শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬

ধানপরীক্ষায় মেয়েটি পাস করেছিল

গল্প ♦ জাহিদ হায়দার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ধানপরীক্ষায় মেয়েটি পাস করেছিল

দুই মুঠ শুকনো ধান চিবানো শেষ। লালা ভেজা ধানের ছোবড়া, এক মেয়ের মা প্রায় ২৩ বছর বয়সী সাবিনা, থু শব্দ করে মাটির ওপর ফেলে সামনের ঘিয়ে রঙের মেলামাইনের বাটিতে রাখা ধূসর রঙের ধানের দিকে তাকায়, আরও চিবাতে হবে। বাটির কানায় চিত্রিত সবুজ লতাপাতার ভিতর নীল আর হলুদ ফুলের পাপড়িতে পড়েছিল কয়েক বিন্দু আঠালো গরম থুতু।

সবার চোখ কেন্দ্রে। সেখানে কোনো ক্ষুদ্র বিন্দু নয়। এক মানুষ ও তার সামনে রাখা শস্যকে, শস্য ছাড়া কে আর বাঁচে, কেউ যদি ওই দুটি গুরুতর হিসাবকে এক বলয়ে স্বপ্নদেখা বা বাস্তবের সত্যে নিপীড়িত জীবন্ত বিন্দু বলে মনে করে এবং হঠাৎ তার চিন্তার ভিতর আসতেই পারে, যাকে এখন স্থির বিন্দু বলে মনে করা হচ্ছে, সে যখন শাস্তি ভোগ করার পর শূন্য বাটি রেখে উঠে দাঁড়াবে এবং যাবে বৃত্তের দিকে তখন পরিধির কোনো এক জায়গায় ফাটল ধরবেই।  

আস্তে আস্তে কথা বলা, কথা না বলা, শুধু তাকিয়ে থাকা ছোট-বড়, মজা ও শাস্তি দেখতে আসা কৌতূহলী মানুষের তৈরি করা এক বৃত্ত। শরণখালী গ্রামের মানুষ খোলা জায়গায় বসে, শ্রাবণের মেঘভাসা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে, চেয়ারম্যানের অফিসের পাশের মাঠে, অনেক আগে সেখানে ছিল একটি কাঁঠাল গাছ, এই গাছের নিচে অনেক বছর আগে, গ্রামের কোনো কোনো বয়সী জনের স্মৃতিতে থাকতে পারে, না-ও পারে, বিস্মৃতি কার নেই, এক বিচার হয়েছিল তার কথা পরে জানা যাবে, দেখছে সাবিনার ধানপরীক্ষা, শাস্তির নতুন ধরন।

আমরা জেনে গেছি, বাঁচার সোজা-বাঁকা পথে কতকিছু জানতে হয়, বৃত্তের কেন্দ্রে বসে আছে অন্যায় শক্তির তথাকথিত বিচারে শাসিত, মাথা নিচু করা একজন মানুষ। পরনে শাদা-কালো মলিন শাড়ি। মাথায় কাপড় ছিল। ধান চিবানোর সময় মাথা নড়াচড়ার ফলে পড়ে গেছে। কখনো ভীত চোখে, খালি গা আর হরেকরকম কাপড়ে সাজানো মানুষের গড়া বৃত্তের দিকে তাকাচ্ছে সে। দৃষ্টিতে শূন্যতা। চুলে চিরুনি পড়েনি। তেলও না। ঘিরে থাকা প্রায় সবাইকে সে কমবেশি চেনে, জানে। শাস্তি দেখতে আসা মানুষগুলোর চোখ-মুখ সাবিনার কাছে অচেনা মনে হয়। মানুষের শাস্তি, অপমান দেখে মানুষ কী আনন্দ পায়, ওর চিন্তায় আসে না। সাবিনা একবার চোখ ডলে, চারদিক তাকায়, স্বামী ফজল মিয়ার চোখে চোখ পড়ে। লোকটির ডান হাতের তর্জনী যন্ত্রের মতো খোঁচাচ্ছে শুকনো মাটি। কেউ বলতে পারবে না, মাটির কাছে, অন্যের কৃষিখেতে মজুরিখাটা এই মানুষ, বিচার চাইছে কিনা।

হঠাৎ করে, বাইরের কোনো লোক যদি এসে দেখে, একটি ২২-২৩ বছরের মেয়ে ধান ভরা এক বাটির সামনে দুই পা, যেন তা এক পদ্মাসন, যোগাসনে স্থির, বসে তাকিয়ে আছে ধান নামের শস্যের দিকে। আগন্তুকের মনে হতেই পারে, মনে হওয়া ব্যাপারটি চিন্তা ও বিষয় সাপেক্ষ, মেয়েটি কোনো জাদুটোনায় ব্যস্ত কিনা, এক গভীর ধ্যানে খুঁজছে জটিল অবস্থার থেকে মুক্তি। এই দেশে অনেক জাদুমন্ত্রের লৌকিক-অলৌকিক গল্প আছে। তাতে আছে মুগ্ধতা এবং অনেকের আছে বিশ্বাস। কারও মনে পড়তে পারে প্রবাদ : ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর’। তারপরও মানুষ বড় তর্ক ও প্রশ্নপ্রিয়।

মাদবর বলেছিলেন এক সের ধান দিতে। প্রায় ৬৫ বছর বয়সী চেয়ারম্যানও গত রাতে ভেবে রেখেছিলেন, দেওয়া হবে এক সের। যে লোকটি বাটিতে ধান ঢালছিল তাকে তিনি বললেন, ‘আধ সের দে।’ ডান পাশে বসেছিলেন মাদবর। তিনি কিছু বলার জন্য চেয়ারম্যানের কানের দিকে মুখ বাড়াতেই, চেয়ারম্যানের হাতের ইঙ্গিতে মাদবরের মুখে তার আঙ্গুলের ছায়া দ্রুত দুলে ওঠে, তিন আঙ্গুলের তিন আংটিতে রোদ তারা ফোটায়, ইঙ্গিত কোনো না কোনো অর্থপূর্ণ, বোঝে কিছু বলতে হবে না। দেখা গেল, মাদবরের জোড়া ভুরুর নিচে সুরমা লাগানো মাঝারি মাপের দুটি চোখ আড়চোখে তাকালো এদিক-ওদিক, মেহেদির রসে রঞ্জিত গাঢ় কমলা রঙের দাড়িতে ভরা মুখ চেয়ারম্যানের কানের লম্বা লতির কাছ থেকে তিনি সরিয়ে নিলেন দ্রুত। এবং দাড়ির ভিতর তর্জনী ঢুকিয়ে, হয়তো খামোখা, হয়তো নয়, চুলকালেন থুতনি। তর্জনীর নড়াচড়ায় রঙিন দাড়িগুলো মেঘভাঙা পড়ন্ত রোদে দেখালো সুন্দর।

আধ সের বলার আগে কেন যেন সাবিনার শ্যামলা মুখটা চেয়ারম্যান দেখছিলেন একদৃষ্টিতে। তার মনের মধ্যে হঠাৎ দয়ার একপ্রকার ঠাণ্ডাপ্রবাহ নামে। দয়ার অচেনা প্রবাহে চেয়ারম্যান নিজেই চমকে যান। আগে কতবার মেয়েটি তার মুখোমুখি হয়েছে বা চলাফেরার পথে পড়েছে কিন্তু কখনো মায়া বা দয়া দেখানোর মতো কোনো কারণ ঘটেনি। আজ এই শাস্তি কার্যকরের সময় পশ্চিমে বেশ হেলে পড়া হেমন্ত দিনের সূর্যের সোনালি রোদ পড়েছিল সাবিনার মুখের ওপর, দুই চোয়ালে শুকিয়ে যাওয়া অশ্রুর বাঁকা রেখা দেখাচ্ছিল করুণ। ‘মেয়েটা কত যে কাঁদছে’, এই কথাটি মনে হতেই ধানের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে যায়। তার ছোটকালের দেখা অভিজ্ঞতা বলে, আধ সের ধান গ্রামের খলিল চোর চিবাতে পারেনি। দম বন্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তখন তার দাদা খলিলের মাথায় পানি ঢালতে বলেন। চেয়ারম্যানের মনে হয়, সাবিনা যদি দম বন্ধ হয়ে পড়ে যায়, ধান চিবাতে চিবাতে দম বন্ধ হওয়ার কথা, তখন তিনি নিজেই সাবিনার মাথায় পানি ঢালবেন, কপালে দেবেন খসখসে হাত। লোকজন দেখবে, চেয়ারম্যান এক দয়ার সাগর, নিজেই সেবা করছে। লোকজন বুঝবে না, সেবার নামে চেয়ারম্যান সাবিনার গায়ে হাত দেওয়ার একটি সুযোগ পেল। সব সেবা নিঃস্বার্থ হয় না, কোনো কোনো সেবার ভিতর বিশেষ অভিসন্ধি ওত পেতে থাকে। কথা পুরনো, সবার জানা।

সাবিনার অপরাধ ও দোষ, এখনকার গ্রামীণ সমাজের চোখে গুরুতর কিছু নয়। সমাজের চোখ সরবে, নীরবে কত ন্যায়-অন্যায় দেখে চেয়ারম্যান আর মাদবরের চোখে ও বিচারে তার দোষ অনেক : ১. চেয়ারম্যান নিজ মুখে বলার পরও তার বাড়িতে কাজ না করা ২. শরীর-স্বাস্থ্য ভালো, গড়ন সুন্দর, দেখতে ভালো, হাসলে গালে টোলপড়া মুখটা দেখায় নতুন রূপের কিছু, ৩. এনজিও আপার সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলে, সমিতির নেত্রী হতে চায়, ৪. স্বামী ফজলের সঙ্গে বৃষ্টির রাতে বাইরে যাওয়া। 

সাবিনার কোন দোষ আর কোন অপরাধ বেশি এবং কোনটি কম সে সব চেয়ারম্যান নিজের লোকদের ও মাদবরের কাছে কখনো ফিসফিস করে, কখনো রাগত গলায়, গলার রগ ফুলিয়ে, তর্জনী দিয়ে শূন্যতাকে শাসিয়ে, বলেছেন অনেকবার। প্রতিবার বলার সময় কোনটি বেশি এবং কোনটি কম অপরাধ ও দোষ, তার ব্যাখ্যা তার লোকজন শুনেছে। চেয়ারম্যান সামনে থেকে চলে গেলে, তার নিজের লোকজনই বলেছে, ‘মায়াটার পর ব্যাটার বদ চোখ পড়ছে।’ তবে কোনো দিন একসঙ্গে সব অপরাধ বা দোষের কথা একবারে চেয়ারম্যানের কাছে কেউ শোনেনি। হয়তো একদিন, উপরে বলা চারটি অপরাধ বা দোষের যে কোনো একটির সঙ্গে শোনা গেছে, ‘সাবিনার হাঁটার ভাব খারাপ, এই হাঁটার লক্ষণ ভালো না, আল্লাহর গজব পড়ে, মুখের ওপর কথা কয়, আমার বাড়িতে কাজ করল না।’ আর একদিন, ‘কী বেলেহাজ, বোরকা না পরেই রাস্তায় যায়!’

তিন নম্বর মুঠ ধান সাবিনা চিবাচ্ছে। চেয়ারম্যানের চোখ এবার দেখতে চায়, যখন ছোবড়া ফেলবে, নিশ্চয় হবে লাল, মানে রক্তভরা। বৃত্ত হয়ে থাকা গ্রামবাসীর স্থির চোখ দেখছে, সাবিনার চোখ-মুখ হয়ে গেছে লাল, দুই চোয়াল বারবার ফুলে উঠছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন ধান চিবানোর ভিডিও করার জন্য সাবিনার মুখের সমান্তরালে স্মার্টফোন এদিক-ওদিক করছিল, খুঁজছিল দেখানোর মতো এক ছবি। নজর পড়ে মাদবরের। ধমক দেন। ‘এই ভিডিও করবা না।’ কিছুদিন আগে এক শিশু ও তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করার সময় কেউ ভিডিও করেছিল এবং তা ছেড়ে দেয় ফেসবুকে। হত্যাকারীদের কেউ কেউ এখন জেলে। মাদবর এই খবর জানেন। 

হাত দুটি মাটির ওপর। কারও কারও মনে হচ্ছে, সাবিনা বমি করবে। কেউ কেউ ভাবছে, দৌড় দেবে নাকি? সবাই দেখল, এক দলা ধানের ছোবড়া ফেলল সাবিনা। এবার ছোবড়ার দলা আগের থেকেও বেশি লাল। জোরে জোরে শ্বাস পড়ছে। সাবিনা চারদিকে তাকায়। চোখে পানি নেই। চোখের গোলকে কষ্টের অন্ধকার হাসছে। 

সাবিনার চোখ এনজিও আপাকে খুঁজেছিল। আপার কানে এই শাস্তির কথা গেলে, নিশ্চয়ই এখানে আপা আসত। আপা কি ঢাকা গেছে? কী এক সালিস কেন্দ্রের কথা আপার কাছ থেকে সাবিনা শুনেছে। মেয়েদের ওপর অত্যাচার করলে তারা নাকি অত্যাচারীরে কঠিন বিচারে আনে। সাবিনা আর ফজল মিয়া কোনো যুক্তিতেই বোঝেনি, তিন দিন আগে রাতে খালপাড়ে, ঝির ঝির বৃষ্টিতে হারিকেন নিয়ে কই মাছ ধরতে যাওয়ার মধ্যে কী অপরাধ আছে। বাতাসে নিভে যায় হারিকেন। বজ্রপাতে ভয় পেয়ে সাবিনা ফজলকে জড়িয়ে ধরেছিল। বিদ্যুতের আলোতে দুজনকে দেখেছিল চেয়ারম্যানের রাখাল। সরকারি খাল থেকে বৃষ্টির ভিতর কান ঘষে পাড়ে ওঠা কই মাছ ধরা কী চুরি? ফজল মিয়ার নিচুস্বরের এই প্রশ্নে চেয়ারম্যান জোরে ধমক দিয়েছিলেন : ‘বেশি বুঝিস না, জানি তুই আর তোর বউ রাইতে কী ক্যরবের গিছিলু, বদমাশ কোথাকার, বাড়িত জায়গা নাই।’

গতকাল সন্ধ্যায় যখন, আজকের বিকালে কী শাস্তি সাবিনাকে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ওর স্বামী ফজল মিয়ার সামনে কথা হচ্ছিল, তখন চেয়ারম্যানের চোখ পড়েছিল বৈঠকখানার উত্তরের পাশে মাঠের দিক। সালিসে উপস্থিত কেউ কেউ বলেছিল, ফজল মিয়াকে একঘরে করতে। কেউ বলেছিল, সে যেন সাবিনাকে তালাক দেয়। যে যার মতো শাস্তির ধরন বলে যাচ্ছিল। চেয়ারম্যান কিছু বলছিলেন না। কিছু একটা ভাবনায় চিন্তিত তখন। উপস্থিত মজলিস অপেক্ষা করছে, তার রায় কী হবে। একবার কী মনে করে, তিনি ডান চোখ ডলে মুখটা নিচের দিকে নামিয়েই আবার ফেরালেন মাঠের দিকে এবং একটু হেসে বললেন, কিছু একটা মনে পড়েছে মনে হয়, ‘এবার তুমরা দেখবা নতুন শাস্তি, মজা পাবা, ধানপরীক্ষা, তুমরা আগে কেউ দ্যাখনি।’

এ এক নতুন পরীক্ষা, নতুন শাস্তি। উপস্থিত লোকজন পরস্পরের মুখের দিকে তাকায়। ধানপরীক্ষা কথাটি একজন ছাড়া আগে কখনো কেউ শোনেনি। তার বয়স হবে পঞ্চাশের ওপর, সে শুনেছিল, বলল, শুনেছে তবে কখনো দেখেনি। মাদবরকে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করল, সে শুনেছে কিনা। না, তিনিও কখনো শোনেননি। সীতার অগ্নিপরীক্ষার কাহিনী তার জানা। বলেন, ‘সীতা কিন্তু অগ্নিপরীক্ষায় পাস করছিল। কঠিন পরীক্ষা দিছিল রাম। তার দ্যাশের লোকেরা মনে হয় সীতারে নিয়া নিন্দা করছিল। শুনছি, রাবণের সঙ্গে সীতা কোনো খারাপ কাম করছিল না, করলে পুইড়ে যাইত, সীতা পবিত্র ছিল, তাই আগুন তারে পোড়াতে পারে নাই, আগুন তো নিজেই পবিত্র, আগুন শুধু পাপে ভরা জিনিস পোড়ায়।’ চেয়ারম্যান মৃদু ধমকে বলেন, ‘মাদবর আজগুবি গল্প থামাও, আগুন কাউরে ছাড়ে নাকি?’

‘শুন, আমার দাদা ছিল খুব ইমানদার লোক। পাঁচ গ্রামের মাদবরি এই গ্রামে বসে করতেন। কেউ আগে তারে সালাম দিতে পারে নাই। তার বিচার-আচারের ভুল কেউ ধরতে পারে নাই। বাপ-দাদার আমলে ওই মাঠের মাঝখানে ছিল একটা কাঁঠাল গাছ। এখন খালি মাঠ। গাছের তলায়, অনেক বছর আগে, আমার বয়স আট বা নয়, গ্রামের খলিল চোররে দাদা ধানপরীক্ষার শাস্তি দেয়। ডাব চুরি করছিল। এখন মাঠের দিক চোখ পড়তে মনে পড়ল, সাবিনারে এই পরীক্ষা দেব, তুমরাও নতুন জিনিস দেখবা।’ উপস্থিত সভাসদের মধ্যে দু-একজন দাদা বিষয়ে মূল্যবান স্মৃতি শুনে কেন যে হাসে, বোধহয় নিজেরাই বুঝতে পারে না। এবং যারা হাসে না, কেন হাসে না বা মুগ্ধ হয় না, সেটাও বোঝে না। হাসি সবসময় সংক্রামক নয়।

গ্রামের সবাই নয়, কেউ কেউ রাতে ঘুমিয়ে পড়ার আগে জেনে যায়, কাল বিকালে সাবিনার ধানপরীক্ষা হবে।

নতুন শাস্তির কথা শুনে মাদবর বাড়ি আসার পর তার বউ জানতে চেয়েছিল, কী শাস্তি হতে যাচ্ছে সাবিনার। মাদবর উত্তর দেয়নি। ‘পরে শুইন, খাইতে দাও।’ খাওয়া শেষ হলো। মাদবর একটু তালমিছরি খেলেন। একটু পানি খেয়ে মাটির মালসায় দুই-তিনবার করলেন কুলকুচি। 

মুহম্মদ শহীদুল্লার মা, মাদবরের বউ, মোসাম্মৎ শহীদা খাতুন, পানটা হাতে তুলে দিয়ে, গলার স্বর নিচু করে, যেন এক গোপন কথা, কারও কানে যেন না যায়, আবার জানতে চাইল, ‘সাবিনার কী শাস্তি হবে?’ ‘ধানপরীক্ষা’, অনেকরকম পরীক্ষা— ম্যাট্রিক, ফাজিল, আলিমের নাম শুনেছে শহীদা খাতুন; কিন্তু ধান দিয়ে কিসের পরীক্ষা, এই পরীক্ষা কে নেয়, কারা নেয়, কীভাবে হয়? সব চিন্তা একসঙ্গে করেও সে কোনো উত্তর পায় না। ‘ইডা আবার কোন ধাঁচের পরীক্ষা?’ ‘আমিও জানি না, চেয়ারম্যান ব্যাটা শুধু কইল ধানপরীক্ষা, মনে হয় ধান চিবাইতে হবে।’ শহীদা খেয়াল করে ‘চেয়ারম্যান ব্যাটা’ বলার সময় মাদবরের উচ্চারণ ছিল তাচ্ছিল্যের। ‘খুব কষ্টের কাম, আমি দেখবার চাই।’ তার ইচ্ছার কোনো উত্তর না পেয়ে আবার তার ইচ্ছার কথা বলে শহীদা। মাদবর পানের পিক ফেলে, দাড়িতে আঙ্গুল বুলিয়ে বলেন, ‘যাওয়ার দরকার নেই।’ স্বর শাসনের। শহীদা খাতুন চুপচাপ। চোখ দেখছে বাইরের অন্ধকার। কী মনে করে জিজ্ঞাসা করে, ‘কি করছিল সাবিনা।’ হুজুর বলেন, ‘দিন তিনেক আগে রাতে যে বৃষ্টি হইল, টিপটিপ বৃষ্টি, ফজল আর সাবিনা খালে যায় হারিকেন নিয়ে, কই উঠতেছিল, ধরতে গিছিল, একসময় বাতাসে হারিকেন নিভে যায়, বৃষ্টির মধ্যি দুইজনরে জড়াজড়ি অবস্থায় দেখা যায়, কী কমু, মনে হয় সাবিনার খায়েস হইছিল, বেহায়া মেয়েলোক, খালপাড়েই তারা, বুঝতে পারছ?’ এক সরল কথা শহীদার মুখ থেকে বের হয়, ‘স্বামী-স্ত্রীর হাউস হইছে, করছে, অপরাধ কী, দেখল কে?’ মাদবর কিছুক্ষণ কথা বলেন না, যুৎসই একটা জবাব দিতে হবে। ‘বিদ্যুৎ চমকাইলে ঘটনা দেখছে চেয়ারম্যানের রাখাল, সেও গেছিল কই ধরতে।’ এই পর্যন্ত স্বাভাবিক গলায় বলেই মাদবরের গলার স্বর ভারী হয়ে ওঠে। শহীদা বুঝে যায় কড়া কথা শুনতে হবে। ‘আকাম-কুকাম রাস্তাঘাটে, সমাজ আছে না, তাই ধানপরীক্ষা।’ 

পাঁচ নম্বর মুঠ ধান মুখে তোলার সময় সাবিনার হাত কাঁপছিল। হাঁয়ের খুব কাছে, লাল হয়ে ওঠা ঠোঁটে লেগেছিল আঙ্গুল, আঙ্গুল আর হাঁয়ের ফাঁক দিয়ে পড়ে গেল কিছু ধান। দানা মাটিতে পড়ার শব্দ নিশ্চয় হয়েছিল, কেউ শোনেনি। সাবিনা শুনেছিল কিনা, আমরা জানি না। দর্শকদের কেউ কেউ, যারা চেয়ারম্যানের আশপাশে ছিল, শুনল তার কথা : ‘শালি খুব চালাক, মুখের কাছে ধান নিয়া অর্ধেক মুখে দিতাছে, ফেলতাছে অর্ধেক, তাড়াতাড়ি শেষ করবার ক।’ সাবিনা কথার শেষ অংশ শুনেছিল। মাথা ঘুরায়। চোখ দুটি লাল। দৃষ্টি চেয়ারম্যানের ওপর। ধান চিবানোর কারণে চোয়াল ধরে আসছিল। চোয়াল দুটি অল্প কেঁপে ওঠে। মাদবর আর চেয়ারম্যানের মনে হয়, সাবিনা হাসছে। দর্শকরা দেখে তীব্র কষ্টপীড়িত এক মুখ।

ধানের বাটি ক্ষিপ্রহাতে তুলে নেয় সাবিনা, যেন এক বাজপাখি ছোঁ মেরে খাল থেকে তুলে নিল মাছ। সোজা দাঁড়িয়ে পড়ে। বৃত্ত হয়ে বসা, দাঁড়ানো মানুষরা মনে করে, সাবিনা পালাবে। কেউ কেউ সরে যায়। চোখ-মুখে অবাকের বিস্ময়। পরিধি থাকে না পরিধি। কেঁপে ওঠে। চেয়ারম্যান অবাক। মাদবর বিস্মিত। সাবিনা এক দৌড়ে চলে আসে চেয়ারম্যানের সামনে। সোজা, স্থির, কেউ তার ঋজুতাকে একচুলও নড়াতে পারবে না, দাঁড়ায়। বড় হাঁ করে ধানের বাটি মুখের গহ্বরের ওপর ধরে। ধান মুখের ভিতর পড়তে থাকে। মাটিতে পড়ে। শরীরে পড়ে। কাঁধে, গলায়, বুকে, হাতে, শাড়িতে এবং পায়ে শুধু ধান আর ধান। দর্শকরা দেখে, এক ধানমানুষ দাঁড়ানো, এক শস্যভূমি দাঁড়ানো। সাবিনা ধান চিবায়। সাবিনা থু শব্দ করে ছোবড়ার সঙ্গে শস্যের অজস্র কণা মাটিতে ফেলে, ফেলতেই থাকে। যেন ওই মুখ এক ধানখেত, শুধু জন্মে যাচ্ছে শস্য। ওর দম বন্ধ হয় না। অজ্ঞান হয় না। ঠোঁট দুটি ক্ষতবিক্ষত, রক্তময়। লালা ঝরছে না। চেয়ারম্যানের চোখের দিকে সাবিনার লাল চোখ স্থির। সূর্যবৎ। 

শরণখালী গ্রামের মানুষ অনেকদিন ধরে বলাবলি করে, করে যায়, ‘সাবিনা ধানপরীক্ষায় ফেল করে নাই।’ বলে, ‘সাবিনা সেই পরীক্ষার পর বোবা হয়ে যায়।’

এই বিভাগের আরও খবর
ইকারাস
ইকারাস
নতজানু
নতজানু
আয়ুপথ
আয়ুপথ
হৃদয় ভাঙার গান
হৃদয় ভাঙার গান
থাকবেন মুকুট হয়ে
থাকবেন মুকুট হয়ে
যাঁর নৈরাশ্যই মুক্তির দরজা খুলে দেয়
যাঁর নৈরাশ্যই মুক্তির দরজা খুলে দেয়
জার্নাল
জার্নাল
পাহাড়
পাহাড়
বুকের ভিতর ময়ূর নাচে
বুকের ভিতর ময়ূর নাচে
শাড়ির আঁচলে বাঁধা জীবন
শাড়ির আঁচলে বাঁধা জীবন
পাশে থাকা
পাশে থাকা
আমাদের কিছুই হলো না
আমাদের কিছুই হলো না
সর্বশেষ খবর
শিক্ষকদের আমরণ অনশন চলছে, অসুস্থ কয়েকজন
শিক্ষকদের আমরণ অনশন চলছে, অসুস্থ কয়েকজন

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টারে কুরআন শিক্ষা কর্মসূচি শুরু
অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টারে কুরআন শিক্ষা কর্মসূচি শুরু

১৬ মিনিট আগে | পরবাস

কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে ঘরোয়া উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে ঘরোয়া উপায়

২৮ মিনিট আগে | জীবন ধারা

আজও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা
আজও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচনে এআই-এর অপব্যবহার রোধে সেন্ট্রাল সেল করা হবে : সিইসি
নির্বাচনে এআই-এর অপব্যবহার রোধে সেন্ট্রাল সেল করা হবে : সিইসি

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

ছাত্রদল নেতা জোবায়েদের দাফন সম্পন্ন
ছাত্রদল নেতা জোবায়েদের দাফন সম্পন্ন

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিহীন
রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিহীন

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে 'ভিত্তিহীন' দোষারোপের প্রতিবাদ
শাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে 'ভিত্তিহীন' দোষারোপের প্রতিবাদ

৩৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইরানের পাশে দাঁড়াল প্রতিবেশী আরব দেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি
ইরানের পাশে দাঁড়াল প্রতিবেশী আরব দেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার আপিল শুনানি ৪ সপ্তাহ পর
নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার আপিল শুনানি ৪ সপ্তাহ পর

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

সুস্থ থাকতে দিনে কয়টি ডিম খাবেন
সুস্থ থাকতে দিনে কয়টি ডিম খাবেন

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

পায়ুপথে তীব্র ব্যথা হলে
পায়ুপথে তীব্র ব্যথা হলে

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়
নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, ইউএস-বাংলার এয়ারক্রাফট বেড়ে ২৫
যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, ইউএস-বাংলার এয়ারক্রাফট বেড়ে ২৫

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাজীপুরে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুন
গাজীপুরে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল হেলপারের
সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল হেলপারের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জেন-জি বিক্ষোভে মাদাগাস্কারে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ
জেন-জি বিক্ষোভে মাদাগাস্কারে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেব-রুক্মিণী নিয়ে নতুন গুঞ্জন, ফের ভাঙনের ইঙ্গিত?
দেব-রুক্মিণী নিয়ে নতুন গুঞ্জন, ফের ভাঙনের ইঙ্গিত?

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত শুনানি শুরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত শুনানি শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপ থেকে বিদায়, যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক
বিশ্বকাপ থেকে বিদায়, যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ পিআর বুঝে না’
‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ পিআর বুঝে না’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক ও হেলাপার নিহত
ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক ও হেলাপার নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনের প্রভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া খনিজ চুক্তি সই
চীনের প্রভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া খনিজ চুক্তি সই

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন যেভাবে
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন যেভাবে

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম
আজ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেঘনায় মা ইলিশ শিকারের দায়ে ১৯ জেলের দণ্ড
মেঘনায় মা ইলিশ শিকারের দায়ে ১৯ জেলের দণ্ড

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুরির কাহিনীতে ‘অধ্যাপক‌' নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি
চুরির কাহিনীতে ‘অধ্যাপক‌' নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে : ইকবাল করিম ভূঁইয়া
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে : ইকবাল করিম ভূঁইয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বলিউডে কার আয় কত? অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক তালিকা প্রকাশ
বলিউডে কার আয় কত? অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক তালিকা প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!
২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার
প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেলপথে নতুন উদ্যোগ সৌদির, চার ঘণ্টায় যাবে ১৫০০ কিমি
রেলপথে নতুন উদ্যোগ সৌদির, চার ঘণ্টায় যাবে ১৫০০ কিমি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুগল গ্রেফতার
পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুগল গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বপ্ন দেখতেই থাকুন, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির
স্বপ্ন দেখতেই থাকুন, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন, কিন্তু কত?
নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন, কিন্তু কত?

২০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না: গোলাম পরওয়ার
জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না: গোলাম পরওয়ার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যে কারণে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন ইরানের সেনাপ্রধান
যে কারণে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন ইরানের সেনাপ্রধান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের ‘৭৮ শতাংশ দখল’ করে নিয়েছে রাশিয়া, ধারণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনের ‘৭৮ শতাংশ দখল’ করে নিয়েছে রাশিয়া, ধারণা ট্রাম্পের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিয়োগবিধি পেল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, সাব-রেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি পাবেন শীর্ষপদ পর্যন্ত
নিয়োগবিধি পেল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, সাব-রেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি পাবেন শীর্ষপদ পর্যন্ত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি নারী
ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি নারী

১৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিগারদের বাঁচা-মরার লড়াই আজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিগারদের বাঁচা-মরার লড়াই আজ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাশিয়ার শর্ত মেনে ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামাতে বললেন ট্রাম্প
রাশিয়ার শর্ত মেনে ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামাতে বললেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান
যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টি-টোয়েন্টিতে হ্যারি ব্রুকের নতুন মাইলফলক
টি-টোয়েন্টিতে হ্যারি ব্রুকের নতুন মাইলফলক

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ
সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পাশে দাঁড়ালো রাশিয়া
ইরানের পাশে দাঁড়ালো রাশিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-কে জয়া আহসানের না বলার কারণ যা
‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-কে জয়া আহসানের না বলার কারণ যা

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ যথেষ্ট নয় : এ্যানী
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ যথেষ্ট নয় : এ্যানী

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেবরের ছেলের সাথে ‘ব্রেকআপ’, কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা
দেবরের ছেলের সাথে ‘ব্রেকআপ’, কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জানুয়ারিতে নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ
জানুয়ারিতে নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন
বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন

নগর জীবন

আবারও ই-কমার্স প্রতারণা
আবারও ই-কমার্স প্রতারণা

পেছনের পৃষ্ঠা

আদেশ জারির পর গণভোট
আদেশ জারির পর গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ
চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার
ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের
জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না
বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না

প্রথম পৃষ্ঠা

বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা
বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা

প্রথম পৃষ্ঠা

থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের
থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া

সম্পাদকীয়

আবারও আসতে পারে ১/১১
আবারও আসতে পারে ১/১১

নগর জীবন

ইলিশ রক্ষায় মায়া নেই জেলেদের
ইলিশ রক্ষায় মায়া নেই জেলেদের

নগর জীবন

পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার
পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টি
ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টি

নগর জীবন

বিপর্যয় কাটবে কীভাবে
বিপর্যয় কাটবে কীভাবে

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির
প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী
যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা
আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা

মাঠে ময়দানে

২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!
২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন
রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক
আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করুন
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করুন

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন

সম্পাদকীয়

নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়
নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়

স্বাস্থ্য

আমরণ অনশন চলছে
আমরণ অনশন চলছে

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় এনসিপির সভায় ককটেল বিস্ফোরণ
বগুড়ায় এনসিপির সভায় ককটেল বিস্ফোরণ

দেশগ্রাম

বিক্ষোভ মিছিল
বিক্ষোভ মিছিল

নগর জীবন

ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আটক ২৪
ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আটক ২৪

দেশগ্রাম