শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬

ধানপরীক্ষায় মেয়েটি পাস করেছিল

গল্প ♦ জাহিদ হায়দার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ধানপরীক্ষায় মেয়েটি পাস করেছিল

দুই মুঠ শুকনো ধান চিবানো শেষ। লালা ভেজা ধানের ছোবড়া, এক মেয়ের মা প্রায় ২৩ বছর বয়সী সাবিনা, থু শব্দ করে মাটির ওপর ফেলে সামনের ঘিয়ে রঙের মেলামাইনের বাটিতে রাখা ধূসর রঙের ধানের দিকে তাকায়, আরও চিবাতে হবে। বাটির কানায় চিত্রিত সবুজ লতাপাতার ভিতর নীল আর হলুদ ফুলের পাপড়িতে পড়েছিল কয়েক বিন্দু আঠালো গরম থুতু।

সবার চোখ কেন্দ্রে। সেখানে কোনো ক্ষুদ্র বিন্দু নয়। এক মানুষ ও তার সামনে রাখা শস্যকে, শস্য ছাড়া কে আর বাঁচে, কেউ যদি ওই দুটি গুরুতর হিসাবকে এক বলয়ে স্বপ্নদেখা বা বাস্তবের সত্যে নিপীড়িত জীবন্ত বিন্দু বলে মনে করে এবং হঠাৎ তার চিন্তার ভিতর আসতেই পারে, যাকে এখন স্থির বিন্দু বলে মনে করা হচ্ছে, সে যখন শাস্তি ভোগ করার পর শূন্য বাটি রেখে উঠে দাঁড়াবে এবং যাবে বৃত্তের দিকে তখন পরিধির কোনো এক জায়গায় ফাটল ধরবেই।  

আস্তে আস্তে কথা বলা, কথা না বলা, শুধু তাকিয়ে থাকা ছোট-বড়, মজা ও শাস্তি দেখতে আসা কৌতূহলী মানুষের তৈরি করা এক বৃত্ত। শরণখালী গ্রামের মানুষ খোলা জায়গায় বসে, শ্রাবণের মেঘভাসা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে, চেয়ারম্যানের অফিসের পাশের মাঠে, অনেক আগে সেখানে ছিল একটি কাঁঠাল গাছ, এই গাছের নিচে অনেক বছর আগে, গ্রামের কোনো কোনো বয়সী জনের স্মৃতিতে থাকতে পারে, না-ও পারে, বিস্মৃতি কার নেই, এক বিচার হয়েছিল তার কথা পরে জানা যাবে, দেখছে সাবিনার ধানপরীক্ষা, শাস্তির নতুন ধরন।

আমরা জেনে গেছি, বাঁচার সোজা-বাঁকা পথে কতকিছু জানতে হয়, বৃত্তের কেন্দ্রে বসে আছে অন্যায় শক্তির তথাকথিত বিচারে শাসিত, মাথা নিচু করা একজন মানুষ। পরনে শাদা-কালো মলিন শাড়ি। মাথায় কাপড় ছিল। ধান চিবানোর সময় মাথা নড়াচড়ার ফলে পড়ে গেছে। কখনো ভীত চোখে, খালি গা আর হরেকরকম কাপড়ে সাজানো মানুষের গড়া বৃত্তের দিকে তাকাচ্ছে সে। দৃষ্টিতে শূন্যতা। চুলে চিরুনি পড়েনি। তেলও না। ঘিরে থাকা প্রায় সবাইকে সে কমবেশি চেনে, জানে। শাস্তি দেখতে আসা মানুষগুলোর চোখ-মুখ সাবিনার কাছে অচেনা মনে হয়। মানুষের শাস্তি, অপমান দেখে মানুষ কী আনন্দ পায়, ওর চিন্তায় আসে না। সাবিনা একবার চোখ ডলে, চারদিক তাকায়, স্বামী ফজল মিয়ার চোখে চোখ পড়ে। লোকটির ডান হাতের তর্জনী যন্ত্রের মতো খোঁচাচ্ছে শুকনো মাটি। কেউ বলতে পারবে না, মাটির কাছে, অন্যের কৃষিখেতে মজুরিখাটা এই মানুষ, বিচার চাইছে কিনা।

হঠাৎ করে, বাইরের কোনো লোক যদি এসে দেখে, একটি ২২-২৩ বছরের মেয়ে ধান ভরা এক বাটির সামনে দুই পা, যেন তা এক পদ্মাসন, যোগাসনে স্থির, বসে তাকিয়ে আছে ধান নামের শস্যের দিকে। আগন্তুকের মনে হতেই পারে, মনে হওয়া ব্যাপারটি চিন্তা ও বিষয় সাপেক্ষ, মেয়েটি কোনো জাদুটোনায় ব্যস্ত কিনা, এক গভীর ধ্যানে খুঁজছে জটিল অবস্থার থেকে মুক্তি। এই দেশে অনেক জাদুমন্ত্রের লৌকিক-অলৌকিক গল্প আছে। তাতে আছে মুগ্ধতা এবং অনেকের আছে বিশ্বাস। কারও মনে পড়তে পারে প্রবাদ : ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর’। তারপরও মানুষ বড় তর্ক ও প্রশ্নপ্রিয়।

মাদবর বলেছিলেন এক সের ধান দিতে। প্রায় ৬৫ বছর বয়সী চেয়ারম্যানও গত রাতে ভেবে রেখেছিলেন, দেওয়া হবে এক সের। যে লোকটি বাটিতে ধান ঢালছিল তাকে তিনি বললেন, ‘আধ সের দে।’ ডান পাশে বসেছিলেন মাদবর। তিনি কিছু বলার জন্য চেয়ারম্যানের কানের দিকে মুখ বাড়াতেই, চেয়ারম্যানের হাতের ইঙ্গিতে মাদবরের মুখে তার আঙ্গুলের ছায়া দ্রুত দুলে ওঠে, তিন আঙ্গুলের তিন আংটিতে রোদ তারা ফোটায়, ইঙ্গিত কোনো না কোনো অর্থপূর্ণ, বোঝে কিছু বলতে হবে না। দেখা গেল, মাদবরের জোড়া ভুরুর নিচে সুরমা লাগানো মাঝারি মাপের দুটি চোখ আড়চোখে তাকালো এদিক-ওদিক, মেহেদির রসে রঞ্জিত গাঢ় কমলা রঙের দাড়িতে ভরা মুখ চেয়ারম্যানের কানের লম্বা লতির কাছ থেকে তিনি সরিয়ে নিলেন দ্রুত। এবং দাড়ির ভিতর তর্জনী ঢুকিয়ে, হয়তো খামোখা, হয়তো নয়, চুলকালেন থুতনি। তর্জনীর নড়াচড়ায় রঙিন দাড়িগুলো মেঘভাঙা পড়ন্ত রোদে দেখালো সুন্দর।

আধ সের বলার আগে কেন যেন সাবিনার শ্যামলা মুখটা চেয়ারম্যান দেখছিলেন একদৃষ্টিতে। তার মনের মধ্যে হঠাৎ দয়ার একপ্রকার ঠাণ্ডাপ্রবাহ নামে। দয়ার অচেনা প্রবাহে চেয়ারম্যান নিজেই চমকে যান। আগে কতবার মেয়েটি তার মুখোমুখি হয়েছে বা চলাফেরার পথে পড়েছে কিন্তু কখনো মায়া বা দয়া দেখানোর মতো কোনো কারণ ঘটেনি। আজ এই শাস্তি কার্যকরের সময় পশ্চিমে বেশ হেলে পড়া হেমন্ত দিনের সূর্যের সোনালি রোদ পড়েছিল সাবিনার মুখের ওপর, দুই চোয়ালে শুকিয়ে যাওয়া অশ্রুর বাঁকা রেখা দেখাচ্ছিল করুণ। ‘মেয়েটা কত যে কাঁদছে’, এই কথাটি মনে হতেই ধানের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে যায়। তার ছোটকালের দেখা অভিজ্ঞতা বলে, আধ সের ধান গ্রামের খলিল চোর চিবাতে পারেনি। দম বন্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তখন তার দাদা খলিলের মাথায় পানি ঢালতে বলেন। চেয়ারম্যানের মনে হয়, সাবিনা যদি দম বন্ধ হয়ে পড়ে যায়, ধান চিবাতে চিবাতে দম বন্ধ হওয়ার কথা, তখন তিনি নিজেই সাবিনার মাথায় পানি ঢালবেন, কপালে দেবেন খসখসে হাত। লোকজন দেখবে, চেয়ারম্যান এক দয়ার সাগর, নিজেই সেবা করছে। লোকজন বুঝবে না, সেবার নামে চেয়ারম্যান সাবিনার গায়ে হাত দেওয়ার একটি সুযোগ পেল। সব সেবা নিঃস্বার্থ হয় না, কোনো কোনো সেবার ভিতর বিশেষ অভিসন্ধি ওত পেতে থাকে। কথা পুরনো, সবার জানা।

সাবিনার অপরাধ ও দোষ, এখনকার গ্রামীণ সমাজের চোখে গুরুতর কিছু নয়। সমাজের চোখ সরবে, নীরবে কত ন্যায়-অন্যায় দেখে চেয়ারম্যান আর মাদবরের চোখে ও বিচারে তার দোষ অনেক : ১. চেয়ারম্যান নিজ মুখে বলার পরও তার বাড়িতে কাজ না করা ২. শরীর-স্বাস্থ্য ভালো, গড়ন সুন্দর, দেখতে ভালো, হাসলে গালে টোলপড়া মুখটা দেখায় নতুন রূপের কিছু, ৩. এনজিও আপার সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলে, সমিতির নেত্রী হতে চায়, ৪. স্বামী ফজলের সঙ্গে বৃষ্টির রাতে বাইরে যাওয়া। 

সাবিনার কোন দোষ আর কোন অপরাধ বেশি এবং কোনটি কম সে সব চেয়ারম্যান নিজের লোকদের ও মাদবরের কাছে কখনো ফিসফিস করে, কখনো রাগত গলায়, গলার রগ ফুলিয়ে, তর্জনী দিয়ে শূন্যতাকে শাসিয়ে, বলেছেন অনেকবার। প্রতিবার বলার সময় কোনটি বেশি এবং কোনটি কম অপরাধ ও দোষ, তার ব্যাখ্যা তার লোকজন শুনেছে। চেয়ারম্যান সামনে থেকে চলে গেলে, তার নিজের লোকজনই বলেছে, ‘মায়াটার পর ব্যাটার বদ চোখ পড়ছে।’ তবে কোনো দিন একসঙ্গে সব অপরাধ বা দোষের কথা একবারে চেয়ারম্যানের কাছে কেউ শোনেনি। হয়তো একদিন, উপরে বলা চারটি অপরাধ বা দোষের যে কোনো একটির সঙ্গে শোনা গেছে, ‘সাবিনার হাঁটার ভাব খারাপ, এই হাঁটার লক্ষণ ভালো না, আল্লাহর গজব পড়ে, মুখের ওপর কথা কয়, আমার বাড়িতে কাজ করল না।’ আর একদিন, ‘কী বেলেহাজ, বোরকা না পরেই রাস্তায় যায়!’

তিন নম্বর মুঠ ধান সাবিনা চিবাচ্ছে। চেয়ারম্যানের চোখ এবার দেখতে চায়, যখন ছোবড়া ফেলবে, নিশ্চয় হবে লাল, মানে রক্তভরা। বৃত্ত হয়ে থাকা গ্রামবাসীর স্থির চোখ দেখছে, সাবিনার চোখ-মুখ হয়ে গেছে লাল, দুই চোয়াল বারবার ফুলে উঠছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন ধান চিবানোর ভিডিও করার জন্য সাবিনার মুখের সমান্তরালে স্মার্টফোন এদিক-ওদিক করছিল, খুঁজছিল দেখানোর মতো এক ছবি। নজর পড়ে মাদবরের। ধমক দেন। ‘এই ভিডিও করবা না।’ কিছুদিন আগে এক শিশু ও তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করার সময় কেউ ভিডিও করেছিল এবং তা ছেড়ে দেয় ফেসবুকে। হত্যাকারীদের কেউ কেউ এখন জেলে। মাদবর এই খবর জানেন। 

হাত দুটি মাটির ওপর। কারও কারও মনে হচ্ছে, সাবিনা বমি করবে। কেউ কেউ ভাবছে, দৌড় দেবে নাকি? সবাই দেখল, এক দলা ধানের ছোবড়া ফেলল সাবিনা। এবার ছোবড়ার দলা আগের থেকেও বেশি লাল। জোরে জোরে শ্বাস পড়ছে। সাবিনা চারদিকে তাকায়। চোখে পানি নেই। চোখের গোলকে কষ্টের অন্ধকার হাসছে। 

সাবিনার চোখ এনজিও আপাকে খুঁজেছিল। আপার কানে এই শাস্তির কথা গেলে, নিশ্চয়ই এখানে আপা আসত। আপা কি ঢাকা গেছে? কী এক সালিস কেন্দ্রের কথা আপার কাছ থেকে সাবিনা শুনেছে। মেয়েদের ওপর অত্যাচার করলে তারা নাকি অত্যাচারীরে কঠিন বিচারে আনে। সাবিনা আর ফজল মিয়া কোনো যুক্তিতেই বোঝেনি, তিন দিন আগে রাতে খালপাড়ে, ঝির ঝির বৃষ্টিতে হারিকেন নিয়ে কই মাছ ধরতে যাওয়ার মধ্যে কী অপরাধ আছে। বাতাসে নিভে যায় হারিকেন। বজ্রপাতে ভয় পেয়ে সাবিনা ফজলকে জড়িয়ে ধরেছিল। বিদ্যুতের আলোতে দুজনকে দেখেছিল চেয়ারম্যানের রাখাল। সরকারি খাল থেকে বৃষ্টির ভিতর কান ঘষে পাড়ে ওঠা কই মাছ ধরা কী চুরি? ফজল মিয়ার নিচুস্বরের এই প্রশ্নে চেয়ারম্যান জোরে ধমক দিয়েছিলেন : ‘বেশি বুঝিস না, জানি তুই আর তোর বউ রাইতে কী ক্যরবের গিছিলু, বদমাশ কোথাকার, বাড়িত জায়গা নাই।’

গতকাল সন্ধ্যায় যখন, আজকের বিকালে কী শাস্তি সাবিনাকে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ওর স্বামী ফজল মিয়ার সামনে কথা হচ্ছিল, তখন চেয়ারম্যানের চোখ পড়েছিল বৈঠকখানার উত্তরের পাশে মাঠের দিক। সালিসে উপস্থিত কেউ কেউ বলেছিল, ফজল মিয়াকে একঘরে করতে। কেউ বলেছিল, সে যেন সাবিনাকে তালাক দেয়। যে যার মতো শাস্তির ধরন বলে যাচ্ছিল। চেয়ারম্যান কিছু বলছিলেন না। কিছু একটা ভাবনায় চিন্তিত তখন। উপস্থিত মজলিস অপেক্ষা করছে, তার রায় কী হবে। একবার কী মনে করে, তিনি ডান চোখ ডলে মুখটা নিচের দিকে নামিয়েই আবার ফেরালেন মাঠের দিকে এবং একটু হেসে বললেন, কিছু একটা মনে পড়েছে মনে হয়, ‘এবার তুমরা দেখবা নতুন শাস্তি, মজা পাবা, ধানপরীক্ষা, তুমরা আগে কেউ দ্যাখনি।’

এ এক নতুন পরীক্ষা, নতুন শাস্তি। উপস্থিত লোকজন পরস্পরের মুখের দিকে তাকায়। ধানপরীক্ষা কথাটি একজন ছাড়া আগে কখনো কেউ শোনেনি। তার বয়স হবে পঞ্চাশের ওপর, সে শুনেছিল, বলল, শুনেছে তবে কখনো দেখেনি। মাদবরকে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করল, সে শুনেছে কিনা। না, তিনিও কখনো শোনেননি। সীতার অগ্নিপরীক্ষার কাহিনী তার জানা। বলেন, ‘সীতা কিন্তু অগ্নিপরীক্ষায় পাস করছিল। কঠিন পরীক্ষা দিছিল রাম। তার দ্যাশের লোকেরা মনে হয় সীতারে নিয়া নিন্দা করছিল। শুনছি, রাবণের সঙ্গে সীতা কোনো খারাপ কাম করছিল না, করলে পুইড়ে যাইত, সীতা পবিত্র ছিল, তাই আগুন তারে পোড়াতে পারে নাই, আগুন তো নিজেই পবিত্র, আগুন শুধু পাপে ভরা জিনিস পোড়ায়।’ চেয়ারম্যান মৃদু ধমকে বলেন, ‘মাদবর আজগুবি গল্প থামাও, আগুন কাউরে ছাড়ে নাকি?’

‘শুন, আমার দাদা ছিল খুব ইমানদার লোক। পাঁচ গ্রামের মাদবরি এই গ্রামে বসে করতেন। কেউ আগে তারে সালাম দিতে পারে নাই। তার বিচার-আচারের ভুল কেউ ধরতে পারে নাই। বাপ-দাদার আমলে ওই মাঠের মাঝখানে ছিল একটা কাঁঠাল গাছ। এখন খালি মাঠ। গাছের তলায়, অনেক বছর আগে, আমার বয়স আট বা নয়, গ্রামের খলিল চোররে দাদা ধানপরীক্ষার শাস্তি দেয়। ডাব চুরি করছিল। এখন মাঠের দিক চোখ পড়তে মনে পড়ল, সাবিনারে এই পরীক্ষা দেব, তুমরাও নতুন জিনিস দেখবা।’ উপস্থিত সভাসদের মধ্যে দু-একজন দাদা বিষয়ে মূল্যবান স্মৃতি শুনে কেন যে হাসে, বোধহয় নিজেরাই বুঝতে পারে না। এবং যারা হাসে না, কেন হাসে না বা মুগ্ধ হয় না, সেটাও বোঝে না। হাসি সবসময় সংক্রামক নয়।

গ্রামের সবাই নয়, কেউ কেউ রাতে ঘুমিয়ে পড়ার আগে জেনে যায়, কাল বিকালে সাবিনার ধানপরীক্ষা হবে।

নতুন শাস্তির কথা শুনে মাদবর বাড়ি আসার পর তার বউ জানতে চেয়েছিল, কী শাস্তি হতে যাচ্ছে সাবিনার। মাদবর উত্তর দেয়নি। ‘পরে শুইন, খাইতে দাও।’ খাওয়া শেষ হলো। মাদবর একটু তালমিছরি খেলেন। একটু পানি খেয়ে মাটির মালসায় দুই-তিনবার করলেন কুলকুচি। 

মুহম্মদ শহীদুল্লার মা, মাদবরের বউ, মোসাম্মৎ শহীদা খাতুন, পানটা হাতে তুলে দিয়ে, গলার স্বর নিচু করে, যেন এক গোপন কথা, কারও কানে যেন না যায়, আবার জানতে চাইল, ‘সাবিনার কী শাস্তি হবে?’ ‘ধানপরীক্ষা’, অনেকরকম পরীক্ষা— ম্যাট্রিক, ফাজিল, আলিমের নাম শুনেছে শহীদা খাতুন; কিন্তু ধান দিয়ে কিসের পরীক্ষা, এই পরীক্ষা কে নেয়, কারা নেয়, কীভাবে হয়? সব চিন্তা একসঙ্গে করেও সে কোনো উত্তর পায় না। ‘ইডা আবার কোন ধাঁচের পরীক্ষা?’ ‘আমিও জানি না, চেয়ারম্যান ব্যাটা শুধু কইল ধানপরীক্ষা, মনে হয় ধান চিবাইতে হবে।’ শহীদা খেয়াল করে ‘চেয়ারম্যান ব্যাটা’ বলার সময় মাদবরের উচ্চারণ ছিল তাচ্ছিল্যের। ‘খুব কষ্টের কাম, আমি দেখবার চাই।’ তার ইচ্ছার কোনো উত্তর না পেয়ে আবার তার ইচ্ছার কথা বলে শহীদা। মাদবর পানের পিক ফেলে, দাড়িতে আঙ্গুল বুলিয়ে বলেন, ‘যাওয়ার দরকার নেই।’ স্বর শাসনের। শহীদা খাতুন চুপচাপ। চোখ দেখছে বাইরের অন্ধকার। কী মনে করে জিজ্ঞাসা করে, ‘কি করছিল সাবিনা।’ হুজুর বলেন, ‘দিন তিনেক আগে রাতে যে বৃষ্টি হইল, টিপটিপ বৃষ্টি, ফজল আর সাবিনা খালে যায় হারিকেন নিয়ে, কই উঠতেছিল, ধরতে গিছিল, একসময় বাতাসে হারিকেন নিভে যায়, বৃষ্টির মধ্যি দুইজনরে জড়াজড়ি অবস্থায় দেখা যায়, কী কমু, মনে হয় সাবিনার খায়েস হইছিল, বেহায়া মেয়েলোক, খালপাড়েই তারা, বুঝতে পারছ?’ এক সরল কথা শহীদার মুখ থেকে বের হয়, ‘স্বামী-স্ত্রীর হাউস হইছে, করছে, অপরাধ কী, দেখল কে?’ মাদবর কিছুক্ষণ কথা বলেন না, যুৎসই একটা জবাব দিতে হবে। ‘বিদ্যুৎ চমকাইলে ঘটনা দেখছে চেয়ারম্যানের রাখাল, সেও গেছিল কই ধরতে।’ এই পর্যন্ত স্বাভাবিক গলায় বলেই মাদবরের গলার স্বর ভারী হয়ে ওঠে। শহীদা বুঝে যায় কড়া কথা শুনতে হবে। ‘আকাম-কুকাম রাস্তাঘাটে, সমাজ আছে না, তাই ধানপরীক্ষা।’ 

পাঁচ নম্বর মুঠ ধান মুখে তোলার সময় সাবিনার হাত কাঁপছিল। হাঁয়ের খুব কাছে, লাল হয়ে ওঠা ঠোঁটে লেগেছিল আঙ্গুল, আঙ্গুল আর হাঁয়ের ফাঁক দিয়ে পড়ে গেল কিছু ধান। দানা মাটিতে পড়ার শব্দ নিশ্চয় হয়েছিল, কেউ শোনেনি। সাবিনা শুনেছিল কিনা, আমরা জানি না। দর্শকদের কেউ কেউ, যারা চেয়ারম্যানের আশপাশে ছিল, শুনল তার কথা : ‘শালি খুব চালাক, মুখের কাছে ধান নিয়া অর্ধেক মুখে দিতাছে, ফেলতাছে অর্ধেক, তাড়াতাড়ি শেষ করবার ক।’ সাবিনা কথার শেষ অংশ শুনেছিল। মাথা ঘুরায়। চোখ দুটি লাল। দৃষ্টি চেয়ারম্যানের ওপর। ধান চিবানোর কারণে চোয়াল ধরে আসছিল। চোয়াল দুটি অল্প কেঁপে ওঠে। মাদবর আর চেয়ারম্যানের মনে হয়, সাবিনা হাসছে। দর্শকরা দেখে তীব্র কষ্টপীড়িত এক মুখ।

ধানের বাটি ক্ষিপ্রহাতে তুলে নেয় সাবিনা, যেন এক বাজপাখি ছোঁ মেরে খাল থেকে তুলে নিল মাছ। সোজা দাঁড়িয়ে পড়ে। বৃত্ত হয়ে বসা, দাঁড়ানো মানুষরা মনে করে, সাবিনা পালাবে। কেউ কেউ সরে যায়। চোখ-মুখে অবাকের বিস্ময়। পরিধি থাকে না পরিধি। কেঁপে ওঠে। চেয়ারম্যান অবাক। মাদবর বিস্মিত। সাবিনা এক দৌড়ে চলে আসে চেয়ারম্যানের সামনে। সোজা, স্থির, কেউ তার ঋজুতাকে একচুলও নড়াতে পারবে না, দাঁড়ায়। বড় হাঁ করে ধানের বাটি মুখের গহ্বরের ওপর ধরে। ধান মুখের ভিতর পড়তে থাকে। মাটিতে পড়ে। শরীরে পড়ে। কাঁধে, গলায়, বুকে, হাতে, শাড়িতে এবং পায়ে শুধু ধান আর ধান। দর্শকরা দেখে, এক ধানমানুষ দাঁড়ানো, এক শস্যভূমি দাঁড়ানো। সাবিনা ধান চিবায়। সাবিনা থু শব্দ করে ছোবড়ার সঙ্গে শস্যের অজস্র কণা মাটিতে ফেলে, ফেলতেই থাকে। যেন ওই মুখ এক ধানখেত, শুধু জন্মে যাচ্ছে শস্য। ওর দম বন্ধ হয় না। অজ্ঞান হয় না। ঠোঁট দুটি ক্ষতবিক্ষত, রক্তময়। লালা ঝরছে না। চেয়ারম্যানের চোখের দিকে সাবিনার লাল চোখ স্থির। সূর্যবৎ। 

শরণখালী গ্রামের মানুষ অনেকদিন ধরে বলাবলি করে, করে যায়, ‘সাবিনা ধানপরীক্ষায় ফেল করে নাই।’ বলে, ‘সাবিনা সেই পরীক্ষার পর বোবা হয়ে যায়।’

এই বিভাগের আরও খবর
একগুচ্ছ কবিতা
একগুচ্ছ কবিতা
লাল শাপলার বক্ষটান
লাল শাপলার বক্ষটান
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্য
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্য
রূপকথার গান গানের রূপকথা
রূপকথার গান গানের রূপকথা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
প্রভাত পাখির গান
প্রভাত পাখির গান
রঙ বদলের খেলা
রঙ বদলের খেলা
বিষণ্নতা
বিষণ্নতা
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
চূর্ণ পঙ্ক্তি
চূর্ণ পঙ্ক্তি
ইস্কুলকালের ইরেজার
ইস্কুলকালের ইরেজার
আঁকারীতি
আঁকারীতি
সর্বশেষ খবর
যশোর বোর্ডে এইচএসসিতে নতুন করে ৭২ শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫
যশোর বোর্ডে এইচএসসিতে নতুন করে ৭২ শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫

১৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে ফের জেলা সমাবেশ
নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে ফের জেলা সমাবেশ

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে চালু হলো অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড
বাংলাদেশে চালু হলো অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড

২৬ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

রেলওয়ের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রেলওয়ের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫০৩ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫০৩ মামলা

৩৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে এইচএসসিতে পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৩৯৩ শিক্ষার্থী
চট্টগ্রামে এইচএসসিতে পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৩৯৩ শিক্ষার্থী

৩৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

হায়দ্রাবাদে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৭
হায়দ্রাবাদে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৭

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘরের মাঠে প্রথমবার ব্যর্থ জয়সওয়াল, দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বনিম্ন রান
ঘরের মাঠে প্রথমবার ব্যর্থ জয়সওয়াল, দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বনিম্ন রান

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওয়ার টিলার উল্টে শ্রমিক নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওয়ার টিলার উল্টে শ্রমিক নিহত

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি মুজিবুল হকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
সাবেক এমপি মুজিবুল হকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন: তারেক রহমান
মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন: তারেক রহমান

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ঝড়ের তাণ্ডবে পর্তুগালে ৩ মৃত্যু, ইংল্যান্ডে বন্যা
ঝড়ের তাণ্ডবে পর্তুগালে ৩ মৃত্যু, ইংল্যান্ডে বন্যা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানের সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানের সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি
ডেঙ্গু প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বিএনপি এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থাশীল : রিজভী
বিএনপি এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থাশীল : রিজভী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠিত
‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন কানকাটা কাদিরা, প্রবাসীসহ গ্রেপ্তার ৩
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন কানকাটা কাদিরা, প্রবাসীসহ গ্রেপ্তার ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাহরিয়ার আলমের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
শাহরিয়ার আলমের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে ইউএস-বাংলা
পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে ইউএস-বাংলা

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা
তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গভীররাতে কাশিয়ানীতে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ
গভীররাতে কাশিয়ানীতে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে এইচএসসির পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৫৩ শিক্ষার্থী
রাজশাহীতে এইচএসসির পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৫৩ শিক্ষার্থী

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

১৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার
তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামিন পেলেন হিরো আলম
জামিন পেলেন হিরো আলম

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা
তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!
দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি
আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া
ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া

মাঠে ময়দানে

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা