যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ-সমাবেশ হলো ২৫ এপ্রিল। নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে ক্ষুব্ধচিত্তে বলা হয়, ২০১৩ সালে কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত নতুন কোন আহবায়ক কমিটিও দেয়া হয়নি। এরইমধ্যে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি’র অনুমোদন দেয়ার পর সেই কমিটিকেই মূল কমিটি হিসেবে চালিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সকলে।
সভা চলাকালে সেখানে উপস্থিত হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, এটি উদযাপন কমিটি এবং এর মেয়াদ আপনা-আপনি শেষ হবে সামনের বছর মার্চে। সুতরাং এটিকে বিকল্প কমিটি ভাবার অবকাশ নেই।
তার পরও অনেকে অভিযোগ করেছেন, সেই ৫০১ সদস্যের উদযাপন কমিটিতেও অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীর ঠাঁই হয়নি। আবার অনেককেই যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। এ নিয়েও ক্ষোভ দেখান কেউ কেউ এই সভায়।
এক পর্যায়ে আব্দুস সালাম উল্লেখ করেন, বিএনপি বিরাট একটি সংগঠন। নিউইয়র্ক হচ্ছে বিএনপির ঘাঁটি। তাই এক হাজার জনের কমিটি হলেও কেউ না কেউ বাদ যেতেই পারেন। তবে এখন আমি চেষ্টা করবো ত্যাগী নেতার মধ্যে যাদের নাম ভুলে বাদ পড়েছে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে। এজন্যে তিনি সংশ্লিষ্টদের একটি তালিকা চেয়েছেন।
‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও ইফতার’ শীর্ষক ব্যনারে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ডা. মজিবর রহমান মজুমদার। সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম গিয়াসউদ্দিন এবং তাকে সহায়তা করেন সরোয়ার খান বাবু। স্বাগত বক্তব্য এবং উপস্থিত সকলকে পরিচয় করিয়ে দেন প্রতিষ্ঠাতা-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিলুপ্ত কমিটির অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির সংগঠক আকতার হোসেন বাদল। অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপবেশন ও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কাজী আজম, পারভেজ সাজ্জাদ, রাফেল তালুকদার, ফিরোজ আলম, রফিকুল মাওলা, এমরান শাহ রন, জাকির হাওলাদার, সোহরাব হোসেন। সাধারণ আলোচনায় আরো অংশ নেন রাব্বী মোহাম্মদ খোকন, আবুল হাসেম বুলবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান, জাতীয়তাবাদী ফোরামের নেতা এ কে এম রফিকুল ইসলাম ডালিম, জীবন শফিক, দেলওয়ার শিপন, হাসান মাহমুদ, আবিদুর রহিম, কাজী মনির, সৈয়দ এম রেজা, শ্রমিক দলের আবুল কালাম প্রমুখ।
বিএনপির সিনিয়র নেতা আব্বাস উদ্দিন দুলাল, আলী ইমাম, আমিনুল ইসলাম কচিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীর মধ্যে আরও ছিলেন আমজাদ হোসেন, গোলাম এম হায়দার মুকুট, মোহিতুল ইসলাম, সৈয়দ ফারুক, মজিবর রহমান স্বপন, মো. আশরাফ, আজিম হোসেন, হাজী দেলোয়ার, মাসুদ করিম মিলন, রুহুল আমিন, আব্দুর রহিম, আল আমিন, মোহাম্মদ ফরিদ। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনও এসেছিলেন অনুষ্ঠানে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা