মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

ডিসকভারির দুঃসাহসিক অভিযাত্রী

মাইকেল হক

ডিসকভারির দুঃসাহসিক অভিযাত্রী

৪৯ বছর বয়সী সাবেক এই আর্মি অফিসারের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বরের এক শান্ত দিনে। তবে তা হলে কী হবে, ছোটবেলা থেকেই দুর্দান্ত সাহসী এই মানুষটিকে যেন কোনোভাবেই শান্ত করে রাখা সম্ভব নয়। তাই জীববিজ্ঞানে স্নাতক আর মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর সোজা ঢুকে পড়েন সামরিক বাহিনীতে। দুঃসাহসিক বিভিন্ন কাজকর্মের ভিতর দিয়ে কুড়িয়ে নেন প্রচুর বাহ্বা। কাজ করেন একের পর এক মোট ১২ বছর আফ্রিকা, কলম্বিয়ার মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোয়। শুধু তাই নয়, নিজের পারদর্শিতা আরও বাড়িয়ে তুলতে প্রশিক্ষণ নেন আইকাইডো এবং জুডোর ওপর। ব্ল্যাক বেল্ট অর্জন করে তবেই শান্তি মেলে তার। কিন্তু এটুকু মাইকেলের জীবনের প্রথমটুকুরই কিছু অংশ। তার বর্তমান পরিচিতির প্রথম ধাপ শুরু হয় সামরিক বাহিনী ছেড়ে লেখক আর অভিনেতা হিসেবে কাজ করার পর। যেন একেবারে নতুন করে জন্ম হয় তার। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল অব্দি মাইকেল রচনা করেন মোট চারটি বই। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে 'দ্য কুইক অ্যান্ড ডার্টি গাইড টু লার্নিং ল্যাঙ্গুয়েজ ফাস্ট', 'হউকস গ্রিন বেরেট সারভাইভাল ম্যানুয়াল', 'ইন দ্য ডার্ক অব দ্য সান'। তবে এতসবের পরেও মাইকেল একেবারেই অসহায় হয়ে পড়বেন যদি না তার অত্যন্ত চমকপ্রদ আরেকটি পরিচয় না দেওয়া হয়। আর তা হলো তিনি একজন অভিনেতা। অসাধারণ এই টিভি ব্যক্তিত্ব অভিনয় করেন ম্যান, ওম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড (২০১১-১২ ) এবং ওয়ান ম্যান আর্মি (২০১১-১২ ) নামক দুটি অনুষ্ঠানে; যা তাকে এনে দেয় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি। এ ছাড়াও মাইকেলের ক্যারিয়ারে রয়েছে অভিনয় জগতের আরও কিছু দুর্দান্ত কাজের সানি্নধ্য। ২০১৩ সালে তিনি কাজ করেন এলিট ট্যাকটিক্যাল ইউনিটে। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন লস্ট সার্ভাইভারসে। এ ছাড়া মাইকেলের ঝুলিতে রয়েছে ডার্টি স্যাচেজের মতো ছবি। ১৯৯৮ সালে প্রথম টেলিভিশনে কাজ করতে শুরু করা মাইকেলের এ ছাড়াও রয়েছে কিছু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

 

 

সর্বশেষ খবর