তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের বোলিং তাণ্ডবে ধুঁকছে আফগানিস্তান।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৬ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শরিফুল ইসলামের হাত ধরে উড়ন্ত শুরু হয় টাইগারদের। নিজের প্রথম ওভারে এক রান দেওয়া শরিফুল উইকেটের দেখা পান দ্বিতীয় ওভারে। প্রথম বলেই তার বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন ইবরাহিম। ১ রানে বিদায় নেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে একই কাজ করেন ব্যাট করতে নামা রহমত শাহ। বল তালুবন্দি করতে ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। শূন্য রানেই বিদায় নেন আফগান ব্যাটার।
৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া আফগানরা বড় ধাক্কা খায় ষষ্ঠ ওভারেই। এরপর তাসকিনের শিকার হয়ে ফেরেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সফরকারীদের ম্যাচ জেতানো গুরবাজ। তাসকিনের লাফিয়ে উঠা বল তার ব্যাটের কানায় লেগে জমা হয় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৬ রান করেছেন গুরবাজ।
অষ্টম ওভারে আবার আঘাত হানেন শরিফুল। এবার এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবিকে। তার গুড লেংথের বল শাফল করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি নবি। বল সোজা গিয়ে আঘাত হানে তার প্যাডে। ফলে ১ রানেই ফিরতে হয় তাকে। মাত্র ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানরা লজ্জার এক রেকর্ডও গড়ে। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এতো কম রানে কখনোই চার উইকেট হারায়নি তারা।
১০ ওভারের পর দুই প্রান্ত দিয়েই স্পিন আক্রমণ করে বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারে গিয়ে উইকেটের দেখা পান সাকিব আল হাসান। তার লেংথ বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন ১০ রান করা নাজিবউল্লাহ জাদরান। তাইজুল ইসলাম ২ ওভার বল করে ৭ রান দিয়ে নেন এক উইকেট।
টানা দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান। আজকের ম্যাচটি হাতছানি দিচ্ছে রশিদ খান, মুজিব উর রেহমানদের ইতিহাস গড়ার। যদি জিতে যায়, তাহলে প্রথমবারের মতো টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত