শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

সমুদ্রে নিখোঁজ জাহাজ

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
সমুদ্রে নিখোঁজ জাহাজ

অনেকে মাঝসমুদ্রে অতি প্রাকৃত ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। সমুদ্রপথে অদৃশ্য হওয়া জাহাজের রহস্যঘেরা কাহিনিও কম দেখা যায়নি। এমন কয়েকটি বিস্ময়কর নিখোঁজের কাহিনি আছে, যা মানবসভ্যতাকে কেবল অবাকই করেনি, করেছে কৌতূহলীও।  অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এমন কয়েকটি জাহাজ নিখোঁজের ব্যাখ্যা দিতে পারেনি কেউই...

 

সিনকো চাগাস

সমুদ্রতলে হারিয়ে যাওয়া ধন

সিনকো চাগাস; পর্তুগিজদের পালতোলা জাহাজ। যা স্থানীয়দের কাছে ‘নাউ’ নামে পরিচিত। ভারতের গোয়ায় জাহাজটি নির্মাণ করা হয়। ধারণা মতে, পর্তুগিজ নাবিক সিনকো চাগাসের নামানুসারে এর নামকরণ হয়েছিল। ১৫৯৩ সালে গোয়া থেকে প্রথমবার সমুদ্রযাত্রা করে সিনকো চাগাস। এক বছর পর, ১৫৯৪ সালে ১২০০ টন ওজনের জাহাজটি ভারতের গোয়া থেকে ৩৫ লাখ পর্তুগিজ ক্রুজাডোর এবং নানবিধ পণ্যসম্ভার নিয়ে লিসবনের উদ্দেশে যাত্রা করে; সঙ্গে ২২টি সিন্দুকে ভরা ছিল- অসংখ্য হিরা, মাণিক এবং মূল্যবান রত্নপাথর। যার বাজারমূল্য হাজার কোটি ডলারের বেশি। গিজমোডোরের এক প্রতিবেদন অনুসারে, আকারে প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা এবং ৪৫ ফুট চওড়া। যা ছিল সে সময়ের বিশাল জাহাজ। পর্তুগিজ জাহাজটিতে এক হাজারের বেশি লোক বহন করা হতো। যাদের মধ্যে ৪০০ জন দাসও ছিল। জাহাজের নাবিকরা একে নিয়ে পর্তুগিজ জলসীমায় ফিরে আসে ঠিকই; কিন্তু পথিমধ্যে অ্যাংলো-স্প্যানিশ যুদ্ধের (‘অ্যাকশন অফ ফায়াল’) কারণে ফায়াল দ্বীপে আটকা পড়ে। দিনটি ছিল- ১৫৯৪ সালের ১৩ জুলাই, ব্রিটিশ তিনটি জাহাজ- মে-ফ্লাওয়ার, রয়্যাল এক্সচেঞ্জ এবং স্যাম্পসন পর্তুগিজ জাহাজটিতে হামলা করে। আকস্মিক আক্রমণে জাহাজে আগুন ধরে যায়। যদিও পরবর্তীতে জাহাজটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফেরে ঠিকই, কিন্তু পর্তুগালের অ্যাজোরেসের উপকূলে প্রায় ২০০০ কোটি ডলার মূল্যের ধনসম্পদ এবং মালামাল নিয়ে সমুদ্রের তলদেশে চিরতরে হারিয়ে যায়।

জানা গেছে, ডুবে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই জাহাজ প্রায় দুই দিন ব্রিটিশ নৌ-সেনাদের আক্রমণের শিকার হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ধনসম্পদ নিয়ে সমুদ্রতলে হারিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোর মধ্যে অন্যতম এই সিনকো চাগাস, যার সন্ধান আজো বিশ্ববাসী পায়নি।

 

দ্য মার্চেন্ট রয়্যাল

দ্য এলডোরাডো অব দ্য সি

ব্রিটিশ বণিক জাহাজ, মার্চেন্ট রয়্যাল। এক সময় এর মাধ্যমেই তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাণিজ্য করত। ১৬২৭ সালে ব্রিটিশ জাহাজটি প্রথমবার সমুদ্রপথে যাত্রা করে। কিন্তু দেড় দশক না পেরুতেই, এটি সমুদ্রে হারিয়ে যায়। ১৬৩৭ থেকে ১৬৪০ সাল পর্যন্ত দুই বছরের বেশি সময় এটি বাণিজ্যে ব্যস্ত সময় পার করে। ১৬৪০ সালে ব্রিটিশ জাহাজ ডোভারকে সঙ্গে নিয়ে মার্চেন্ট রয়্যাল স্পেনের উপনিবেশ অঞ্চলে পাড়ি দেয়। উদ্দেশ্য- লন্ডনে ফেরা। কিন্তু পথিমধ্যে জাহাজে কয়েকটি সমস্যা দেখা দেয়। বেশ খারাপভাবেই ফুটো হয়ে যায় জাহাজের তলা। এজন্য অবশ্য নাবিকরা কার্ডিজের বন্দরে যাত্রা বিরতিও করেছিল। দ্রুত সমস্যার সমাধানও করা হয়। এক বছর পর, ১৬৪১ সালে জাহাজটি সফল বাণিজ্যিক সফর শেষে লন্ডনে ফিরছিল। এবারও আকস্মিকভাবে জাহাজের একই স্থানে ফুটো হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, যা এই জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু নাবিকরা জাহাজের খারাপ পরিস্থিতি দেখেও মার্চেন্ট রয়্যালকে নিয়ে আবারও বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এবার বণিক জাহাজটির পণ্যসম্ভারে ছিল বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও রৌপ্য। তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, তৎকালীন সময় ওই জাহাজে অন্তত এক লাখ পাউন্ড স্বর্ণ, চারশ’ মেক্সিকান রৌপ্য বার এবং পাঁচ লাখেরও বেশি অন্যান্য দেশের মুদ্রা ছিল। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি ডলার। তবে এবার শেষ রক্ষা হয়নি। ফলাফল, যা হওয়ার তাই হলো। ইংল্যান্ডের ল্যান্ডস এন্ডের উপকূলে এসে ব্রিটিশ বণিকদের এই জাহাজটি ডুবে গেল। আশ্চর্যের বিষয় হলো- জাহাজের শেষ অবস্থান জানা সত্ত্বেও আজো কেউ এর সন্ধান পায়নি। তখন থেকেই মার্চেন্ট রয়্যাল চিরতরে হারিয়ে গেছে। ২০১৯ সালে, এক অনুসন্ধানে জাহাজের নোঙ্গরটি পাওয়া যায়। জাহাজের বাকি অংশগুলো আজো অনুসন্ধানকারীদের অধরা রয়ে যায়।

 

দ্য সান্তা মারিয়া

কলম্বাসের আমেরিকা যাত্রার সঙ্গী

সান্তা মারিয়া; বিখ্যাত একটি নাম। আমেরিকার উদ্ভাবক ক্রিস্টোফার কলম্বাসের জাহাজগুলোর একটি, যার মাধ্যমে তিনি ১৪৯২ সালে আমেরিকা আবিষ্কারের প্রাথমিক সমুদ্রযাত্রায় ব্যবহার করেছিলেন। এটি কলম্বাসের তিনটি জাহাজের একটি, যার মাধ্যমে তিনি অভিযানে গিয়েছিলেন। ‘সান্তা মারিয়া’ ছাড়াও কলম্বাসের আরও দুটি সহকারী জাহাজ ‘নিনা’ ও ‘পিন্তা’য় চড়ে আমেরিকা আবিষ্কার করেন। বলা হয়, ১৪৯২ সালের আগস্ট মাসে ক্রিস্টোফার কলম্বাস তিনটি জাহাজ নিয়ে স্পেন ত্যাগ করেন। জাহাজ তিনটির মধ্যে ‘নিনা’ ও ‘পিন্তা’ ত্রিভুজাকার পালতোলা ছোট জাহাজ। অন্যদিকে ‘সান্তা মারিয়া’ ছিল বাকি দুটোর চেয়ে বেশ বড়। জাহাজগুলো ছোট ছিল ঠিকই, তবে এগুলো ছিল ১৫ থেকে ৩৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা। এই জাহাজগুলোয় চড়ে ৯০ জন ক্রু নিয়ে কলম্বাস স্পেন ত্যাগ করেছিলেন। ধারণা করা হয়, শীতকালে বড়দিনের সময় একজন কেবিন ক্রু ছেলে ‘সান্তা মারিয়া’র হাল ধরেছিল এবং সে সময় অভিজ্ঞ নাবিক ও ক্রু সদস্যরা ঘুমিয়েছিলেন। এদিকে জাহাজ চালানো কিংবা নিয়ন্ত্রণের কোনোই অভিজ্ঞতা ছিল না ক্রু ছেলেটির। ফলাফল, ‘সান্তা মারিয়া’ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জাহাজটি যখন হাইতি উপকূলের কাছাকাছি আসে, তখন সাগরতলের পাথর বা প্রবাল প্রাচীরে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি তাৎক্ষণিক সাগরের অতলে তলিয়ে যায়। যদিও সে সময় বিপদ আঁচ করতে পেরে ‘সান্তা মারিয়া’র ক্রুরা জাহাজের কার্গোটিকে অন্য একটি অফবোর্ডে (ছোট নৌকা) নিয়ে যেতে সক্ষম হন। সেই থেকে আজো সাগরতলে সান্তা মারিয়া। উদ্ধারকারীদের ধারণা, জাহাজটি আজো হাইতি উপকূলের সমুদ্রতলের বালুর নিচে চাপা পড়ে আছে। সম্ভবত এটি আর কখনই উদ্ধার করা যাবে না। দুঃখজনক হলেও সত্য,  অন্য জাহাজ দুটি সান্তা মারিয়ার আকারের অর্ধেকেরও কম, তবুও ঝড়ের কাছাকাছি নানা বিপর্যয় সত্ত্বেও জাহাজ দুটি নিরাপদে স্পেনে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে।

 

বনহোম রিচার্ড

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জয়ের সঙ্গী

বনহোম রিচার্ড, একটি বিশেষ রণতরী। গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের বিপ্লবকালে সমুদ্রের রণতরী হিসেবে এই জাহাজের ব্যবহার দেখা গিয়েছিল। ১৭৬৬ সালে ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই রণতরীটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ফ্রান্সের রাজা লুইস-১৬ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জাহাজটি কিনেছিলেন। ১৭৭৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজা লাইস-১৬ ক্যাপ্টেন জন পল জোন্সকে রণতরীটি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্যারিসের আমেরিকান কমিশনার বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিনের সম্মানার্থে ক্যাপ্টেন জন ‘বনহোম রিচার্ড’-এর নাম পরিবর্তন করেন। বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন নিজে ফ্রান্সের বিখ্যাত পঞ্জিকায় ‘লেস ম্যাক্সিমেস ডি বনহোম রিচাড’ শিরোনামে একটি লেখাও প্রকাশ করেছিলেন। এরপর ক্যাপ্টেন জন প্রাক্তন ফরাসি রণতরী প্যালাস এবং ব্রিগ ভেঞ্জেন্স-এর সমন্বয়ে গঠিত দলের প্রধান হয়ে ওঠেন। একই বছরের  আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে তারা ১৬টি ব্রিটিশ নেভী জাহাজ এবং বানিজ্যিক জাহাজ দখল করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর বনহোম রিচার্ড নিয়ে ক্যাপ্টন জন ব্রিটিশ নেভির জাহাজ এইচএমএস গ্রেটপিস এবং এইচএমএস কাউন্টেসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। ব্রিটিশ জাহাজগুলো সে সময় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন রিচার্ড পিয়ারসন। ব্রিটিশদের হামলায় বনহোম রিচার্ডে আগুন ধরে যায়।  শত্রুর রণতরীতে আগুন ধরায়, ক্যাপ্টেন রিচার্ড পিয়ারসন শত্রুপক্ষকে আত্মসমর্পনের আহ্বান জানান। উত্তরে ক্যাপ্টেন জোন্স বলেন, ‘আমি এখনও যুদ্ধ শুরু করিনি’। পরের সাড়ে চার ঘণ্টা যুদ্ধে ব্রিটিশরা পরাজিত হয়। জয়ী হওয়ার ঠিক দুইদিন পর বনহোম রিচার্ড ফেরার পথে সমুদ্রের গভীর জলে তলিয়ে যায়।

 

মেরিন সালফার কুইন

রহস্য হয়ে রইল মেরিন কুইন

আমেরিকান তেলবাহী টি২ ট্যাঙ্কার এসএস মেরিন সালফার কুইন। ১৯৪৪ সালে পেনসিলভানিয়ায় বিশালাকৃতির জাহাজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যার কাজই কেবল তেল বহন। মেরিন কুইন জাহাজটি ৫২৪ ফুট দীর্ঘ, যার ওজন ১৫ হাজার টন। ১৯৬০ সালে, এই জাহাজে খানিকটা পরিবর্তন আনা হয়। উদ্দেশ্য, লিক্যুইড সালফার বহন। জলপথে এই সালফার পরিবহনের জন্যই এই জাহাজের নকশা করা হয়েছিল। হয়তো, এটাই ছিল কতৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্ত। যাইহোক, এর তিন বছর পর ১৯৬৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ছিল মেরিন কুইনের শেষ যাত্রা। সেদিন সালফার পরিবাহী জাহাজটি টেক্সাস থেকে নরফোক, ভার্জিনিয়ায় যাওয়ার পথে অদৃশ্য হয়ে যায়। আর গন্তব্যে ফেরেনি। নিখোঁজ হওয়ার সময়, জাহাজটি তার সঙ্গে ৩৯ জন নাবিক এবং ক্রু সদস্যেরও জীবন নিয়েছিল। হঠাৎ নিরুদ্দেশ্য হওয়ার পেছনে খারাপ আবহাওয়াকে দায়ী করা হলেও- নিখোঁজ হওয়ার আগে আমেরিকান কোস্ট গার্ড জাহাজ থেকে কোনো ধরনের দুর্দশা কিংবা বিপদ সংকেত পায়নি। অনেকে অনুমান করেছিলেন যে, মেরিন সালফার কুইন হয়তো জলদস্যু কিংবা নাশকতার শিকার হয়েছিল। ৪ ফেব্রুয়ারি জাহাজের সর্বশেষ অবস্থান দেখা যায় ফ্লোরিডার দক্ষিণ উপকূলে। যদিও আমেরিকান কোস্ট গার্ড জাহাজ অনুসন্ধানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সম্ভ্রাব্য সকল স্থানে অভিযান চালিয়েছিল, তবুও উদ্ধারকারী দল কোনও ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়নি। যা এই জাহাজকে সামুদ্রিক ইতিহাসে সবচেয়ে কৌতূহলী ও রহস্যময় নিখোঁজের তালিকায় আনে। পরবর্তীতে লিবিয়ার মরুভূমিতে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা যাচাই করা হয়নি।

 

ফ্লোর ডি লা মার

হারিয়ে যাওয়া সেই অভিশপ্ত জাহাজ

আরেকটি পরিচিত নাম- ফ্লোর ডি লা মার। এটি একটি পর্তুগিজ জাহাজ। ১৫০২ সালে নির্মাণ করা জাহাজটি কেবল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই নয়, যুদ্ধক্ষেত্রেও সমানভাবে ব্যবহার করা হতো। ১৫১১ সালে নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি ব্যস্ত সময় পার করে। দীর্ঘ নয় বছর সাফল্যের সঙ্গে সমুদ্র দাপিয়ে বেড়ায় ফ্লোর দে লা মার। কিন্তু সমস্যা বাঁধে- যখন জাহাজটি ফুটো হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। যদিও এর আগে নিয়মিতভাবে জাহাজটির মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কোনো প্রকার সুরক্ষাকবচ না নিয়ে, শেষবারের মতো জাহাজটি মালাক্কার পথে যাত্রা করে। কথিত আছে- সোনা, হীরা এবং অনেক রত্নপাথর বোঝাই কার্গো নিয়ে ফ্লোর দে লা মার মালাক্কায় যাত্রা করে। যদিও এর স্বপক্ষে সঠিক দলিল মেলেনি। বলা হয়, সেদিন জাহাজে থাকা স্বর্ণ, মূল্যবান মণিমুক্তা, রাজভান্ডারের সোনার মোহর ইত্যাদি সবই ছিল লুটকৃত। তা-ই নাকি বোঝাই করে জাহাজটি শেষ যাত্রা করেছিল। জাহাজের মেরামতের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও বন্দর ছাড়ার আগে এটি বেশ অনিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রণহীন বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো- সেদিন কোনো ক্র সদস্যই এই যাত্রা থামানোর চেষ্টা করেননি। সে যাত্রায় দায়িত্বরত ক্রু সদস্যরা কার্গো বোঝাই সম্পদ নিয়ে লিসবনে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছিল দৃঢ় এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে নাকি তারা জাহাজ নিয়ে পর্তুগালের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। দুঃখজনকভাবে, জাহাজটি মালাক্কা প্রণালি হয়ে যাওয়ার সময় ভয়ানক এক ঝড়ের কবলে পড়ে।

ফলাফল- মেরামতহীন জাহাজটি রক্ষিত ধনসম্পদ নিয়েই সুমাত্রার উত্তর তীরের সাগরে তালিয়ে যায়। যেহেতু প্রচলিত রয়েছে, জাহাজে প্রচুর ধনসম্পদ ছিল, তাই এটি খুঁজে বের করার জন্য অসংখ্যবার অনুসন্ধান চালানো হয়। যদিও জাহাজটি আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। কথিত আছে, লুটকৃত ধনভান্ডারের অভিশাপেই নাকি জাহাজটি সমুদ্রগর্ভে চিরতরে বিলীন হয়ে গেছে। প্রকৃত ঘটনা যাই হোক, আজো উৎসুক গুপ্তধন অনুসন্ধানকারীরা জাহাজ পুনরুদ্ধারে কাজ করছে।

 

এম এস মুঞ্চেন

জার্মান মুঞ্চেনের শেষ যাত্রা

আধুনিক জাহাজ এম এস মুঞ্চেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান- জার্মান হ্যাপাগ-লয়েড কোং। এটি মূলত একটি লাইটার জাহাজ বা ল্যাশ জাহাজ। ১৯৭২ সালে নির্মিত জাহাজটি ব্রেমারহেভেন, জর্জিয়া, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের জলপথ দাপিয়ে বেড়াত। কিন্তু হঠাৎ কী হলো! জাহাজটি ৪৫ বছর আগের উত্তাল আটলান্টিকে হারিয়ে যায়। জানা গেছে, এটি সে সময়  হ্যারিকেনের কবলে পড়েছিল। এম এস মুঞ্চেন কোনো সাধারণ মালবাহী জাহাজ ছিল না। এটি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম এবং আধুনিক কার্গো জাহাজ। এটি ২৬১ মিটার দীর্ঘ, ৩২ মিটার চওড়া, ৩৭ হাজার ১৩৪ জিআরটি এবং ২৬ হাজার হর্সপাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনের জাহাজ। এর অত্যাধুনিক নেভিগেশনাল সিস্টেম এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম সে সময় সবাইকে অবাক করে। প্রথম যাত্রায় জাহাজটি ৩৫ দিনের জন্য রটারডাম, ব্রেমারহেভেন থেকে চার্লসটন, নিউ অরলিন্স এবং হিউস্টন পাড়ি দেয়। জাহাজটির নেতৃত্বে ছিলেন অভিজ্ঞ নাবিক এবং কয়েকজন ক্রু সদস্য। অত্যাধুনিক এই জাহাজটি ৬১ বার সমুদ্র দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। ফলে জাহাজটি বারবারই শক্তিশালী ঝড়ের মুখোমুখি হয়। তবে এর ক্রু সদস্যরা বিশ্বাস করতেন- এটি নির্ভরযোগ্য এবং অত্যন্ত নিরাপদ জাহাজ। দুর্ভাগ্য চেপে বসে এর ৬২তম যাত্রায়। এটিই ছিল মুঞ্চেনের শেষ যাত্রা। ৭ ডিসেম্বর ১৯৭৮ সালে, নাবিক জোহান ডেনক্যাম্পের নির্দেশে, জাহাজটি সাভানার উদ্দেশে ব্রেমারহেভেন ছেড়ে যায়। সে দিন জাহাজে অবস্থান করছিলেন ২৫ জন পুরুষ এবং তিনজন মহিলা। জাহাজটির কার্গোতে ৮৩টি বার্জে বোঝাই ছিল ২৫ হাজার ৫৫৮ টন মালামাল, যার বেশির ভাগই ইস্পাত। দুঃসংবাদটি আসে ১২ ডিসেম্বর, ক্রিসমাসের আগে হামবুর্গে এ ধরনের গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছিল। সে দিন হ্যাপাগ-লয়েডে সকাল ৬টায় টেলিফোন বেজে ওঠে। বাইরে তখনো অন্ধকার। ফরাসি উপকূলীয় রেডিও স্টেশন বোর্ডাক্স-আর্চাচন জানায়, এম এস মুঞ্চেন শেষ রাতে (৩:১০ ঘটিকায়) আটলান্টিক মহাসাগরে বিপদে পড়ে। তখন থেকেই নিখোঁজ। বোঝা-ই যাচ্ছিল, জাহাজ এবং এর সঙ্গে থাকা ২৮ ক্রুদের ভাগ্যে কী ঘটেছে।

 

লে গ্রিফন

গ্রেট লেকের সবচেয়ে বড় রহস্য

ফরাসি জাহাজ লে গ্রিফন। তালিকায় থাকা অন্যান্য জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে এটি অনেকটা আলাদা। কেননা, এটি সমুদ্রে নয়, আমেরিকার গ্রেট লেকগুলো চষে বেড়াত। উত্তর আমেরিকার ফরাসি উদ্ভাবক সিউর দে লা স্যালে এবং রেনে রবার্ট ক্যাভেলিয়ার এই জাহাজটি নির্মাণ করেছিলেন। উদ্দেশ্য, চীন ও জাপানের উত্তর-পশ্চিম পথের অনুসন্ধান এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যের পথ তৈরি। ১৬৭০ দশকে উত্তর আমেরিকার লেকগুলোতে কাজ করার জন্য প্রথম পূর্ণ-আকারের পালতোলা জাহাজ লে গ্রিফন। যা তৎকালীন বিশ্বের আধুনিক বাণিজ্যিক জাহাজ। লে গ্রিফন কয়েক বছর সফলতার সঙ্গে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে এর শেষ যাত্রাকাল ছিল ৭ আগস্ট ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দ। সে দিন লে গ্রিফনের নির্মাতা ফরাসি উদ্ভাবকরা জাহাজটি নিয়ে প্রথমবারের মতো সমুদ্রযাত্রায় রওনা হন। সে যাত্রায় জাহাজের ক্রুসহ মোট সদস্য ছিলেন ৩২ জন। উদ্ভাবক দে লা স্যালে তার দল নিয়ে লেক এরি, লেক হুরন এবং মিশিগান হ্রদ পেরিয়ে অজানা পথে যাত্রা করেন। উদ্দেশ্য ছিল সমুদ্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রণালি আবিষ্কার। ভালোই চলছিল লে গ্রিফন। পরবর্তীতে ১৮ সেপ্টেম্বর ওই উদ্ভাবক অবতরণ শেষে জাহাজটি নায়াগ্রার পথে ফেরত পাঠান। আরেক উদ্ভাবক রবার্ট ক্যাভেলিয়ার লে গ্রিফনকে নিয়ে উইসকনসিন থেকে ওয়াশিংটন বা রক আইল্যান্ডে বিরতি নেন। এরপর আর তাদের দেখা মেলেনি। জাহাজটি ছয়জন ক্রু সদস্য এবং পশম বোঝাই কার্গোসহ হারিয়ে যায়। জানা গেছে, লে গ্রিফন মিশিগান লেক পেরিয়ে ম্যাকিনাক দ্বীপের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু জাহাজের ওই ক্রু সদস্যদের ভাগ্যে কী ঘটে, তা আজো জানা যায়নি। লে গ্রিফন ১৬৭৯ সালের সেপ্টেম্বরে নিখোঁজ হয়। তবে গুপ্তধন সন্ধানকারীরা এখন পর্যন্ত ২২ বার এর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেন। যদিও দাবির স্বপক্ষে তিনটি বাদে সবই ভুল প্রমাণিত হয়। বিখ্যাত জাহাজডুবি লেখক, ক্লাইভ কাসলার তার লেখার উদ্ধৃতিতে বলেছেন, ‘লে গ্রিফন-এমন কোনো ধ্বংসাবশেষ নয়, যে কেউ মাত্র দশ মিনিটেই খুঁজে পাবে। এটি এখন সময়ের পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
সর্বশেষ খবর
ফটিকছড়িতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ফটিকছড়িতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

এই মাত্র | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কাতার
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কাতার

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে বিএনপির ৩১ দফার বিকল্প নেই’
‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে বিএনপির ৩১ দফার বিকল্প নেই’

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যুগান্তকারী চুক্তি
প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যুগান্তকারী চুক্তি

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, বিপাকে ভোক্তারা
লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, বিপাকে ভোক্তারা

৪১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বিদেশি ঋণ ছাড়ালো ১১২ বিলিয়ন ডলার
বিদেশি ঋণ ছাড়ালো ১১২ বিলিয়ন ডলার

৪২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু সুপার ফোর, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ সূচি
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু সুপার ফোর, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ সূচি

৪৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ড্রোন পরীক্ষা তদারকিতে এআই তৈরির নির্দেশ কিম জং উনের
ড্রোন পরীক্ষা তদারকিতে এআই তৈরির নির্দেশ কিম জং উনের

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পকে বহনকারী হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি, জরুরি অবতরণ
ট্রাম্পকে বহনকারী হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি, জরুরি অবতরণ

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশফোর্ডের জোড়া গোলে উড়ন্ত শুরু বার্সেলোনার
রাশফোর্ডের জোড়া গোলে উড়ন্ত শুরু বার্সেলোনার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই যুগ পর বেনফিকায় মরিনহো
দুই যুগ পর বেনফিকায় মরিনহো

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্যাংকিং খাত কি ঝুঁকিভিত্তিক পরিদর্শনের জন্য প্রস্তুত
ব্যাংকিং খাত কি ঝুঁকিভিত্তিক পরিদর্শনের জন্য প্রস্তুত

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী
একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি আজ
৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো অধরা রিজার্ভ কারসাজির হোতা কাজী সাইদুর
এখনো অধরা রিজার্ভ কারসাজির হোতা কাজী সাইদুর

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইসলামের দৃষ্টিতে নিলামে কেনাবেচা
ইসলামের দৃষ্টিতে নিলামে কেনাবেচা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘সুপার ফোরের আগে বিদায় নিতে হবে কল্পনাও করিনি’
‘সুপার ফোরের আগে বিদায় নিতে হবে কল্পনাও করিনি’

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পশ্চিম তীর-জর্ডান সীমান্তে বন্দুকধারীর হামলায় ২ ইসরায়েলি নিহত
পশ্চিম তীর-জর্ডান সীমান্তে বন্দুকধারীর হামলায় ২ ইসরায়েলি নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ সেপ্টেম্বর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরব ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে যা বলল ভারত
সৌদি আরব ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে যা বলল ভারত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লক্ষ্মীপুরে সেনাবাহিনীর অভিযান মদসহ আটক ৩
লক্ষ্মীপুরে সেনাবাহিনীর অভিযান মদসহ আটক ৩

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, এ নিয়ে ৬ বার
গাজায় নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, এ নিয়ে ৬ বার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফরিদপুরে বিকাশ-নগদ প্রতারণা চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে বিকাশ-নগদ প্রতারণা চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি সন্দেহে ব্রিটেনে গ্রেফতার ৩
রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি সন্দেহে ব্রিটেনে গ্রেফতার ৩

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া থেকে এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত পেল ইউক্রেন
রাশিয়া থেকে এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত পেল ইউক্রেন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দূরন্ত গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে চাঁদ
দূরন্ত গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে চাঁদ

২০ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

২০ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিনপন্থী নেতা মাহমুদ খলিলকে আলজেরিয়া অথবা সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ
ফিলিস্তিনপন্থী নেতা মাহমুদ খলিলকে আলজেরিয়া অথবা সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অর্থপাচারের দুই ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেফতার
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অর্থপাচারের দুই ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রিন্ট সর্বাধিক
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের
নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি
সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম
কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম

মাঠে ময়দানে

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বামী-সন্তান হারানো সংগ্রামী বৃদ্ধার পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
স্বামী-সন্তান হারানো সংগ্রামী বৃদ্ধার পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগর জীবন

নিউইয়র্কে প্রবাসী সমাবেশে ভাষণ দেবেন ইউনূস
নিউইয়র্কে প্রবাসী সমাবেশে ভাষণ দেবেন ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

৭ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
৭ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামায় আসছে ‘চোর’
ক্যাপিটাল ড্রামায় আসছে ‘চোর’

শোবিজ

শ্রীলঙ্কার জয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার জয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিসিবির নির্বাচন কোন পথে
বিসিবির নির্বাচন কোন পথে

মাঠে ময়দানে