শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

সমুদ্রে নিখোঁজ জাহাজ

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
সমুদ্রে নিখোঁজ জাহাজ

অনেকে মাঝসমুদ্রে অতি প্রাকৃত ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। সমুদ্রপথে অদৃশ্য হওয়া জাহাজের রহস্যঘেরা কাহিনিও কম দেখা যায়নি। এমন কয়েকটি বিস্ময়কর নিখোঁজের কাহিনি আছে, যা মানবসভ্যতাকে কেবল অবাকই করেনি, করেছে কৌতূহলীও।  অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এমন কয়েকটি জাহাজ নিখোঁজের ব্যাখ্যা দিতে পারেনি কেউই...

 

সিনকো চাগাস

সমুদ্রতলে হারিয়ে যাওয়া ধন

সিনকো চাগাস; পর্তুগিজদের পালতোলা জাহাজ। যা স্থানীয়দের কাছে ‘নাউ’ নামে পরিচিত। ভারতের গোয়ায় জাহাজটি নির্মাণ করা হয়। ধারণা মতে, পর্তুগিজ নাবিক সিনকো চাগাসের নামানুসারে এর নামকরণ হয়েছিল। ১৫৯৩ সালে গোয়া থেকে প্রথমবার সমুদ্রযাত্রা করে সিনকো চাগাস। এক বছর পর, ১৫৯৪ সালে ১২০০ টন ওজনের জাহাজটি ভারতের গোয়া থেকে ৩৫ লাখ পর্তুগিজ ক্রুজাডোর এবং নানবিধ পণ্যসম্ভার নিয়ে লিসবনের উদ্দেশে যাত্রা করে; সঙ্গে ২২টি সিন্দুকে ভরা ছিল- অসংখ্য হিরা, মাণিক এবং মূল্যবান রত্নপাথর। যার বাজারমূল্য হাজার কোটি ডলারের বেশি। গিজমোডোরের এক প্রতিবেদন অনুসারে, আকারে প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা এবং ৪৫ ফুট চওড়া। যা ছিল সে সময়ের বিশাল জাহাজ। পর্তুগিজ জাহাজটিতে এক হাজারের বেশি লোক বহন করা হতো। যাদের মধ্যে ৪০০ জন দাসও ছিল। জাহাজের নাবিকরা একে নিয়ে পর্তুগিজ জলসীমায় ফিরে আসে ঠিকই; কিন্তু পথিমধ্যে অ্যাংলো-স্প্যানিশ যুদ্ধের (‘অ্যাকশন অফ ফায়াল’) কারণে ফায়াল দ্বীপে আটকা পড়ে। দিনটি ছিল- ১৫৯৪ সালের ১৩ জুলাই, ব্রিটিশ তিনটি জাহাজ- মে-ফ্লাওয়ার, রয়্যাল এক্সচেঞ্জ এবং স্যাম্পসন পর্তুগিজ জাহাজটিতে হামলা করে। আকস্মিক আক্রমণে জাহাজে আগুন ধরে যায়। যদিও পরবর্তীতে জাহাজটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফেরে ঠিকই, কিন্তু পর্তুগালের অ্যাজোরেসের উপকূলে প্রায় ২০০০ কোটি ডলার মূল্যের ধনসম্পদ এবং মালামাল নিয়ে সমুদ্রের তলদেশে চিরতরে হারিয়ে যায়।

জানা গেছে, ডুবে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই জাহাজ প্রায় দুই দিন ব্রিটিশ নৌ-সেনাদের আক্রমণের শিকার হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ধনসম্পদ নিয়ে সমুদ্রতলে হারিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোর মধ্যে অন্যতম এই সিনকো চাগাস, যার সন্ধান আজো বিশ্ববাসী পায়নি।

 

দ্য মার্চেন্ট রয়্যাল

দ্য এলডোরাডো অব দ্য সি

ব্রিটিশ বণিক জাহাজ, মার্চেন্ট রয়্যাল। এক সময় এর মাধ্যমেই তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাণিজ্য করত। ১৬২৭ সালে ব্রিটিশ জাহাজটি প্রথমবার সমুদ্রপথে যাত্রা করে। কিন্তু দেড় দশক না পেরুতেই, এটি সমুদ্রে হারিয়ে যায়। ১৬৩৭ থেকে ১৬৪০ সাল পর্যন্ত দুই বছরের বেশি সময় এটি বাণিজ্যে ব্যস্ত সময় পার করে। ১৬৪০ সালে ব্রিটিশ জাহাজ ডোভারকে সঙ্গে নিয়ে মার্চেন্ট রয়্যাল স্পেনের উপনিবেশ অঞ্চলে পাড়ি দেয়। উদ্দেশ্য- লন্ডনে ফেরা। কিন্তু পথিমধ্যে জাহাজে কয়েকটি সমস্যা দেখা দেয়। বেশ খারাপভাবেই ফুটো হয়ে যায় জাহাজের তলা। এজন্য অবশ্য নাবিকরা কার্ডিজের বন্দরে যাত্রা বিরতিও করেছিল। দ্রুত সমস্যার সমাধানও করা হয়। এক বছর পর, ১৬৪১ সালে জাহাজটি সফল বাণিজ্যিক সফর শেষে লন্ডনে ফিরছিল। এবারও আকস্মিকভাবে জাহাজের একই স্থানে ফুটো হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, যা এই জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু নাবিকরা জাহাজের খারাপ পরিস্থিতি দেখেও মার্চেন্ট রয়্যালকে নিয়ে আবারও বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এবার বণিক জাহাজটির পণ্যসম্ভারে ছিল বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও রৌপ্য। তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, তৎকালীন সময় ওই জাহাজে অন্তত এক লাখ পাউন্ড স্বর্ণ, চারশ’ মেক্সিকান রৌপ্য বার এবং পাঁচ লাখেরও বেশি অন্যান্য দেশের মুদ্রা ছিল। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি ডলার। তবে এবার শেষ রক্ষা হয়নি। ফলাফল, যা হওয়ার তাই হলো। ইংল্যান্ডের ল্যান্ডস এন্ডের উপকূলে এসে ব্রিটিশ বণিকদের এই জাহাজটি ডুবে গেল। আশ্চর্যের বিষয় হলো- জাহাজের শেষ অবস্থান জানা সত্ত্বেও আজো কেউ এর সন্ধান পায়নি। তখন থেকেই মার্চেন্ট রয়্যাল চিরতরে হারিয়ে গেছে। ২০১৯ সালে, এক অনুসন্ধানে জাহাজের নোঙ্গরটি পাওয়া যায়। জাহাজের বাকি অংশগুলো আজো অনুসন্ধানকারীদের অধরা রয়ে যায়।

 

দ্য সান্তা মারিয়া

কলম্বাসের আমেরিকা যাত্রার সঙ্গী

সান্তা মারিয়া; বিখ্যাত একটি নাম। আমেরিকার উদ্ভাবক ক্রিস্টোফার কলম্বাসের জাহাজগুলোর একটি, যার মাধ্যমে তিনি ১৪৯২ সালে আমেরিকা আবিষ্কারের প্রাথমিক সমুদ্রযাত্রায় ব্যবহার করেছিলেন। এটি কলম্বাসের তিনটি জাহাজের একটি, যার মাধ্যমে তিনি অভিযানে গিয়েছিলেন। ‘সান্তা মারিয়া’ ছাড়াও কলম্বাসের আরও দুটি সহকারী জাহাজ ‘নিনা’ ও ‘পিন্তা’য় চড়ে আমেরিকা আবিষ্কার করেন। বলা হয়, ১৪৯২ সালের আগস্ট মাসে ক্রিস্টোফার কলম্বাস তিনটি জাহাজ নিয়ে স্পেন ত্যাগ করেন। জাহাজ তিনটির মধ্যে ‘নিনা’ ও ‘পিন্তা’ ত্রিভুজাকার পালতোলা ছোট জাহাজ। অন্যদিকে ‘সান্তা মারিয়া’ ছিল বাকি দুটোর চেয়ে বেশ বড়। জাহাজগুলো ছোট ছিল ঠিকই, তবে এগুলো ছিল ১৫ থেকে ৩৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা। এই জাহাজগুলোয় চড়ে ৯০ জন ক্রু নিয়ে কলম্বাস স্পেন ত্যাগ করেছিলেন। ধারণা করা হয়, শীতকালে বড়দিনের সময় একজন কেবিন ক্রু ছেলে ‘সান্তা মারিয়া’র হাল ধরেছিল এবং সে সময় অভিজ্ঞ নাবিক ও ক্রু সদস্যরা ঘুমিয়েছিলেন। এদিকে জাহাজ চালানো কিংবা নিয়ন্ত্রণের কোনোই অভিজ্ঞতা ছিল না ক্রু ছেলেটির। ফলাফল, ‘সান্তা মারিয়া’ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জাহাজটি যখন হাইতি উপকূলের কাছাকাছি আসে, তখন সাগরতলের পাথর বা প্রবাল প্রাচীরে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি তাৎক্ষণিক সাগরের অতলে তলিয়ে যায়। যদিও সে সময় বিপদ আঁচ করতে পেরে ‘সান্তা মারিয়া’র ক্রুরা জাহাজের কার্গোটিকে অন্য একটি অফবোর্ডে (ছোট নৌকা) নিয়ে যেতে সক্ষম হন। সেই থেকে আজো সাগরতলে সান্তা মারিয়া। উদ্ধারকারীদের ধারণা, জাহাজটি আজো হাইতি উপকূলের সমুদ্রতলের বালুর নিচে চাপা পড়ে আছে। সম্ভবত এটি আর কখনই উদ্ধার করা যাবে না। দুঃখজনক হলেও সত্য,  অন্য জাহাজ দুটি সান্তা মারিয়ার আকারের অর্ধেকেরও কম, তবুও ঝড়ের কাছাকাছি নানা বিপর্যয় সত্ত্বেও জাহাজ দুটি নিরাপদে স্পেনে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে।

 

বনহোম রিচার্ড

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জয়ের সঙ্গী

বনহোম রিচার্ড, একটি বিশেষ রণতরী। গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের বিপ্লবকালে সমুদ্রের রণতরী হিসেবে এই জাহাজের ব্যবহার দেখা গিয়েছিল। ১৭৬৬ সালে ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই রণতরীটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ফ্রান্সের রাজা লুইস-১৬ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জাহাজটি কিনেছিলেন। ১৭৭৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজা লাইস-১৬ ক্যাপ্টেন জন পল জোন্সকে রণতরীটি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্যারিসের আমেরিকান কমিশনার বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিনের সম্মানার্থে ক্যাপ্টেন জন ‘বনহোম রিচার্ড’-এর নাম পরিবর্তন করেন। বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন নিজে ফ্রান্সের বিখ্যাত পঞ্জিকায় ‘লেস ম্যাক্সিমেস ডি বনহোম রিচাড’ শিরোনামে একটি লেখাও প্রকাশ করেছিলেন। এরপর ক্যাপ্টেন জন প্রাক্তন ফরাসি রণতরী প্যালাস এবং ব্রিগ ভেঞ্জেন্স-এর সমন্বয়ে গঠিত দলের প্রধান হয়ে ওঠেন। একই বছরের  আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে তারা ১৬টি ব্রিটিশ নেভী জাহাজ এবং বানিজ্যিক জাহাজ দখল করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর বনহোম রিচার্ড নিয়ে ক্যাপ্টন জন ব্রিটিশ নেভির জাহাজ এইচএমএস গ্রেটপিস এবং এইচএমএস কাউন্টেসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। ব্রিটিশ জাহাজগুলো সে সময় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন রিচার্ড পিয়ারসন। ব্রিটিশদের হামলায় বনহোম রিচার্ডে আগুন ধরে যায়।  শত্রুর রণতরীতে আগুন ধরায়, ক্যাপ্টেন রিচার্ড পিয়ারসন শত্রুপক্ষকে আত্মসমর্পনের আহ্বান জানান। উত্তরে ক্যাপ্টেন জোন্স বলেন, ‘আমি এখনও যুদ্ধ শুরু করিনি’। পরের সাড়ে চার ঘণ্টা যুদ্ধে ব্রিটিশরা পরাজিত হয়। জয়ী হওয়ার ঠিক দুইদিন পর বনহোম রিচার্ড ফেরার পথে সমুদ্রের গভীর জলে তলিয়ে যায়।

 

মেরিন সালফার কুইন

রহস্য হয়ে রইল মেরিন কুইন

আমেরিকান তেলবাহী টি২ ট্যাঙ্কার এসএস মেরিন সালফার কুইন। ১৯৪৪ সালে পেনসিলভানিয়ায় বিশালাকৃতির জাহাজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যার কাজই কেবল তেল বহন। মেরিন কুইন জাহাজটি ৫২৪ ফুট দীর্ঘ, যার ওজন ১৫ হাজার টন। ১৯৬০ সালে, এই জাহাজে খানিকটা পরিবর্তন আনা হয়। উদ্দেশ্য, লিক্যুইড সালফার বহন। জলপথে এই সালফার পরিবহনের জন্যই এই জাহাজের নকশা করা হয়েছিল। হয়তো, এটাই ছিল কতৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্ত। যাইহোক, এর তিন বছর পর ১৯৬৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ছিল মেরিন কুইনের শেষ যাত্রা। সেদিন সালফার পরিবাহী জাহাজটি টেক্সাস থেকে নরফোক, ভার্জিনিয়ায় যাওয়ার পথে অদৃশ্য হয়ে যায়। আর গন্তব্যে ফেরেনি। নিখোঁজ হওয়ার সময়, জাহাজটি তার সঙ্গে ৩৯ জন নাবিক এবং ক্রু সদস্যেরও জীবন নিয়েছিল। হঠাৎ নিরুদ্দেশ্য হওয়ার পেছনে খারাপ আবহাওয়াকে দায়ী করা হলেও- নিখোঁজ হওয়ার আগে আমেরিকান কোস্ট গার্ড জাহাজ থেকে কোনো ধরনের দুর্দশা কিংবা বিপদ সংকেত পায়নি। অনেকে অনুমান করেছিলেন যে, মেরিন সালফার কুইন হয়তো জলদস্যু কিংবা নাশকতার শিকার হয়েছিল। ৪ ফেব্রুয়ারি জাহাজের সর্বশেষ অবস্থান দেখা যায় ফ্লোরিডার দক্ষিণ উপকূলে। যদিও আমেরিকান কোস্ট গার্ড জাহাজ অনুসন্ধানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সম্ভ্রাব্য সকল স্থানে অভিযান চালিয়েছিল, তবুও উদ্ধারকারী দল কোনও ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়নি। যা এই জাহাজকে সামুদ্রিক ইতিহাসে সবচেয়ে কৌতূহলী ও রহস্যময় নিখোঁজের তালিকায় আনে। পরবর্তীতে লিবিয়ার মরুভূমিতে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা যাচাই করা হয়নি।

 

ফ্লোর ডি লা মার

হারিয়ে যাওয়া সেই অভিশপ্ত জাহাজ

আরেকটি পরিচিত নাম- ফ্লোর ডি লা মার। এটি একটি পর্তুগিজ জাহাজ। ১৫০২ সালে নির্মাণ করা জাহাজটি কেবল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই নয়, যুদ্ধক্ষেত্রেও সমানভাবে ব্যবহার করা হতো। ১৫১১ সালে নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি ব্যস্ত সময় পার করে। দীর্ঘ নয় বছর সাফল্যের সঙ্গে সমুদ্র দাপিয়ে বেড়ায় ফ্লোর দে লা মার। কিন্তু সমস্যা বাঁধে- যখন জাহাজটি ফুটো হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। যদিও এর আগে নিয়মিতভাবে জাহাজটির মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কোনো প্রকার সুরক্ষাকবচ না নিয়ে, শেষবারের মতো জাহাজটি মালাক্কার পথে যাত্রা করে। কথিত আছে- সোনা, হীরা এবং অনেক রত্নপাথর বোঝাই কার্গো নিয়ে ফ্লোর দে লা মার মালাক্কায় যাত্রা করে। যদিও এর স্বপক্ষে সঠিক দলিল মেলেনি। বলা হয়, সেদিন জাহাজে থাকা স্বর্ণ, মূল্যবান মণিমুক্তা, রাজভান্ডারের সোনার মোহর ইত্যাদি সবই ছিল লুটকৃত। তা-ই নাকি বোঝাই করে জাহাজটি শেষ যাত্রা করেছিল। জাহাজের মেরামতের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও বন্দর ছাড়ার আগে এটি বেশ অনিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রণহীন বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো- সেদিন কোনো ক্র সদস্যই এই যাত্রা থামানোর চেষ্টা করেননি। সে যাত্রায় দায়িত্বরত ক্রু সদস্যরা কার্গো বোঝাই সম্পদ নিয়ে লিসবনে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছিল দৃঢ় এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে নাকি তারা জাহাজ নিয়ে পর্তুগালের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। দুঃখজনকভাবে, জাহাজটি মালাক্কা প্রণালি হয়ে যাওয়ার সময় ভয়ানক এক ঝড়ের কবলে পড়ে।

ফলাফল- মেরামতহীন জাহাজটি রক্ষিত ধনসম্পদ নিয়েই সুমাত্রার উত্তর তীরের সাগরে তালিয়ে যায়। যেহেতু প্রচলিত রয়েছে, জাহাজে প্রচুর ধনসম্পদ ছিল, তাই এটি খুঁজে বের করার জন্য অসংখ্যবার অনুসন্ধান চালানো হয়। যদিও জাহাজটি আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। কথিত আছে, লুটকৃত ধনভান্ডারের অভিশাপেই নাকি জাহাজটি সমুদ্রগর্ভে চিরতরে বিলীন হয়ে গেছে। প্রকৃত ঘটনা যাই হোক, আজো উৎসুক গুপ্তধন অনুসন্ধানকারীরা জাহাজ পুনরুদ্ধারে কাজ করছে।

 

এম এস মুঞ্চেন

জার্মান মুঞ্চেনের শেষ যাত্রা

আধুনিক জাহাজ এম এস মুঞ্চেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান- জার্মান হ্যাপাগ-লয়েড কোং। এটি মূলত একটি লাইটার জাহাজ বা ল্যাশ জাহাজ। ১৯৭২ সালে নির্মিত জাহাজটি ব্রেমারহেভেন, জর্জিয়া, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের জলপথ দাপিয়ে বেড়াত। কিন্তু হঠাৎ কী হলো! জাহাজটি ৪৫ বছর আগের উত্তাল আটলান্টিকে হারিয়ে যায়। জানা গেছে, এটি সে সময়  হ্যারিকেনের কবলে পড়েছিল। এম এস মুঞ্চেন কোনো সাধারণ মালবাহী জাহাজ ছিল না। এটি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম এবং আধুনিক কার্গো জাহাজ। এটি ২৬১ মিটার দীর্ঘ, ৩২ মিটার চওড়া, ৩৭ হাজার ১৩৪ জিআরটি এবং ২৬ হাজার হর্সপাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনের জাহাজ। এর অত্যাধুনিক নেভিগেশনাল সিস্টেম এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম সে সময় সবাইকে অবাক করে। প্রথম যাত্রায় জাহাজটি ৩৫ দিনের জন্য রটারডাম, ব্রেমারহেভেন থেকে চার্লসটন, নিউ অরলিন্স এবং হিউস্টন পাড়ি দেয়। জাহাজটির নেতৃত্বে ছিলেন অভিজ্ঞ নাবিক এবং কয়েকজন ক্রু সদস্য। অত্যাধুনিক এই জাহাজটি ৬১ বার সমুদ্র দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। ফলে জাহাজটি বারবারই শক্তিশালী ঝড়ের মুখোমুখি হয়। তবে এর ক্রু সদস্যরা বিশ্বাস করতেন- এটি নির্ভরযোগ্য এবং অত্যন্ত নিরাপদ জাহাজ। দুর্ভাগ্য চেপে বসে এর ৬২তম যাত্রায়। এটিই ছিল মুঞ্চেনের শেষ যাত্রা। ৭ ডিসেম্বর ১৯৭৮ সালে, নাবিক জোহান ডেনক্যাম্পের নির্দেশে, জাহাজটি সাভানার উদ্দেশে ব্রেমারহেভেন ছেড়ে যায়। সে দিন জাহাজে অবস্থান করছিলেন ২৫ জন পুরুষ এবং তিনজন মহিলা। জাহাজটির কার্গোতে ৮৩টি বার্জে বোঝাই ছিল ২৫ হাজার ৫৫৮ টন মালামাল, যার বেশির ভাগই ইস্পাত। দুঃসংবাদটি আসে ১২ ডিসেম্বর, ক্রিসমাসের আগে হামবুর্গে এ ধরনের গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছিল। সে দিন হ্যাপাগ-লয়েডে সকাল ৬টায় টেলিফোন বেজে ওঠে। বাইরে তখনো অন্ধকার। ফরাসি উপকূলীয় রেডিও স্টেশন বোর্ডাক্স-আর্চাচন জানায়, এম এস মুঞ্চেন শেষ রাতে (৩:১০ ঘটিকায়) আটলান্টিক মহাসাগরে বিপদে পড়ে। তখন থেকেই নিখোঁজ। বোঝা-ই যাচ্ছিল, জাহাজ এবং এর সঙ্গে থাকা ২৮ ক্রুদের ভাগ্যে কী ঘটেছে।

 

লে গ্রিফন

গ্রেট লেকের সবচেয়ে বড় রহস্য

ফরাসি জাহাজ লে গ্রিফন। তালিকায় থাকা অন্যান্য জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে এটি অনেকটা আলাদা। কেননা, এটি সমুদ্রে নয়, আমেরিকার গ্রেট লেকগুলো চষে বেড়াত। উত্তর আমেরিকার ফরাসি উদ্ভাবক সিউর দে লা স্যালে এবং রেনে রবার্ট ক্যাভেলিয়ার এই জাহাজটি নির্মাণ করেছিলেন। উদ্দেশ্য, চীন ও জাপানের উত্তর-পশ্চিম পথের অনুসন্ধান এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যের পথ তৈরি। ১৬৭০ দশকে উত্তর আমেরিকার লেকগুলোতে কাজ করার জন্য প্রথম পূর্ণ-আকারের পালতোলা জাহাজ লে গ্রিফন। যা তৎকালীন বিশ্বের আধুনিক বাণিজ্যিক জাহাজ। লে গ্রিফন কয়েক বছর সফলতার সঙ্গে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে এর শেষ যাত্রাকাল ছিল ৭ আগস্ট ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দ। সে দিন লে গ্রিফনের নির্মাতা ফরাসি উদ্ভাবকরা জাহাজটি নিয়ে প্রথমবারের মতো সমুদ্রযাত্রায় রওনা হন। সে যাত্রায় জাহাজের ক্রুসহ মোট সদস্য ছিলেন ৩২ জন। উদ্ভাবক দে লা স্যালে তার দল নিয়ে লেক এরি, লেক হুরন এবং মিশিগান হ্রদ পেরিয়ে অজানা পথে যাত্রা করেন। উদ্দেশ্য ছিল সমুদ্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রণালি আবিষ্কার। ভালোই চলছিল লে গ্রিফন। পরবর্তীতে ১৮ সেপ্টেম্বর ওই উদ্ভাবক অবতরণ শেষে জাহাজটি নায়াগ্রার পথে ফেরত পাঠান। আরেক উদ্ভাবক রবার্ট ক্যাভেলিয়ার লে গ্রিফনকে নিয়ে উইসকনসিন থেকে ওয়াশিংটন বা রক আইল্যান্ডে বিরতি নেন। এরপর আর তাদের দেখা মেলেনি। জাহাজটি ছয়জন ক্রু সদস্য এবং পশম বোঝাই কার্গোসহ হারিয়ে যায়। জানা গেছে, লে গ্রিফন মিশিগান লেক পেরিয়ে ম্যাকিনাক দ্বীপের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু জাহাজের ওই ক্রু সদস্যদের ভাগ্যে কী ঘটে, তা আজো জানা যায়নি। লে গ্রিফন ১৬৭৯ সালের সেপ্টেম্বরে নিখোঁজ হয়। তবে গুপ্তধন সন্ধানকারীরা এখন পর্যন্ত ২২ বার এর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেন। যদিও দাবির স্বপক্ষে তিনটি বাদে সবই ভুল প্রমাণিত হয়। বিখ্যাত জাহাজডুবি লেখক, ক্লাইভ কাসলার তার লেখার উদ্ধৃতিতে বলেছেন, ‘লে গ্রিফন-এমন কোনো ধ্বংসাবশেষ নয়, যে কেউ মাত্র দশ মিনিটেই খুঁজে পাবে। এটি এখন সময়ের পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
সর্বশেষ খবর
ইসলামের শুভেচ্ছারীতি ও পদ্ধতি
ইসলামের শুভেচ্ছারীতি ও পদ্ধতি

১৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মনোনয়ন পেয়ে আনন্দ মিছিল করতে নিষেধ করলেন শামা ওবায়েদ
মনোনয়ন পেয়ে আনন্দ মিছিল করতে নিষেধ করলেন শামা ওবায়েদ

৪৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

অ্যামাজনের সঙ্গে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করল ওপেনএআই
অ্যামাজনের সঙ্গে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করল ওপেনএআই

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কুড়িগ্রাম-৪: জামায়াত-বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আপন দুই ভাই
কুড়িগ্রাম-৪: জামায়াত-বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আপন দুই ভাই

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খুলনা বিভাগে বাবার আসনে তিন পুত্র বিএনপির প্রার্থী
খুলনা বিভাগে বাবার আসনে তিন পুত্র বিএনপির প্রার্থী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তুমি কি শাহরুখ খানকে চেনো? সুদানে আটক ভারতীয়কে বিদ্রোহীদের প্রশ্ন!
তুমি কি শাহরুখ খানকে চেনো? সুদানে আটক ভারতীয়কে বিদ্রোহীদের প্রশ্ন!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমুদ্র তীরে শতাব্দী পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ
সমুদ্র তীরে শতাব্দী পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এক বিমান বানিয়ে যতো লাভ করল ইরান
এক বিমান বানিয়ে যতো লাভ করল ইরান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৬ নভেম্বর ঝরবে উল্কাবৃষ্টি
১৬ নভেম্বর ঝরবে উল্কাবৃষ্টি

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণে বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ
প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণে বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসলাম চৌধুরী মনোনয়ন না পাওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ
আসলাম চৌধুরী মনোনয়ন না পাওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফের ইসরায়েলে হামলা শুরু করবে হুথি?
ফের ইসরায়েলে হামলা শুরু করবে হুথি?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫.৪১ শতাংশ
অক্টোবরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫.৪১ শতাংশ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি : সারজিস
৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি : সারজিস

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শার্শা আসনে বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তি
শার্শা আসনে বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামের ১০টি আসনে নতুন মুখ ৫ জন
চট্টগ্রামের ১০টি আসনে নতুন মুখ ৫ জন

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কলাপাড়ায় ৩৫ মণ জাটকা জব্দ
কলাপাড়ায় ৩৫ মণ জাটকা জব্দ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খালি পেটে গরম পানি পান কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?
খালি পেটে গরম পানি পান কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি, এয়ার ইন্ডিয়ার জরুরি অবতরণ!
মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি, এয়ার ইন্ডিয়ার জরুরি অবতরণ!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজারের ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
কক্সবাজারের ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএসপিএর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
বিএসপিএর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ গেল মর্গে, পালালেন স্বামী-শ্বশুর
জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ গেল মর্গে, পালালেন স্বামী-শ্বশুর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেট আর শুধু জেন্টলম্যানদের খেলা নয়, এখন সবার’
‘ক্রিকেট আর শুধু জেন্টলম্যানদের খেলা নয়, এখন সবার’

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সামিতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দিনে ফাইনালে ক্যাভালরি
সামিতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দিনে ফাইনালে ক্যাভালরি

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংড়ায় নিষিদ্ধ চায়না জাল পুড়িয়ে দিল প্রশাসন
সিংড়ায় নিষিদ্ধ চায়না জাল পুড়িয়ে দিল প্রশাসন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা
এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ
আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম
জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার
চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার
দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা
এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি
ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান
শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ
মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

১৪ ঘণ্টা আগে | টক শো

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে
পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফরিদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ
ফরিদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার
ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান
বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন
আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক
মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে
গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা
বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার
৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প
আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি
সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর
নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইলিয়াসপত্নী লুনা
সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইলিয়াসপত্নী লুনা

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

প্রিন্ট সর্বাধিক
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির এমপি প্রার্থী হচ্ছেন যারা
বিএনপির এমপি প্রার্থী হচ্ছেন যারা

ভোটের মাঠে

লন্ডন গেলেন সালাহউদ্দিন
লন্ডন গেলেন সালাহউদ্দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনায় রাজি জামায়াতে ইসলামী
আলোচনায় রাজি জামায়াতে ইসলামী

প্রথম পৃষ্ঠা

আলু এখন কৃষকের বোঝা
আলু এখন কৃষকের বোঝা

পেছনের পৃষ্ঠা

উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ
উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

ইতিহাস গড়ার পথে মামদানি
ইতিহাস গড়ার পথে মামদানি

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘাটে ফিরছে ইলিশভর্তি ট্রলার
ঘাটে ফিরছে ইলিশভর্তি ট্রলার

পেছনের পৃষ্ঠা

সিন্ডিকেটে আটকা পড়ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
সিন্ডিকেটে আটকা পড়ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

ফের ভয়াবহ গ্যাসসংকট
ফের ভয়াবহ গ্যাসসংকট

পেছনের পৃষ্ঠা

দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু
দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

মসজিদ থেকে রক্তাক্ত স্বামীকে বাসায় নিয়ে আসেন স্থানীয়রা
মসজিদ থেকে রক্তাক্ত স্বামীকে বাসায় নিয়ে আসেন স্থানীয়রা

পেছনের পৃষ্ঠা

মুগডালে রং, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মুগডালে রং, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

দেশগ্রাম

এমপিওভুক্ত হচ্ছে ১০৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা
এমপিওভুক্ত হচ্ছে ১০৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা

পেছনের পৃষ্ঠা

পানিতে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর
পানিতে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর

দেশগ্রাম

সুদানে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান এরদোগানের
সুদানে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান এরদোগানের

পূর্ব-পশ্চিম

প্যারিস মাস্টার্স জিতে ফের শীর্ষে
প্যারিস মাস্টার্স জিতে ফের শীর্ষে

মাঠে ময়দানে

ঐকমত্যে দলগুলোকে এক সপ্তাহ দিল সরকার
ঐকমত্যে দলগুলোকে এক সপ্তাহ দিল সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বালাশী-বাহাদুরাবাদ সড়ক, রেলসেতুর দাবি
বালাশী-বাহাদুরাবাদ সড়ক, রেলসেতুর দাবি

দেশগ্রাম

৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট
৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট

দেশগ্রাম

কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করা ভুল ছিল : জর্জ ক্লুনি
কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করা ভুল ছিল : জর্জ ক্লুনি

পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলায় শিক্ষক নিহত
বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলায় শিক্ষক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

পরিচয় মিলেছে সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহতদের
পরিচয় মিলেছে সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহতদের

দেশগ্রাম

আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২০
আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২০

পূর্ব-পশ্চিম

৯ দিন পর খুলছে উত্তরা ইপিজেডের চার কারখানা
৯ দিন পর খুলছে উত্তরা ইপিজেডের চার কারখানা

দেশগ্রাম

‘মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে’
‘মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে’

পূর্ব-পশ্চিম

সড়কে গর্ত খানাখন্দ
সড়কে গর্ত খানাখন্দ

দেশগ্রাম

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

দেশগ্রাম

পচছে আলু বীজ সবজি হেলে পড়েছে আমন ধান
পচছে আলু বীজ সবজি হেলে পড়েছে আমন ধান

দেশগ্রাম