আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়কের অনেক স্থানে বেহাল দশা। যা পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। রাস্তার মাঝখানে গর্তে পানি জমাটে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। যানজটে আটকা পড়তে হচ্ছে লাখ লাখ মানুষকে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে যাত্রীবাহী যানবাহন। সবচেয়ে বেহাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপালের সামনে ঘাটুরা, বিরাসার মার্কাজ মসজিদ থেকে পৈরতলা, পুনিয়াউট, রাধিকা, সুলতানপুরসহ আরও কয়েকটি স্থানে। এ সড়ক দিয়ে ঢাকা কুমিল্লা, ফেনি, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। সরেজমিনে দেখা গেছে, আশুগঞ্জ থেকে ধরখার পর্যন্ত নির্মাণাধীন সড়কের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দের কারণে যান চলাচলে বাধা পোহাতে হচ্ছে। বিশ্বরোড মোড়ে প্রতিদিনই তীব্র যানজট লেগে থাকছে। আবার বিভিন্ন স্থানে বাস ট্রাক উল্টে পড়ে লেগে আছে দীর্ঘ যানজট। শহরের ভিতর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। ফলে জনদুর্ভোগ নিত্যদিনের।
সড়কে যাতায়াতকারী ও গাড়িচালকরা জানান, আশুগঞ্জ থেকে সুলতানপুর পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে সৃষ্ট গর্তে পানি জমে থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে। সব সময় ভয় কাজ করে এই জায়গাগুলোতে এলে। সড়কের দেবে যাওয়া অংশ ও সৃষ্টি হওয়া গর্ত মেরামত করা না হলে দুর্ঘটনা বেড়ে যাবে। ভারতীয় ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ফোর লেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ জানান, আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পটি তিনটি প্যাকেজে বাস্তবায়ন হচ্ছিল। তিনটি প্যাকেজেরই ঠিকাদার ছিলেন ভারতের এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ভারতীয়রা তাদের হাইকমিশনে নিরাপত্তার কথা বলে সবাই দেশে ফিরে গেছে। শ্রমিকরা চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি বন্ধ আছে। কবে চালু হবে আমরা তা এখন বলতে পারছি না।