বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জমকালো অনুষ্ঠান করেছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ায় ডিপ্লোম্যাটিক কোয়ার্টার (ডিকিউ)-এ অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- মালয়েশিয়ার আর্মড ফোর্সের হেলথ সার্ভিসের ডাইরেক্টর জেনারেল দাতু ড. ইয়াকুব বিন কুমিং।
অনুষ্ঠানে আগত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের অভ্যর্থনা জানান- এয়ার কমডোর হুমায়ূন কবির ও তার সহধর্মিনী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুয়ালালামপুর রয়েল চুলান-এ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কেক কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার আর্মড ফোর্সের হেলথ সার্ভিসের ডাইরেক্টর জেনারেল দাতু ড. ইয়াকুব বিন কুমিং, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির।
এ সময় মালয়েশিয়াস্থ শ্রীলঙ্কার হাই কমিশনার এ জে এম মোজাম্মিল, মালদীপের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ফাহিম হাসান, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের পলিসি ও স্ট্রাটেজিক ডিভিশনের ডাইরেক্টর ড. সায়হামি মোহাম্মদ সায়হামি বিনহানি জাফরসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
এয়ার কমডোর হুমায়ূন কবির আনুষ্ঠানিক বক্তৃতায় বলেন, এই শুভ মুহূর্তে আমি যথাযথ সম্মানের সাথে স্মরণ করছি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি তিনটি সার্ভিসেসের জন্য পৃথিবীর পৃথিবীর তৎকালীন অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরনজামাদি অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছেন। তিনি একটি দক্ষ এবং কার্যকরী সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠার একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন। এখন, তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমাদের ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণ করে যাচ্ছি।
আমি গর্ববোধ করি যে আজকের যুদ্ধক্ষেত্রের যাত্রা শুরু করে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে আমাদের দক্ষতা প্রমাণ করার একটি অবস্থানের মধ্যে উপস্থিত হয়েছি।
পেশাদার ভূমিকা এবং কর্মের পাশাপাশি, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মানবিক সহায়তা এবং জাতি গঠন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে। বিশ্বব্যাপী গ্রামে থাকায় আমরা বিশ্ব শান্তি ও সাদৃশ্যের সাধারণ ভিত্তিতে সকলের সাথে সহযোগিতা করার জন্য সম্মানিত। সারা বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তির মিশন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বাহিনীগুলোর একটি হিসাবে অবস্থানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অবস্থান নিয়েছে।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়া সরকারের অব্যাহত সহযোগিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এয়ার কমডোর বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখতে আমাদের চলমান কূটনৈতিক প্রক্রিয়া বিদ্যমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুদেশের চলমান স্বার্থসংশ্লিষ্টতার নানা বিষয়ের মধ্যে প্রতিরক্ষাখাতে উপযোগী ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকার কাজ করে চলছে।
অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর সূচনা নিয়ে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনীর সমন্বয়ে একযোগে মুক্তিযুদ্ধে শত্রুর উপর আক্রমণের বিভিন্ন রণকৌশলের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মালয়েশিয়ার আর্মড ফোর্সের হেলথ সার্ভিসের ডাইরেক্টর জেনারেল দাতু ড. ইয়াকুব বিন কুমিংকে বিশেষ উপহার দিয়ে সম্মানিত করেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এবং এয়ার কমডোর হুমায়ূন কবির।
এ সময় বিভিন্ন দেশের অতিথিদের সঙ্গে বাংলাদেশ কমিউনিটি, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ পদস্থ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম