শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

বিএনপি নেতারা ‘টল-টকে’ ওস্তাদ, কাজে ঠনঠন

কাজী সিরাজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিএনপি নেতারা ‘টল-টকে’ ওস্তাদ, কাজে ঠনঠন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবশেষে একটি সত্য কথা উচ্চারণ করেছেন, যা সচরাচর লীগ রাজনীতিতে দেখা যায় না। তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, বিএনপিকে দুর্বল ভাবা ঠিক হবে না। আওয়ামী লীগের ‘হাম্-সে বড়া কোন্ হ্যায়’ মনোভাবের সঙ্গে তার এ বক্তব্য সাংঘর্ষিক হলেও তিনি সত্যোচ্চারণের মাধ্যমে একজন প্রকৃত রাজনৈতিক নেতারই পরিচয় দিয়েছেন।  লীগ নেতারা ক’বছর ধরে বিএনপিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করে আসছিলেন। তারা এমন দম্ভোক্তিও করছেন, তাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক অবস্থানের মুখে বিএনপি ‘বিলীন’ হয়ে গেছে। কিন্তু জনগণের মধ্যে বিরাজিত দলটির অন্তর্নিহিত শক্তি যে এখনো বিদ্যমান তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতেই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে যে, বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর জনসমর্থন পেতে পারে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনই তার প্রমাণ। দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের অসহযোগিতা ও অসম প্রার্থী দিয়েও প্রায় এক লাখ ভোট পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বিএনপি হেরেছে তার চেয়েও বেশি আলোচনার বিষয় হচ্ছে তারা এত ভোট পেল কী করে? এই যে নীরব জনসমর্থন তা কাজে লাগানোর কোনো কাজ করছে না কিন্তু দলটি। বরং চলছে বিপরীতমুখী কাজ।

বিএনপিপি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের একটি খবর দিয়ে প্রসঙ্গটা ব্যাখ্যা করতে চাই। ১১ জানুয়ারি ফেসবুকেও তা প্রচার হয়েছে। বিএনপির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে পর্যবেক্ষকদের সমালোচনা যে কত সঠিক ও যৌক্তিক তার প্রমাণ মেলে এই খবরে। ‘নওগাঁ জেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে রমরমা বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বিএনপির কমিটি ঘোষণা নিয়ে তৃণমূল বিএনপিতে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ। চরমভাবে হতাশ হয়েছে ১/১১ থেকে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও মাঠ দখলে রাখা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলে কথা বলে জানা যায়, দুঃসময়ে যারা দলের জন্য সাহসী ভূমিকা রেখেছেন তাদের বাদ দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। যারা সুবিধাবাদী হিসেবে দলে পরিচিত তারাই টাকা দিয়ে কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছে। নওগাঁ সংসদীয় আসনে সাবেক একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী তৃণমূলের নেতা বিএনপিপি নিউজকে বিএনপি নওগাঁ জেলা কমিটি গঠনে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেন, টাকার বিনিময়ে সেই নেতা মালয়েশিয়া প্রবাসী একজনকে জেলার সহ-সভাপতি করেছেন। কারণ মালয়েশিয়া প্রবাসী নেতা বিএনপির সেই নেতাকে মোটা অঙ্কের উপঢৌকন দেন নিয়মিত। জানা যায়, এভাবে টাকার বিনিময়ে ঢাকায় বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরিরত অনেককে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন। অভিযোগকারী তৃণমূলের সে নেতা অভিযোগ করেন, ১/১১-এর পর নেতৃত্বশূন্য বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে আগলিয়ে রেখেছিলাম এর প্রতিদান পেলাম জেলা বিএনপির একজন সাধারণ সদস্য হিসেবেও মূল্যায়িত না হয়ে। অথচ মূল্যায়িত হয়েছে যারা দলকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে। এখন আর ভালো মানুষ বিএনপি করতে পারে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় নওগাঁর এই নেতা। গত ৬ জানুয়ারি শুক্রবার নওগাঁ জেলা বিএনপির এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। শুধু নওগাঁয় নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে যেখানেই নতুন কমিটি গঠনের খবর পাওয়া যাচ্ছে একই সঙ্গে এ খবরও আসছে যে, মাঠের লড়াকু ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের কোনো মূল্যায়ন হচ্ছে না। শুধু জেলা নয়, থানা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি ও নেতৃত্ব বেচা-কেনার যেন হাট বসে বিএনপিতে। মূল দলের ক্ষেত্রেই বিষয়টা সীমাবদ্ধ নেই, অঙ্গ ও সহযোগী দলেও তা মারাত্মকভাবে সংক্রমিত। একটি রাজনৈতিক দলে নেতৃত্ব নির্মাণ বা গঠনের স্বাভাবিক ও স্বতঃসিদ্ধ প্রক্রিয়াটি মোটেই অনুসরণ করা হয় না বিএনপিতে। প্রক্রিয়াটি হচ্ছে, সব পর্যায়েই স্ব স্ব স্তরের কাউন্সিলরদের হয় ঐকমত্য অথবা গোপন ব্যালটে কমিটির নেতা নির্বাচিত হয়। বিএনপিতে না কেন্দ্রে, না তৃণমূলে এ প্রক্রিয়া মেনে চলা হয়। এসব নিয়ম-পদ্ধতির কোনো বালাই নেই দলটিতে। আরও বিস্ময়কর হচ্ছে, কেন্দ্রে বা তৃণমূলে কাউন্সিল বা সম্মেলনের দিন কমিটি ঘোষণা করা হয় না। ২০১৬ সালের জাতীয় কাউন্সিল হয়েছে ১৯ মার্চ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়ে গেছেন কাউন্সিলের আগেই। ব্যাস, এই পর্যন্তই। স্থায়ী কমিটি ও অন্য কমিটিসমূহ কত মাস পরে ঘোষণা করা হয়েছে সবারই তা জানা। কমিটি ঘোষণায় কাউন্সিলর বা তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো প্রয়োজনই দলের মালিকানা যারা দাবি করেন তারা অনুভব করেননি। মনে হয় দলটাকে তারা মনে করেন তাদের পারিবারিক সম্পত্তি-জমিদারি। যারা এ দল করেন তারা সবাই তাদের খাস মহলের প্রজা। প্রজার আবার রাজার কাজে প্রশ্ন কিসের? তাদের আবার মতামত কী? হুকুম তামিল করাই তাদের কাজ। এই মনোবৃত্তির কারণেই যাদের ঘামে আর শ্রমে দল টিকে আছে, যারা মামলা-মোকদ্দমা, জেল-জুলুমে পর্যুদস্ত ও সর্বস্বান্ত হয়ে দলের মায়ায় দলেই আছেন, কোথাও তাদের মতামতের কোনো পাত্তাই দেওয়া হয় না। ভাবখানা এমন, যেন এরা ক্রীতদাস। যাবে কোথায়? আরও লক্ষণীয়, জেলা কমিটি জেলায় হয় না, ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে থানা কমিটির ‘ওহি’ও নাজিল হয় কেন্দ্র থেকে। মনোপলি কমিটি বাণিজ্যের কী সুবিধা! ইউনিয়ন কমিটিও ইউনিয়নে তো হয়ই না, এমনকি থানাতেও হয় না। জেলা কমিটির ‘খলিফারা’ কেন্দ্রের বুজুর্গদের সঙ্গে ‘সেলামি-হাদিয়া’ বিনিময় করে নিজেদের মতো করে কাজ সারেন। বিএনপি নয় বছর ক্ষমতার বাইরে। তারপরও কমিটি ও নেতৃত্ব বেচা-কেনার বাজার এত ‘তেজী’ কেন এমন একটা প্রশ্ন কারও মনে উঁকি দিতেই পারে। দেশের সর্বোচ্চ থেকে একেবারে সর্বনিম্ন পর্যায় পর্যন্ত চাঁদাবাজি, তোলাবাজি, টেন্ডারবাজি, অস্ত্রবাজিসহ নানা ধরনের ‘বাজিকরির’ বিষয়ে সবাই অবহিত। একটা খবর হয়তো সবার জানা নেই যে, এসব ‘বাজিকরি’ শুধু সরকারি দলই করে না, প্রভাবশালী বিরোধী দলও এসব কাজে একেবারে ‘দরবেশ’ থাকে না। ছোটখাটো ‘কায়কারবারে’ তারাও জড়িত থাকেন। ‘বিগ ডিল’ সরকারি দলের বাজিকররা করলেও প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মাঝারি-স্মল ‘ডিলে’ ক্ষেত্রবিশেষে সরকারি দলও বাধা দেয় না। কোথাও কোথাও মিলেমিশেই তারা কাজ করেন। অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাদের যৌথ ব্যবসার খবরও পাওয়া যায়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ‘নেতারা’ও এই ‘সুবিধা’ ভোগ করেন। তাই নেতৃত্ব ‘কেনার’ জন্য বিনিয়োগ করতে আগ্রহী থাকেন অনেকে। আবার কেউ কেউ তো বেচাকেনার জন্য ‘দোকান’ খুলে বসেই আছেন। এ অবস্থায় একটি রাজনৈতিক দলের ভাগ্যলিখন যা হওয়ার তাই তো হবে। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি চেয়ারপারসন যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার সঙ্গে তার দুঃখবোধও মিশ্রিত থাকার কথা। ছাত্রদলের শুরুটাই ভালো হয়েছিল।

এর প্রতিষ্ঠা, গঠন ও বিকাশ প্রক্রিয়ার সঙ্গে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া যাদের যুক্ত করেছিলেন অতীত ও সমকালীন ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল। এখন যারা ছাত্রদল করে তারা কি জানে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি কোথায় হয়েছিল? দলের প্রথম মহাসচিব অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পরামর্শে সেই আহ্বায়ক কমিটি করার দায়িত্ব কাদের ওপর বর্তেছিল? ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কাজী আসাদ, সাবেক মন্ত্রী এবং ওই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত ডিজিডিএফআইয়ের কর্মকর্তা মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম নিশ্চয়ই ভোলেননি। বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাহেব তো জানেনই। আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরাও জানেন, কত যাচাই-বাছাই করে কমিটিতে সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। খুলনা বিএল কলেজের তৎকালীন নির্বাচিত সহ-সভাপতি শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দনের প্রতি কিছুটা অবিচারের কথা মনে পড়ে। তবে একজন আদর্শবাদী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে আস্থাশীল চন্দন দলের মূল নেতৃত্বের পছন্দ কাজী আসাদকে সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে মেনে নিতে কোনো আপত্তি করেননি। একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করেছেন। মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রদের নিয়ে তারা ছাত্রদলকে যে শক্ত পাটাতনের ওপর ভিত্তি দিয়ে যান, একসময় সেই ছাত্রদল দেশের প্রায় ৭০-৮০ ভাগ কলেজ ছাত্র সংসদ নিয়ন্ত্রণ করেছে। বিএনপির প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের কাছেও ছাত্রদল ছিল একটি ঈর্ষণীয় ছাত্র সংগঠন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের গৌরবদীপ্ত ভূমিকা এখন ইতিহাসের অন্তর্গত বিষয়। তৎকালীন ডাকসু ভিপি আমানউল্লাহ আমান ছিলেন স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের আতঙ্ক। আমান-খোকন-আলমের নেতৃত্বাধীন ডাকসু ছিল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের প্রাণ। দেশের সব গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিল তাদের সাংগঠনিক শক্তি বিবেচনায়। তবে এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবের বিচক্ষণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তার মূল দলের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করেছিলেন বলে তার সংগঠনে সমালোচিত ছিলেন। যাই হোক, বলছিলাম ছাত্রদলের অতীত-ঐতিহ্য আর গৌরবগাথার কথা। বেগম খালেদা জিয়া যখন দলের দায়িত্ব নেন, এরশাদীয় নিপীড়নে বিএনপি এবং তার সব অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন দারুণ কোণঠাসা ছিল। বিএনপির যারা প্রবীণ, মনে করুন তো, এখনকার চেয়ে বিএনপি কি তখন কম প্রতিকূলতার মুখে ছিল? তারপরও দায়িত্ব গ্রহণের পর বেগম খালেদা জিয়া একটি কমিটেড, আদর্শবাদী ও দলানুগত কর্মীবাহিনী পেয়েছিলেন। একটা সুরক্ষিত ও মজবুত দলীয় প্লাটফর্ম পেয়েছিলেন, যা জিয়ার হাতে তৈরি, জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত। ছাত্রদল ছিল সবচেয়ে সুগঠিত, শক্তিশালী। বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উত্থানে এই ছাত্রদল অগ্রণী ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছিল বললে অত্যুক্তি হবে না। ম্যাডামের অহঙ্কারের সেই ছাত্রদল নষ্ট হলো কার হাতে? মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এখন ছাত্রদলের প্রতি আকৃষ্ট নয় কেন? নব্বই-পূর্ববর্তী ছাত্রদলের অনেক সমর্থক-কর্মী, এমনকি নেতা মেধার বলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন, দেশ ও জাতিকে সেবা দিয়েছেন, প্রশাসনিক ও দাফতরিক কাজেও দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের অধিকাংশই এখন অবসর জীবনযাপন করছেন।

ছাত্রদলের ওপর, দলীয় নেতাদের ওপর দলনেত্রীর ক্ষোভের কারণ বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পর তিনি যত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, একটি কর্মসূচিতেও নেতারা কেউ মাঠে নামেননি। নেতারা নামেননি বলেই কর্মী-সমর্থকরাও কেউ নামতে সাহস করেনি। সব কর্মসূচি ফ্লপ। বিগত নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণ করানোর জন্য সরকার স্বীয় অবস্থান থেকে পিছু হটে ‘সর্বদলীয় সরকারের’ প্রস্তাব দেওয়ার পরও নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল থেকে যে দলীয় সর্বনাশ করেছে সে সর্বনাশা ‘ঘা’ সারানোর চেষ্টা দলটি নতুন করে শুরু করেছে বলে মনে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তেমন সদিচ্ছারই পরিচয় বিএনপি দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বিএনপি জনসমর্থনশূন্য কোনো দল নয়— তার প্রমাণ মিলেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে। ‘কোর’ সমর্থন তাদের অটুট আছে বলেই ধারণা স্পষ্ট করেছে সে নির্বাচন। তাতে প্রায় ১ লাখ ভোট প্রাপ্তি বিএনপির সব নেতা-কর্মীকে অনুপ্রাণিত করার কথা। কিন্তু দলের ভীতু, কাপুরুষ নেতৃত্বকে তা স্পর্শ করেছে বলে মনে হয়নি। ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সরকার তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বা নয়াপল্টনে সভা করার অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল, সারা দেশে কিছু কিছু কর্মসূূচি পালিত হতে দেখা গেলেও ঢাকা ছিল প্রতিবারের মতোই নিথর, নিস্তব্ধ। বিএনপি নামক একটি দল ঢাকায় আছে বলেই মনে হয়নি। কেন এমন হলো? ব্রিফিংবাজি করে কি আন্দোলন হয়? নির্বাচন ও আন্দোলন একটি রাজনৈতিক দলের কাছে খুবই সম্পর্কযুক্ত একটি বিষয়। নির্বাচনকে বলা হয় আন্দোলনের অংশ। আবার আন্দোলনের সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ধারণ করে দেয় নির্বাচনের ফলাফল। ঢাকায় আন্দোলন ব্যর্থ হলে বাদবাকি জেলায় সফল হয়ে কোনো লাভ নেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে। সারা দেশেও যে আহামরি কিছু বিএনপি করতে পেরেছে তেমনও নয়। কেন পারল না তার পর্যালোচনা কি হবে সেই দলে? জনসমর্থন থাকলেই বিএনপির মতো একটি শান্ত-সমর্থকনির্ভর দল ভোটের ফলাফলে ভালো করতে পারে না। জনসমর্থনকে ক্যাশ করার জন্য প্রয়োজন মজবুত সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক এবং সৎ, সাহসী ও যোগ্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব— যারা নীতি-আদর্শে অবিচল, রাজনৈতিক ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। এখানেই আসে এ লেখার শুরুর প্রসঙ্গ। যারা নানা ধরনের ব্যক্তিগত-গোষ্ঠীগত সুবিধা নেওয়ার জন্য সংগঠনে পদ-পদবি কিনে নেন বা ‘দেবতা’ যে ভোগে তুষ্ট তা দিয়ে সব কিছু ম্যানেজ করে নেন, তারা মাঠে কেন নামবেন? তারা কেন ঝুঁকি নেবেন? দল করে, স্রেফ দল করে বড় বড় অবস্থানে থেকে যারা বিপুল বিত্ত-বৈভব গড়েছেন তারা তা হারানোর ঝুঁকি নেবেন কী করে? আগামী নির্বাচনে লড়ার মতো লড়তে হলে শুধু নির্বাচন কমিশনের মাজা শক্ত হলেই চলবে না, বিএনপিকেও নিজের মাজা শক্ত করতে হবে। মর্যাদার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে যাদের ‘আমলনামা’ খারাপ তাদের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরা ‘টল-টকে’ ওস্তাদ, কাজের বেলায় ঠনঠন। কমিটি বেচাকেনা, নেতৃত্ব বেচাকেনার ব্যাপারী ও পাইকাররা তো বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কাছে অজানা, অচেনা হওয়ার কথা নয়। সৎ, নিষ্ঠাবান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত নেতৃত্বে বিএনপি তার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে আজ না হোক কাল সাফল্য আসবে। জনগণের একটি বিরাট অংশ তো তাদের সঙ্গে আছে।

কিন্তু মনে রাখতে হবে, এ জনগণ বিএনপির কোনো নেতানেত্রীর ‘রায়ত’ নন। দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী, ধর্মপ্রাণ জনগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি অংশ দলটিকে সমর্থন করে একান্তই রাজনৈতিক ও আদর্শিক কারণে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের কালোত্তীর্ণ দর্শন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনার প্রতি দলের ঘোষণাপত্রের অঙ্গীকার এ সমর্থনের কারণ। বিএনপি আজ সেখান থেকেও বিচ্যুত। দলটির গায়ে এখন সাম্প্রদায়িকতার দুর্গন্ধ। কাজেই বর্তমান বাস্তবতা যাই হোক, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির জনসমর্থনকে যতই সমীহ করে কথা বলেন না কেন, লম্বা লম্বা কথা না বলে কাজের কাজ করতে না পারলে, সংগঠন মজবুত করতে না পারলে এ জনসমর্থন আখেরে কোনো কাজে আসবে না। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছেন ৫৯৬ জন। অঙ্গ-সহযোগী দলসমূহের কেন্দ্রীয় কমিটি মিলে আরও তো হাজারখানেকের ওপরে হবে। বিক্ষোভ দিবসে দলের স্থায়ী কমিটি, ৩৫ ভাইস চেয়ারম্যান আর ৭৮ উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঢাকায় একটা মিছিল করলেই তো দেড় হাজার ‘নেতার’ একটা মিছিল হতো। পুলিশের বাধার কথা বলবেন। পুলিশের বাধার মুখে আগে এরশাদ আমলে, শেখ হাসিনার আগের আমলে বিএনপি মিছিল-বিক্ষোভ করেনি?  গ্রেফতারের ভয়? ওমা! রাজনীতি করবেন, নেতা হবেন, এমপি, মন্ত্রী ছিলেন এবং আবার হতে চাইবেন, জেলের ঝুঁকি নেবেন না?  সব ঝুঁকি বেগম জিয়া আর তারেক রহমানকেই নিতে হবে?

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ব্যবসায় দুর্দিন
ব্যবসায় দুর্দিন
দেশবাসী কী চায়
দেশবাসী কী চায়
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
সর্বশেষ খবর
তৃণমূলে ফিরলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী ব্যানার্জি
তৃণমূলে ফিরলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী ব্যানার্জি

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৫ বছর শিক্ষকতা শেষে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায় শিক্ষিকার
৩৫ বছর শিক্ষকতা শেষে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায় শিক্ষিকার

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণহত্যার বেলায় শাহরুখ কেন চুপ?
গণহত্যার বেলায় শাহরুখ কেন চুপ?

৬ মিনিট আগে | শোবিজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আফগান কোচের দায়িত্ব ছাড়বেন ট্রট
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আফগান কোচের দায়িত্ব ছাড়বেন ট্রট

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে হরিণ শিকারিদের হামলায় বন কর্মকর্তা আহত, গ্রেপ্তার ৩
সুন্দরবনে হরিণ শিকারিদের হামলায় বন কর্মকর্তা আহত, গ্রেপ্তার ৩

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের নারী দলের জন্য বিসিসিআইয়ের পুরস্কার ৫১ কোটি রুপি
ভারতের নারী দলের জন্য বিসিসিআইয়ের পুরস্কার ৫১ কোটি রুপি

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাইবান্ধায় ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার
গাইবান্ধায় ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে লড়বেন মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে লড়বেন মির্জা ফখরুল

৩৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

পদোন্নতি পেয়ে ইন্সপেক্টর হলেন ২৭৩ এসআই
পদোন্নতি পেয়ে ইন্সপেক্টর হলেন ২৭৩ এসআই

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

শ্বশুরবাড়িতে মার খাওয়ার অভিযোগ, অভিনেতা বললেন ‌‘প্রমাণ দেওয়া হোক’
শ্বশুরবাড়িতে মার খাওয়ার অভিযোগ, অভিনেতা বললেন ‌‘প্রমাণ দেওয়া হোক’

৪১ মিনিট আগে | শোবিজ

বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান
বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান

৪৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

লাবুশেনের ৮ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি
লাবুশেনের ৮ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি

৫৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

সরাইলে দক্ষ সমবায়ী গঠনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ
সরাইলে দক্ষ সমবায়ী গঠনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

৫৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

বড়াল নদে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই স্কুলছাত্রের
বড়াল নদে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই স্কুলছাত্রের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা খুন: ছেলে ৩ দিনের রিমান্ডে
সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা খুন: ছেলে ৩ দিনের রিমান্ডে

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সত্যিই কি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে চীন ও পাকিস্তান?
সত্যিই কি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে চীন ও পাকিস্তান?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নীলফামারীতে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ
নীলফামারীতে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র জেবা তাহসিনের পদত্যাগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র জেবা তাহসিনের পদত্যাগ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ক্রিকেট কনফারেন্স আয়োজনের ঘোষণা দিলেন বিসিবি সভাপতি
ক্রিকেট কনফারেন্স আয়োজনের ঘোষণা দিলেন বিসিবি সভাপতি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খাগড়াছড়ির পাহাড়ে আমন ধান কাটা শুরু
খাগড়াছড়ির পাহাড়ে আমন ধান কাটা শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে গ্রাম আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ৯০ শতাংশ
বরিশালে গ্রাম আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ৯০ শতাংশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সুদানে গণহত্যা বন্ধে মুসলিমবিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান এরদোয়ানের
সুদানে গণহত্যা বন্ধে মুসলিমবিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান এরদোয়ানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিজয় হত্যা মামলা: সাবেক এমপি মিল্লাতসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
বিজয় হত্যা মামলা: সাবেক এমপি মিল্লাতসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাবিতে ক্লাস চলাকালে শিক্ষককে ব্যাগ ছুড়ে মেরে ছাত্রী বললেন ‌‘জিনের আছর’
রাবিতে ক্লাস চলাকালে শিক্ষককে ব্যাগ ছুড়ে মেরে ছাত্রী বললেন ‌‘জিনের আছর’

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাইবান্ধায় বিএনপির উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী প্রচারণা
গাইবান্ধায় বিএনপির উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী প্রচারণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১২৬২
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১২৬২

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেহেরপুরে সদর উপজেলার উদ্যোগে বাইসাইকেল ও হুইলচেয়ার বিতরণ
মেহেরপুরে সদর উপজেলার উদ্যোগে বাইসাইকেল ও হুইলচেয়ার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

৫৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ
আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার
দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা
এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার
চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান
শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আদানির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা
আদানির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার
প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

৬ ঘণ্টা আগে | টক শো

ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার
ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন
আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে
পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে
গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক
মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা
বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প
আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জেলেদের সঙ্গে মাছ ধরছেন রাহুল গান্ধী, ভিডিও ভাইরাল
জেলেদের সঙ্গে মাছ ধরছেন রাহুল গান্ধী, ভিডিও ভাইরাল

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পা পিছলে ট্রেনের নিচে ব্যক্তি, তবুও বেঁচে গেলেন
পা পিছলে ট্রেনের নিচে ব্যক্তি, তবুও বেঁচে গেলেন

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রং সাইড দিয়ে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন বাস, নিহত বেড়ে ১৯
রং সাইড দিয়ে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন বাস, নিহত বেড়ে ১৯

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার
৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলা-গুলি বর্ষণ, শিক্ষক নিহত
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলা-গুলি বর্ষণ, শিক্ষক নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কখনোই তাইওয়ানের কিছু করবে না চীন, কারণ পরিণাম জানে: ট্রাম্প
কখনোই তাইওয়ানের কিছু করবে না চীন, কারণ পরিণাম জানে: ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি
সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন
বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি

সম্পাদকীয়

অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি
অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি
৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন
রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন

নগর জীবন

সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে  সালামের দুঃখ প্রকাশ
সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে সালামের দুঃখ প্রকাশ

নগর জীবন

প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক
প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে
প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়
গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস
যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস

প্রথম পৃষ্ঠা

আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর
আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর

প্রথম পৃষ্ঠা

চার পাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে
চার পাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে

প্রথম পৃষ্ঠা

পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা
পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা

নগর জীবন

রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত
রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত

মাঠে ময়দানে

বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ
বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ

দেশগ্রাম

গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল
গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল

দেশগ্রাম

মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা
মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট প্রস্তুতি প্রশাসনে
ভোট প্রস্তুতি প্রশাসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট

সম্পাদকীয়

দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির
দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের
বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের

খবর

নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা
নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা
যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের
বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর
পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর

প্রথম পৃষ্ঠা

আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি
আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

১২ কেজি এলপিজি  সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা