এ খান, আবু তাহের, খন্দকার ফারহাদ, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন