অসহায় আত্মসমর্পণ কলকাতা নাইট রাইডার্সের। সহজ জয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। ৩৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পুণের মুখোমুখি রোহিতের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
টস জিতে কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শুরু থেকেই ধাক্কা খেতে শুরু করে কলকাতার ব্যাটিং। মুম্বাই বোলিংয়ের কাছে রীতিমতো ধরাশায়ী কলকাতা। ওপেন করতে এসে মাত্র ৪ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান ক্রিস লিন। আর এক ওপেনার সুনীল নারিনও ভরসা দিতে পারেনি কলকাতা ব্যাটিংকে। ১০ বলে ১০ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান তিনি। তিন নম্বরে নেমে অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর ফেরেন ১২ রানে। রবিন উথাপ্পাও ১ রানে ফেরেন। এর পর কেকেআর-এর হাল ধরতে একটু লড়তে দেখা যায় ইশাঙ্ক জাগ্গিকে। তাকে যোগ্য সঙ্গত সূর্যকুমার যাদবের। গ্র্যান্ডহোম কোন রান না করেই ফেরেন প্যাভেলিয়নে। এর পর পীযূষ চাওলার সংযোজন ২, কুল্টার নাইল ৬ রান করে আউট হন।
মুম্বাইয়ের হয়ে বল হাতে বাজিমাত কর্ণ শর্মা ও যশপ্রীত বুমরাহর। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কর্ণ শর্মা। বুমরাহ ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। একটি মেডেন। জোড়া উইকেট নেন মিচেল জনসন। মালিঙ্গা অঙ্কিত রাজপুতকে ফেরাতেই শেষ হয়ে যায় কেকেআর-এর ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে এসে ১৪.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ব্যাট হাতে শুরুটা তেমন ভাল করতে পারেনি মুম্বাই। দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ৩ ও পার্থিব পটেল ১৪ রান করেই ফেরেন প্যাভেলিয়নে। তিন নম্বরে নেমে ব্যর্থ অম্বাতি রায়াডু। মাত্র করেন ৬ রান। এর পর মুম্বাই ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতা মাঠে নামেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (২৬) ও ক্রুনাল পাণ্ড্য (৪৫-অপরাজিত)। এই দু’জনের ব্যাটেই জয় লেখা হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। কলকাতার হয়ে জোড়া উইকেট নেন পীযূষ চাওলা। একটি করে উইকেট উমেশ যাদব ও কুল্টার নাইলের।