শিরোনাম
শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দিগন্তজোড়া সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ

‘ফলন ভালো পেতে আমরা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। সেই সঙ্গে সরিষা খেতের পাশে মধু চাষ করাচ্ছি। এতে যেমন সরিষার ফলন বাড়ছে তেমন মধু উৎপাদন হচ্ছে।’

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

দিগন্তজোড়া সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ

ঝিনাইদহে দিগন্তজুড়ে সরিষার হলুদ ফুলে ফুলে ভরে গেছে মাঠ। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। মাঠজুড়ে যেন বিছানো রয়েছে হলুদ গালিচা। রঙের পাশাপাশি সরিষার হলুদ ফুলের গন্ধ মাতিয়ে দিয়েছে পুরো এলাকা। রং আর সুবাসে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সৌন্দর্যের নান্দনিক রূপে। সদর উপজেলার মিয়াকুন্ডু গ্রামের মাঠের মতোই ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠ এবার কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ফসলের মাঠ ছেয়ে গেছে সরিষার হলুদ ফুলে। সেই সঙ্গে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।

কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলায় ৯ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১১ হাজার ১০২ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আবাদ বেশি হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিমিত পরিচর্যার কারণে ফলনও ভালো আশা করছেন কৃষকরা। সদর উপজেলার মিয়াকুন্ডু গ্রামের কৃষক মনু মিয়া জানান, এবার ঝড়-বৃষ্টি হয়নি। যে কারণে সরিষার কোনো ক্ষতি হয়নি। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ফলন ভালো হবে বলে আমরা আশা করছি।

একই গ্রামের কৃষক তুষার হোসেন জানান, গত বছর বৃষ্টির কারণে সরিষা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। আগামীতে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ৪৬ শতকের বিঘায় আমরা ১০ থেকে ১১ মণ ফলন পাব বলে আশা করছি। কৃষক জহির মিয়া জানান, এবার সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সরিষার বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। যেই কারণে এবার সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। তেলের যে দাম কিনে খাওয়ার মতো অবস্থা নেই। এবার সরিষার ফলন হলে সয়াবিন তেলের ওপর আমরা আর নির্ভর করব না। আমরা এবার নিজেদের জমির উৎপাদিত সরিষার তেল দিয়েই সারা বছর চলব। সরিষা আবাদে আমাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আজগর আলী জানান, সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বছর কৃষকদের পর্যাপ্ত সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। ফলন ভালো পেতে আমরা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। সেই সঙ্গে সরিষা খেতের পাশে মধু চাষ করাচ্ছি।  এতে যেমন সরিষার ফলন বাড়ছে তেমন মধু উৎপাদন হচ্ছে। আমরা এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষা পাব বলে আশা করছি।

সর্বশেষ খবর