শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

সমুদ্রে নিখোঁজ জাহাজ

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
সমুদ্রে নিখোঁজ জাহাজ

অনেকে মাঝসমুদ্রে অতি প্রাকৃত ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। সমুদ্রপথে অদৃশ্য হওয়া জাহাজের রহস্যঘেরা কাহিনিও কম দেখা যায়নি। এমন কয়েকটি বিস্ময়কর নিখোঁজের কাহিনি আছে, যা মানবসভ্যতাকে কেবল অবাকই করেনি, করেছে কৌতূহলীও।  অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এমন কয়েকটি জাহাজ নিখোঁজের ব্যাখ্যা দিতে পারেনি কেউই...

 

সিনকো চাগাস

সমুদ্রতলে হারিয়ে যাওয়া ধন

সিনকো চাগাস; পর্তুগিজদের পালতোলা জাহাজ। যা স্থানীয়দের কাছে ‘নাউ’ নামে পরিচিত। ভারতের গোয়ায় জাহাজটি নির্মাণ করা হয়। ধারণা মতে, পর্তুগিজ নাবিক সিনকো চাগাসের নামানুসারে এর নামকরণ হয়েছিল। ১৫৯৩ সালে গোয়া থেকে প্রথমবার সমুদ্রযাত্রা করে সিনকো চাগাস। এক বছর পর, ১৫৯৪ সালে ১২০০ টন ওজনের জাহাজটি ভারতের গোয়া থেকে ৩৫ লাখ পর্তুগিজ ক্রুজাডোর এবং নানবিধ পণ্যসম্ভার নিয়ে লিসবনের উদ্দেশে যাত্রা করে; সঙ্গে ২২টি সিন্দুকে ভরা ছিল- অসংখ্য হিরা, মাণিক এবং মূল্যবান রত্নপাথর। যার বাজারমূল্য হাজার কোটি ডলারের বেশি। গিজমোডোরের এক প্রতিবেদন অনুসারে, আকারে প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা এবং ৪৫ ফুট চওড়া। যা ছিল সে সময়ের বিশাল জাহাজ। পর্তুগিজ জাহাজটিতে এক হাজারের বেশি লোক বহন করা হতো। যাদের মধ্যে ৪০০ জন দাসও ছিল। জাহাজের নাবিকরা একে নিয়ে পর্তুগিজ জলসীমায় ফিরে আসে ঠিকই; কিন্তু পথিমধ্যে অ্যাংলো-স্প্যানিশ যুদ্ধের (‘অ্যাকশন অফ ফায়াল’) কারণে ফায়াল দ্বীপে আটকা পড়ে। দিনটি ছিল- ১৫৯৪ সালের ১৩ জুলাই, ব্রিটিশ তিনটি জাহাজ- মে-ফ্লাওয়ার, রয়্যাল এক্সচেঞ্জ এবং স্যাম্পসন পর্তুগিজ জাহাজটিতে হামলা করে। আকস্মিক আক্রমণে জাহাজে আগুন ধরে যায়। যদিও পরবর্তীতে জাহাজটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফেরে ঠিকই, কিন্তু পর্তুগালের অ্যাজোরেসের উপকূলে প্রায় ২০০০ কোটি ডলার মূল্যের ধনসম্পদ এবং মালামাল নিয়ে সমুদ্রের তলদেশে চিরতরে হারিয়ে যায়।

জানা গেছে, ডুবে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই জাহাজ প্রায় দুই দিন ব্রিটিশ নৌ-সেনাদের আক্রমণের শিকার হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ধনসম্পদ নিয়ে সমুদ্রতলে হারিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোর মধ্যে অন্যতম এই সিনকো চাগাস, যার সন্ধান আজো বিশ্ববাসী পায়নি।

 

দ্য মার্চেন্ট রয়্যাল

দ্য এলডোরাডো অব দ্য সি

ব্রিটিশ বণিক জাহাজ, মার্চেন্ট রয়্যাল। এক সময় এর মাধ্যমেই তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাণিজ্য করত। ১৬২৭ সালে ব্রিটিশ জাহাজটি প্রথমবার সমুদ্রপথে যাত্রা করে। কিন্তু দেড় দশক না পেরুতেই, এটি সমুদ্রে হারিয়ে যায়। ১৬৩৭ থেকে ১৬৪০ সাল পর্যন্ত দুই বছরের বেশি সময় এটি বাণিজ্যে ব্যস্ত সময় পার করে। ১৬৪০ সালে ব্রিটিশ জাহাজ ডোভারকে সঙ্গে নিয়ে মার্চেন্ট রয়্যাল স্পেনের উপনিবেশ অঞ্চলে পাড়ি দেয়। উদ্দেশ্য- লন্ডনে ফেরা। কিন্তু পথিমধ্যে জাহাজে কয়েকটি সমস্যা দেখা দেয়। বেশ খারাপভাবেই ফুটো হয়ে যায় জাহাজের তলা। এজন্য অবশ্য নাবিকরা কার্ডিজের বন্দরে যাত্রা বিরতিও করেছিল। দ্রুত সমস্যার সমাধানও করা হয়। এক বছর পর, ১৬৪১ সালে জাহাজটি সফল বাণিজ্যিক সফর শেষে লন্ডনে ফিরছিল। এবারও আকস্মিকভাবে জাহাজের একই স্থানে ফুটো হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, যা এই জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু নাবিকরা জাহাজের খারাপ পরিস্থিতি দেখেও মার্চেন্ট রয়্যালকে নিয়ে আবারও বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এবার বণিক জাহাজটির পণ্যসম্ভারে ছিল বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও রৌপ্য। তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, তৎকালীন সময় ওই জাহাজে অন্তত এক লাখ পাউন্ড স্বর্ণ, চারশ’ মেক্সিকান রৌপ্য বার এবং পাঁচ লাখেরও বেশি অন্যান্য দেশের মুদ্রা ছিল। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি ডলার। তবে এবার শেষ রক্ষা হয়নি। ফলাফল, যা হওয়ার তাই হলো। ইংল্যান্ডের ল্যান্ডস এন্ডের উপকূলে এসে ব্রিটিশ বণিকদের এই জাহাজটি ডুবে গেল। আশ্চর্যের বিষয় হলো- জাহাজের শেষ অবস্থান জানা সত্ত্বেও আজো কেউ এর সন্ধান পায়নি। তখন থেকেই মার্চেন্ট রয়্যাল চিরতরে হারিয়ে গেছে। ২০১৯ সালে, এক অনুসন্ধানে জাহাজের নোঙ্গরটি পাওয়া যায়। জাহাজের বাকি অংশগুলো আজো অনুসন্ধানকারীদের অধরা রয়ে যায়।

 

দ্য সান্তা মারিয়া

কলম্বাসের আমেরিকা যাত্রার সঙ্গী

সান্তা মারিয়া; বিখ্যাত একটি নাম। আমেরিকার উদ্ভাবক ক্রিস্টোফার কলম্বাসের জাহাজগুলোর একটি, যার মাধ্যমে তিনি ১৪৯২ সালে আমেরিকা আবিষ্কারের প্রাথমিক সমুদ্রযাত্রায় ব্যবহার করেছিলেন। এটি কলম্বাসের তিনটি জাহাজের একটি, যার মাধ্যমে তিনি অভিযানে গিয়েছিলেন। ‘সান্তা মারিয়া’ ছাড়াও কলম্বাসের আরও দুটি সহকারী জাহাজ ‘নিনা’ ও ‘পিন্তা’য় চড়ে আমেরিকা আবিষ্কার করেন। বলা হয়, ১৪৯২ সালের আগস্ট মাসে ক্রিস্টোফার কলম্বাস তিনটি জাহাজ নিয়ে স্পেন ত্যাগ করেন। জাহাজ তিনটির মধ্যে ‘নিনা’ ও ‘পিন্তা’ ত্রিভুজাকার পালতোলা ছোট জাহাজ। অন্যদিকে ‘সান্তা মারিয়া’ ছিল বাকি দুটোর চেয়ে বেশ বড়। জাহাজগুলো ছোট ছিল ঠিকই, তবে এগুলো ছিল ১৫ থেকে ৩৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা। এই জাহাজগুলোয় চড়ে ৯০ জন ক্রু নিয়ে কলম্বাস স্পেন ত্যাগ করেছিলেন। ধারণা করা হয়, শীতকালে বড়দিনের সময় একজন কেবিন ক্রু ছেলে ‘সান্তা মারিয়া’র হাল ধরেছিল এবং সে সময় অভিজ্ঞ নাবিক ও ক্রু সদস্যরা ঘুমিয়েছিলেন। এদিকে জাহাজ চালানো কিংবা নিয়ন্ত্রণের কোনোই অভিজ্ঞতা ছিল না ক্রু ছেলেটির। ফলাফল, ‘সান্তা মারিয়া’ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জাহাজটি যখন হাইতি উপকূলের কাছাকাছি আসে, তখন সাগরতলের পাথর বা প্রবাল প্রাচীরে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি তাৎক্ষণিক সাগরের অতলে তলিয়ে যায়। যদিও সে সময় বিপদ আঁচ করতে পেরে ‘সান্তা মারিয়া’র ক্রুরা জাহাজের কার্গোটিকে অন্য একটি অফবোর্ডে (ছোট নৌকা) নিয়ে যেতে সক্ষম হন। সেই থেকে আজো সাগরতলে সান্তা মারিয়া। উদ্ধারকারীদের ধারণা, জাহাজটি আজো হাইতি উপকূলের সমুদ্রতলের বালুর নিচে চাপা পড়ে আছে। সম্ভবত এটি আর কখনই উদ্ধার করা যাবে না। দুঃখজনক হলেও সত্য,  অন্য জাহাজ দুটি সান্তা মারিয়ার আকারের অর্ধেকেরও কম, তবুও ঝড়ের কাছাকাছি নানা বিপর্যয় সত্ত্বেও জাহাজ দুটি নিরাপদে স্পেনে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে।

 

বনহোম রিচার্ড

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জয়ের সঙ্গী

বনহোম রিচার্ড, একটি বিশেষ রণতরী। গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের বিপ্লবকালে সমুদ্রের রণতরী হিসেবে এই জাহাজের ব্যবহার দেখা গিয়েছিল। ১৭৬৬ সালে ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই রণতরীটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ফ্রান্সের রাজা লুইস-১৬ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জাহাজটি কিনেছিলেন। ১৭৭৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজা লাইস-১৬ ক্যাপ্টেন জন পল জোন্সকে রণতরীটি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্যারিসের আমেরিকান কমিশনার বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিনের সম্মানার্থে ক্যাপ্টেন জন ‘বনহোম রিচার্ড’-এর নাম পরিবর্তন করেন। বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন নিজে ফ্রান্সের বিখ্যাত পঞ্জিকায় ‘লেস ম্যাক্সিমেস ডি বনহোম রিচাড’ শিরোনামে একটি লেখাও প্রকাশ করেছিলেন। এরপর ক্যাপ্টেন জন প্রাক্তন ফরাসি রণতরী প্যালাস এবং ব্রিগ ভেঞ্জেন্স-এর সমন্বয়ে গঠিত দলের প্রধান হয়ে ওঠেন। একই বছরের  আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে তারা ১৬টি ব্রিটিশ নেভী জাহাজ এবং বানিজ্যিক জাহাজ দখল করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর বনহোম রিচার্ড নিয়ে ক্যাপ্টন জন ব্রিটিশ নেভির জাহাজ এইচএমএস গ্রেটপিস এবং এইচএমএস কাউন্টেসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। ব্রিটিশ জাহাজগুলো সে সময় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন রিচার্ড পিয়ারসন। ব্রিটিশদের হামলায় বনহোম রিচার্ডে আগুন ধরে যায়।  শত্রুর রণতরীতে আগুন ধরায়, ক্যাপ্টেন রিচার্ড পিয়ারসন শত্রুপক্ষকে আত্মসমর্পনের আহ্বান জানান। উত্তরে ক্যাপ্টেন জোন্স বলেন, ‘আমি এখনও যুদ্ধ শুরু করিনি’। পরের সাড়ে চার ঘণ্টা যুদ্ধে ব্রিটিশরা পরাজিত হয়। জয়ী হওয়ার ঠিক দুইদিন পর বনহোম রিচার্ড ফেরার পথে সমুদ্রের গভীর জলে তলিয়ে যায়।

 

মেরিন সালফার কুইন

রহস্য হয়ে রইল মেরিন কুইন

আমেরিকান তেলবাহী টি২ ট্যাঙ্কার এসএস মেরিন সালফার কুইন। ১৯৪৪ সালে পেনসিলভানিয়ায় বিশালাকৃতির জাহাজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যার কাজই কেবল তেল বহন। মেরিন কুইন জাহাজটি ৫২৪ ফুট দীর্ঘ, যার ওজন ১৫ হাজার টন। ১৯৬০ সালে, এই জাহাজে খানিকটা পরিবর্তন আনা হয়। উদ্দেশ্য, লিক্যুইড সালফার বহন। জলপথে এই সালফার পরিবহনের জন্যই এই জাহাজের নকশা করা হয়েছিল। হয়তো, এটাই ছিল কতৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্ত। যাইহোক, এর তিন বছর পর ১৯৬৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ছিল মেরিন কুইনের শেষ যাত্রা। সেদিন সালফার পরিবাহী জাহাজটি টেক্সাস থেকে নরফোক, ভার্জিনিয়ায় যাওয়ার পথে অদৃশ্য হয়ে যায়। আর গন্তব্যে ফেরেনি। নিখোঁজ হওয়ার সময়, জাহাজটি তার সঙ্গে ৩৯ জন নাবিক এবং ক্রু সদস্যেরও জীবন নিয়েছিল। হঠাৎ নিরুদ্দেশ্য হওয়ার পেছনে খারাপ আবহাওয়াকে দায়ী করা হলেও- নিখোঁজ হওয়ার আগে আমেরিকান কোস্ট গার্ড জাহাজ থেকে কোনো ধরনের দুর্দশা কিংবা বিপদ সংকেত পায়নি। অনেকে অনুমান করেছিলেন যে, মেরিন সালফার কুইন হয়তো জলদস্যু কিংবা নাশকতার শিকার হয়েছিল। ৪ ফেব্রুয়ারি জাহাজের সর্বশেষ অবস্থান দেখা যায় ফ্লোরিডার দক্ষিণ উপকূলে। যদিও আমেরিকান কোস্ট গার্ড জাহাজ অনুসন্ধানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সম্ভ্রাব্য সকল স্থানে অভিযান চালিয়েছিল, তবুও উদ্ধারকারী দল কোনও ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়নি। যা এই জাহাজকে সামুদ্রিক ইতিহাসে সবচেয়ে কৌতূহলী ও রহস্যময় নিখোঁজের তালিকায় আনে। পরবর্তীতে লিবিয়ার মরুভূমিতে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা যাচাই করা হয়নি।

 

ফ্লোর ডি লা মার

হারিয়ে যাওয়া সেই অভিশপ্ত জাহাজ

আরেকটি পরিচিত নাম- ফ্লোর ডি লা মার। এটি একটি পর্তুগিজ জাহাজ। ১৫০২ সালে নির্মাণ করা জাহাজটি কেবল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই নয়, যুদ্ধক্ষেত্রেও সমানভাবে ব্যবহার করা হতো। ১৫১১ সালে নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি ব্যস্ত সময় পার করে। দীর্ঘ নয় বছর সাফল্যের সঙ্গে সমুদ্র দাপিয়ে বেড়ায় ফ্লোর দে লা মার। কিন্তু সমস্যা বাঁধে- যখন জাহাজটি ফুটো হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। যদিও এর আগে নিয়মিতভাবে জাহাজটির মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কোনো প্রকার সুরক্ষাকবচ না নিয়ে, শেষবারের মতো জাহাজটি মালাক্কার পথে যাত্রা করে। কথিত আছে- সোনা, হীরা এবং অনেক রত্নপাথর বোঝাই কার্গো নিয়ে ফ্লোর দে লা মার মালাক্কায় যাত্রা করে। যদিও এর স্বপক্ষে সঠিক দলিল মেলেনি। বলা হয়, সেদিন জাহাজে থাকা স্বর্ণ, মূল্যবান মণিমুক্তা, রাজভান্ডারের সোনার মোহর ইত্যাদি সবই ছিল লুটকৃত। তা-ই নাকি বোঝাই করে জাহাজটি শেষ যাত্রা করেছিল। জাহাজের মেরামতের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও বন্দর ছাড়ার আগে এটি বেশ অনিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রণহীন বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো- সেদিন কোনো ক্র সদস্যই এই যাত্রা থামানোর চেষ্টা করেননি। সে যাত্রায় দায়িত্বরত ক্রু সদস্যরা কার্গো বোঝাই সম্পদ নিয়ে লিসবনে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছিল দৃঢ় এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে নাকি তারা জাহাজ নিয়ে পর্তুগালের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। দুঃখজনকভাবে, জাহাজটি মালাক্কা প্রণালি হয়ে যাওয়ার সময় ভয়ানক এক ঝড়ের কবলে পড়ে।

ফলাফল- মেরামতহীন জাহাজটি রক্ষিত ধনসম্পদ নিয়েই সুমাত্রার উত্তর তীরের সাগরে তালিয়ে যায়। যেহেতু প্রচলিত রয়েছে, জাহাজে প্রচুর ধনসম্পদ ছিল, তাই এটি খুঁজে বের করার জন্য অসংখ্যবার অনুসন্ধান চালানো হয়। যদিও জাহাজটি আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। কথিত আছে, লুটকৃত ধনভান্ডারের অভিশাপেই নাকি জাহাজটি সমুদ্রগর্ভে চিরতরে বিলীন হয়ে গেছে। প্রকৃত ঘটনা যাই হোক, আজো উৎসুক গুপ্তধন অনুসন্ধানকারীরা জাহাজ পুনরুদ্ধারে কাজ করছে।

 

এম এস মুঞ্চেন

জার্মান মুঞ্চেনের শেষ যাত্রা

আধুনিক জাহাজ এম এস মুঞ্চেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান- জার্মান হ্যাপাগ-লয়েড কোং। এটি মূলত একটি লাইটার জাহাজ বা ল্যাশ জাহাজ। ১৯৭২ সালে নির্মিত জাহাজটি ব্রেমারহেভেন, জর্জিয়া, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের জলপথ দাপিয়ে বেড়াত। কিন্তু হঠাৎ কী হলো! জাহাজটি ৪৫ বছর আগের উত্তাল আটলান্টিকে হারিয়ে যায়। জানা গেছে, এটি সে সময়  হ্যারিকেনের কবলে পড়েছিল। এম এস মুঞ্চেন কোনো সাধারণ মালবাহী জাহাজ ছিল না। এটি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম এবং আধুনিক কার্গো জাহাজ। এটি ২৬১ মিটার দীর্ঘ, ৩২ মিটার চওড়া, ৩৭ হাজার ১৩৪ জিআরটি এবং ২৬ হাজার হর্সপাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনের জাহাজ। এর অত্যাধুনিক নেভিগেশনাল সিস্টেম এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম সে সময় সবাইকে অবাক করে। প্রথম যাত্রায় জাহাজটি ৩৫ দিনের জন্য রটারডাম, ব্রেমারহেভেন থেকে চার্লসটন, নিউ অরলিন্স এবং হিউস্টন পাড়ি দেয়। জাহাজটির নেতৃত্বে ছিলেন অভিজ্ঞ নাবিক এবং কয়েকজন ক্রু সদস্য। অত্যাধুনিক এই জাহাজটি ৬১ বার সমুদ্র দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। ফলে জাহাজটি বারবারই শক্তিশালী ঝড়ের মুখোমুখি হয়। তবে এর ক্রু সদস্যরা বিশ্বাস করতেন- এটি নির্ভরযোগ্য এবং অত্যন্ত নিরাপদ জাহাজ। দুর্ভাগ্য চেপে বসে এর ৬২তম যাত্রায়। এটিই ছিল মুঞ্চেনের শেষ যাত্রা। ৭ ডিসেম্বর ১৯৭৮ সালে, নাবিক জোহান ডেনক্যাম্পের নির্দেশে, জাহাজটি সাভানার উদ্দেশে ব্রেমারহেভেন ছেড়ে যায়। সে দিন জাহাজে অবস্থান করছিলেন ২৫ জন পুরুষ এবং তিনজন মহিলা। জাহাজটির কার্গোতে ৮৩টি বার্জে বোঝাই ছিল ২৫ হাজার ৫৫৮ টন মালামাল, যার বেশির ভাগই ইস্পাত। দুঃসংবাদটি আসে ১২ ডিসেম্বর, ক্রিসমাসের আগে হামবুর্গে এ ধরনের গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছিল। সে দিন হ্যাপাগ-লয়েডে সকাল ৬টায় টেলিফোন বেজে ওঠে। বাইরে তখনো অন্ধকার। ফরাসি উপকূলীয় রেডিও স্টেশন বোর্ডাক্স-আর্চাচন জানায়, এম এস মুঞ্চেন শেষ রাতে (৩:১০ ঘটিকায়) আটলান্টিক মহাসাগরে বিপদে পড়ে। তখন থেকেই নিখোঁজ। বোঝা-ই যাচ্ছিল, জাহাজ এবং এর সঙ্গে থাকা ২৮ ক্রুদের ভাগ্যে কী ঘটেছে।

 

লে গ্রিফন

গ্রেট লেকের সবচেয়ে বড় রহস্য

ফরাসি জাহাজ লে গ্রিফন। তালিকায় থাকা অন্যান্য জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে এটি অনেকটা আলাদা। কেননা, এটি সমুদ্রে নয়, আমেরিকার গ্রেট লেকগুলো চষে বেড়াত। উত্তর আমেরিকার ফরাসি উদ্ভাবক সিউর দে লা স্যালে এবং রেনে রবার্ট ক্যাভেলিয়ার এই জাহাজটি নির্মাণ করেছিলেন। উদ্দেশ্য, চীন ও জাপানের উত্তর-পশ্চিম পথের অনুসন্ধান এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যের পথ তৈরি। ১৬৭০ দশকে উত্তর আমেরিকার লেকগুলোতে কাজ করার জন্য প্রথম পূর্ণ-আকারের পালতোলা জাহাজ লে গ্রিফন। যা তৎকালীন বিশ্বের আধুনিক বাণিজ্যিক জাহাজ। লে গ্রিফন কয়েক বছর সফলতার সঙ্গে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে এর শেষ যাত্রাকাল ছিল ৭ আগস্ট ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দ। সে দিন লে গ্রিফনের নির্মাতা ফরাসি উদ্ভাবকরা জাহাজটি নিয়ে প্রথমবারের মতো সমুদ্রযাত্রায় রওনা হন। সে যাত্রায় জাহাজের ক্রুসহ মোট সদস্য ছিলেন ৩২ জন। উদ্ভাবক দে লা স্যালে তার দল নিয়ে লেক এরি, লেক হুরন এবং মিশিগান হ্রদ পেরিয়ে অজানা পথে যাত্রা করেন। উদ্দেশ্য ছিল সমুদ্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রণালি আবিষ্কার। ভালোই চলছিল লে গ্রিফন। পরবর্তীতে ১৮ সেপ্টেম্বর ওই উদ্ভাবক অবতরণ শেষে জাহাজটি নায়াগ্রার পথে ফেরত পাঠান। আরেক উদ্ভাবক রবার্ট ক্যাভেলিয়ার লে গ্রিফনকে নিয়ে উইসকনসিন থেকে ওয়াশিংটন বা রক আইল্যান্ডে বিরতি নেন। এরপর আর তাদের দেখা মেলেনি। জাহাজটি ছয়জন ক্রু সদস্য এবং পশম বোঝাই কার্গোসহ হারিয়ে যায়। জানা গেছে, লে গ্রিফন মিশিগান লেক পেরিয়ে ম্যাকিনাক দ্বীপের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু জাহাজের ওই ক্রু সদস্যদের ভাগ্যে কী ঘটে, তা আজো জানা যায়নি। লে গ্রিফন ১৬৭৯ সালের সেপ্টেম্বরে নিখোঁজ হয়। তবে গুপ্তধন সন্ধানকারীরা এখন পর্যন্ত ২২ বার এর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেন। যদিও দাবির স্বপক্ষে তিনটি বাদে সবই ভুল প্রমাণিত হয়। বিখ্যাত জাহাজডুবি লেখক, ক্লাইভ কাসলার তার লেখার উদ্ধৃতিতে বলেছেন, ‘লে গ্রিফন-এমন কোনো ধ্বংসাবশেষ নয়, যে কেউ মাত্র দশ মিনিটেই খুঁজে পাবে। এটি এখন সময়ের পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
সর্বশেষ খবর
মানিকগঞ্জে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের কর্মবিরতি
মানিকগঞ্জে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের কর্মবিরতি

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে হত্যায় অভিযুক্তকে খুন!
সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে হত্যায় অভিযুক্তকে খুন!

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনে পর্যটকবাহী চার নৌকা ডুবে নয়জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
চীনে পর্যটকবাহী চার নৌকা ডুবে নয়জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় অভিযান আরও বিস্তৃত করার অনুমোদন দিল ইসরায়েল
গাজায় অভিযান আরও বিস্তৃত করার অনুমোদন দিল ইসরায়েল

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলকাতায় বাহাউদ্দিন নাছিমের বিলাসী ফ্ল্যাট
কলকাতায় বাহাউদ্দিন নাছিমের বিলাসী ফ্ল্যাট

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

স্পেনের চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনয়ন পেল ‘মাস্তুল’
স্পেনের চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনয়ন পেল ‘মাস্তুল’

১৫ মিনিট আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক আলকাট্রাজ কারাগার পুনরায় চালুর নির্দেশ ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক আলকাট্রাজ কারাগার পুনরায় চালুর নির্দেশ ট্রাম্পের

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেদিনও ছিল আকাশে বৈশাখীর ভরা পূর্ণিমার চাঁদ
সেদিনও ছিল আকাশে বৈশাখীর ভরা পূর্ণিমার চাঁদ

২৬ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা
প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

রাঙামাটিতে তরুণদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
রাঙামাটিতে তরুণদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যা : কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর রিমান্ডে
যুবদল নেতা হত্যা : কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর রিমান্ডে

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে চোখের চিকিৎসাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের
বাংলাদেশে চোখের চিকিৎসাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের

৩৬ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

বনশ্রীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
বনশ্রীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

৩৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

পেরুর সোনার খনিতে অপহৃত ১৩ নিরাপত্তাকর্মীর মরদেহ উদ্ধার
পেরুর সোনার খনিতে অপহৃত ১৩ নিরাপত্তাকর্মীর মরদেহ উদ্ধার

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা : গাজীপুরে বিশেষ অভিযানে আটক ৫৪
হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা : গাজীপুরে বিশেষ অভিযানে আটক ৫৪

৪৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

চার ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিল বনলতা এক্সপ্রেস
চার ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিল বনলতা এক্সপ্রেস

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ বিয়ে, নিঃসঙ্গ মৃত্যু, কাজহীন ১৮ বছর: বলিউড ভিলেনের করুণ পরিণতি
৫ বিয়ে, নিঃসঙ্গ মৃত্যু, কাজহীন ১৮ বছর: বলিউড ভিলেনের করুণ পরিণতি

৫৩ মিনিট আগে | শোবিজ

এবার ইসরায়েলের আকাশ অবরোধের ঘোষণা দিল হুথি
এবার ইসরায়েলের আকাশ অবরোধের ঘোষণা দিল হুথি

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বন্ধ্যত্বের বিশ্বমানের চিকিৎসা দেশেই
বন্ধ্যত্বের বিশ্বমানের চিকিৎসা দেশেই

৫৭ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

অবশেষে স্বপ্নপূরণ, ট্রফির দেখা পেলেন হ্যারি কেইন
অবশেষে স্বপ্নপূরণ, ট্রফির দেখা পেলেন হ্যারি কেইন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইনজীবী হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো চিন্ময় দাসকে
আইনজীবী হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো চিন্ময় দাসকে

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অ্যাস্থেটিক সার্জারি সেন্টার
বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অ্যাস্থেটিক সার্জারি সেন্টার

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

পেত্রায় আকস্মিক বন্যা, নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হলো ১৮০০ পর্যটককে
পেত্রায় আকস্মিক বন্যা, নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হলো ১৮০০ পর্যটককে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের সাথে শান্তি চুক্তি অনিবার্য, এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র : পুতিন
ইউক্রেনের সাথে শান্তি চুক্তি অনিবার্য, এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র : পুতিন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘরোয়া উপায়ে দূর হবে হাঁটু-কনুইয়ের কালো দাগ
ঘরোয়া উপায়ে দূর হবে হাঁটু-কনুইয়ের কালো দাগ

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নিজ বাসায় থাকার অধিকার ফিরে পেলেন তুরিন আফরোজের মা
নিজ বাসায় থাকার অধিকার ফিরে পেলেন তুরিন আফরোজের মা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেসব ভুলে নষ্ট হতে পারে ফ্রিজে রাখা খাবার
যেসব ভুলে নষ্ট হতে পারে ফ্রিজে রাখা খাবার

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না
স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রে কেঁপে উঠল তেল আবিব, ইসরায়েলের ১০০ এলাকায় সাইরেন
ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রে কেঁপে উঠল তেল আবিব, ইসরায়েলের ১০০ এলাকায় সাইরেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনা ও স্টারলাইন পরিবহনের ১৯০ গাড়ি জব্দে আদেশ
এনা ও স্টারলাইন পরিবহনের ১৯০ গাড়ি জব্দে আদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যারিস্টার রাজ্জাক মারা গেছেন
ব্যারিস্টার রাজ্জাক মারা গেছেন

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাকিস্তানের যে হাতিয়ার ভারতীয় জেনারেলদের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে
পাকিস্তানের যে হাতিয়ার ভারতীয় জেনারেলদের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশিদের জন্য আবারও ভিসা চালু করেছে আমিরাত
বাংলাদেশিদের জন্য আবারও ভিসা চালু করেছে আমিরাত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১টা বাজলেই ছুটি বিদ্যালয়, বিরক্ত শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা
১টা বাজলেই ছুটি বিদ্যালয়, বিরক্ত শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিএসএলে রেকর্ড গড়ে ‘সবার ওপরে’ রিশাদ
পিএসএলে রেকর্ড গড়ে ‘সবার ওপরে’ রিশাদ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তুরস্কের আকাশসীমায় বাধা, আজারবাইজান সফর বাতিলে বাধ্য হলেন নেতানিয়াহু
তুরস্কের আকাশসীমায় বাধা, আজারবাইজান সফর বাতিলে বাধ্য হলেন নেতানিয়াহু

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চিকিৎসা ভিসা সহজ করল চীন
বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চিকিৎসা ভিসা সহজ করল চীন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে তোয়াক্কা করছে না আজাদ কাশ্মীর, চলছে ধুমধাম বিয়ে!
ভারতকে তোয়াক্কা করছে না আজাদ কাশ্মীর, চলছে ধুমধাম বিয়ে!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা
গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১২০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারবে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র
১২০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারবে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলপি গ্যাসের দাম কমেছে
এলপি গ্যাসের দাম কমেছে

১৯ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

হুথির বিষয়ে আমেরিকা-ইসরায়েলকে যা বলল ইরান
হুথির বিষয়ে আমেরিকা-ইসরায়েলকে যা বলল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গুলশানের বাসা থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৫ নেতা গ্রেফতার
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গুলশানের বাসা থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৫ নেতা গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাপলা চত্বরে নিহত ৯৩ জনের তথ্য প্রকাশ করল হেফাজতে ইসলাম
শাপলা চত্বরে নিহত ৯৩ জনের তথ্য প্রকাশ করল হেফাজতে ইসলাম

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবিক করিডর নিয়ে কোনও চুক্তি হয়নি: খলিলুর রহমান
মানবিক করিডর নিয়ে কোনও চুক্তি হয়নি: খলিলুর রহমান

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হুমকি দিলেন কিন্তু রাজনাথ পাকিস্তানের নামই মুখে নিলেন না!
হুমকি দিলেন কিন্তু রাজনাথ পাকিস্তানের নামই মুখে নিলেন না!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করল কয়েকটি দেশ
হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করল কয়েকটি দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় ‘ভুল সংবাদ’ প্রচারে প্রেস উইংয়ের নিন্দা
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় ‘ভুল সংবাদ’ প্রচারে প্রেস উইংয়ের নিন্দা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন নেতাকর্মীদের যে নির্দেশনা বিএনপির
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন নেতাকর্মীদের যে নির্দেশনা বিএনপির

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টানা ১৫ ঘণ্টা সংবাদ সম্মেলন করে রেকর্ড গড়লেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট
টানা ১৫ ঘণ্টা সংবাদ সম্মেলন করে রেকর্ড গড়লেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীসহ সাবেক কর কর্মকর্তা রঞ্জিত কুমারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
স্ত্রীসহ সাবেক কর কর্মকর্তা রঞ্জিত কুমারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীদের ফোন-ইন্টারনেট ভাতা দিতে কমিটি
মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীদের ফোন-ইন্টারনেট ভাতা দিতে কমিটি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী ইসরাতকে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী ইসরাতকে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা

১৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় চীনা গাড়ির চাহিদা বাড়বে: রিপোর্ট
সংযুক্ত আরব আমিরাত, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় চীনা গাড়ির চাহিদা বাড়বে: রিপোর্ট

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোরবানির ঈদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
কোরবানির ঈদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদল সম্পাদকের নিন্দা
হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদল সম্পাদকের নিন্দা

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ব্যাটারের পকেট থেকে মোবাইল ছিটকে পড়ার ঘটনা ভাইরাল, হতবাক অনেকে
ব্যাটারের পকেট থেকে মোবাইল ছিটকে পড়ার ঘটনা ভাইরাল, হতবাক অনেকে

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
মন খারাপের দেশে দুঃস্বপ্নের পাহাড়!
মন খারাপের দেশে দুঃস্বপ্নের পাহাড়!

সম্পাদকীয়

ভুয়া ঠিকানায় দলের ছড়াছড়ি
ভুয়া ঠিকানায় দলের ছড়াছড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছড়িয়ে পড়ছে স্ক্যাবিস
ছড়িয়ে পড়ছে স্ক্যাবিস

পেছনের পৃষ্ঠা

রণপ্রস্তুতিতে ভারত-পাকিস্তান
রণপ্রস্তুতিতে ভারত-পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

মাতারবাড়ী ও মোংলা হবে শিপিং হাব
মাতারবাড়ী ও মোংলা হবে শিপিং হাব

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৩০০ ফিট এখন জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে
৩০০ ফিট এখন জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে

নগর জীবন

আত্মঘাতী ‘মানবিক করিডর’
আত্মঘাতী ‘মানবিক করিডর’

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যর্থনা জানাবেন নেতা-কর্মীরা
অভ্যর্থনা জানাবেন নেতা-কর্মীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

মালচিং পদ্ধতিতে বাড়ছে শসা চাষ
মালচিং পদ্ধতিতে বাড়ছে শসা চাষ

পেছনের পৃষ্ঠা

কী হবে শতবর্ষী গাছগুলোর
কী হবে শতবর্ষী গাছগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

রাশমিকার প্রেমে ছন্দপতন
রাশমিকার প্রেমে ছন্দপতন

শোবিজ

‘ফোরামের’ নতুন আবির্ভাব!
‘ফোরামের’ নতুন আবির্ভাব!

মাঠে ময়দানে

হাসনাতের ওপর হামলা এনসিপির বিক্ষোভ
হাসনাতের ওপর হামলা এনসিপির বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

খাল-নালার পাড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী বসাচ্ছে চসিক
খাল-নালার পাড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী বসাচ্ছে চসিক

নগর জীবন

হেফাজতের পাশে দাঁড়াতে বলেছিলেন খালেদা জিয়া
হেফাজতের পাশে দাঁড়াতে বলেছিলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

যেভাবে দর্শক পছন্দের নায়ক রুবেল...
যেভাবে দর্শক পছন্দের নায়ক রুবেল...

শোবিজ

ধরাছোঁয়ার বাইরে মাদক মাফিয়ারা
ধরাছোঁয়ার বাইরে মাদক মাফিয়ারা

নগর জীবন

সুচিত্রা কেন ক্ষেপেছিলেন ধর্মেন্দ্রর ওপর
সুচিত্রা কেন ক্ষেপেছিলেন ধর্মেন্দ্রর ওপর

শোবিজ

হকির ব্যর্থতার তদন্ত করছে ক্রীড়া পরিষদ
হকির ব্যর্থতার তদন্ত করছে ক্রীড়া পরিষদ

মাঠে ময়দানে

আলোকবর্তিকার মতো কাজ করছে এই শিক্ষাবৃত্তি
আলোকবর্তিকার মতো কাজ করছে এই শিক্ষাবৃত্তি

বসুন্ধরা শুভসংঘ

চলে গেলেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক
চলে গেলেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক

প্রথম পৃষ্ঠা

লিটনের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ
লিটনের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নির্বাচন ইস্যুতে তৎপর বিদেশিরা
নির্বাচন ইস্যুতে তৎপর বিদেশিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বকশিশ বা ভিক্ষা চাই না হিসাবের পাওনা চাই
বকশিশ বা ভিক্ষা চাই না হিসাবের পাওনা চাই

পেছনের পৃষ্ঠা

এলাকাভিত্তিক মঞ্চ কেন প্রয়োজন
এলাকাভিত্তিক মঞ্চ কেন প্রয়োজন

শোবিজ

গপ্পসপ্প আর গান নিয়ে অ্যাঞ্জেল নূর
গপ্পসপ্প আর গান নিয়ে অ্যাঞ্জেল নূর

শোবিজ

কবে নির্বাচন জানতে চেয়েছে রাশিয়া-জাপান
কবে নির্বাচন জানতে চেয়েছে রাশিয়া-জাপান

প্রথম পৃষ্ঠা

বার্সার পিছু ছুটছে রিয়াল
বার্সার পিছু ছুটছে রিয়াল

মাঠে ময়দানে

জয়ে ফিরল মেসির মায়ামি
জয়ে ফিরল মেসির মায়ামি

মাঠে ময়দানে