শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬

ধানপরীক্ষায় মেয়েটি পাস করেছিল

গল্প ♦ জাহিদ হায়দার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ধানপরীক্ষায় মেয়েটি পাস করেছিল

দুই মুঠ শুকনো ধান চিবানো শেষ। লালা ভেজা ধানের ছোবড়া, এক মেয়ের মা প্রায় ২৩ বছর বয়সী সাবিনা, থু শব্দ করে মাটির ওপর ফেলে সামনের ঘিয়ে রঙের মেলামাইনের বাটিতে রাখা ধূসর রঙের ধানের দিকে তাকায়, আরও চিবাতে হবে। বাটির কানায় চিত্রিত সবুজ লতাপাতার ভিতর নীল আর হলুদ ফুলের পাপড়িতে পড়েছিল কয়েক বিন্দু আঠালো গরম থুতু।

সবার চোখ কেন্দ্রে। সেখানে কোনো ক্ষুদ্র বিন্দু নয়। এক মানুষ ও তার সামনে রাখা শস্যকে, শস্য ছাড়া কে আর বাঁচে, কেউ যদি ওই দুটি গুরুতর হিসাবকে এক বলয়ে স্বপ্নদেখা বা বাস্তবের সত্যে নিপীড়িত জীবন্ত বিন্দু বলে মনে করে এবং হঠাৎ তার চিন্তার ভিতর আসতেই পারে, যাকে এখন স্থির বিন্দু বলে মনে করা হচ্ছে, সে যখন শাস্তি ভোগ করার পর শূন্য বাটি রেখে উঠে দাঁড়াবে এবং যাবে বৃত্তের দিকে তখন পরিধির কোনো এক জায়গায় ফাটল ধরবেই।  

আস্তে আস্তে কথা বলা, কথা না বলা, শুধু তাকিয়ে থাকা ছোট-বড়, মজা ও শাস্তি দেখতে আসা কৌতূহলী মানুষের তৈরি করা এক বৃত্ত। শরণখালী গ্রামের মানুষ খোলা জায়গায় বসে, শ্রাবণের মেঘভাসা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে, চেয়ারম্যানের অফিসের পাশের মাঠে, অনেক আগে সেখানে ছিল একটি কাঁঠাল গাছ, এই গাছের নিচে অনেক বছর আগে, গ্রামের কোনো কোনো বয়সী জনের স্মৃতিতে থাকতে পারে, না-ও পারে, বিস্মৃতি কার নেই, এক বিচার হয়েছিল তার কথা পরে জানা যাবে, দেখছে সাবিনার ধানপরীক্ষা, শাস্তির নতুন ধরন।

আমরা জেনে গেছি, বাঁচার সোজা-বাঁকা পথে কতকিছু জানতে হয়, বৃত্তের কেন্দ্রে বসে আছে অন্যায় শক্তির তথাকথিত বিচারে শাসিত, মাথা নিচু করা একজন মানুষ। পরনে শাদা-কালো মলিন শাড়ি। মাথায় কাপড় ছিল। ধান চিবানোর সময় মাথা নড়াচড়ার ফলে পড়ে গেছে। কখনো ভীত চোখে, খালি গা আর হরেকরকম কাপড়ে সাজানো মানুষের গড়া বৃত্তের দিকে তাকাচ্ছে সে। দৃষ্টিতে শূন্যতা। চুলে চিরুনি পড়েনি। তেলও না। ঘিরে থাকা প্রায় সবাইকে সে কমবেশি চেনে, জানে। শাস্তি দেখতে আসা মানুষগুলোর চোখ-মুখ সাবিনার কাছে অচেনা মনে হয়। মানুষের শাস্তি, অপমান দেখে মানুষ কী আনন্দ পায়, ওর চিন্তায় আসে না। সাবিনা একবার চোখ ডলে, চারদিক তাকায়, স্বামী ফজল মিয়ার চোখে চোখ পড়ে। লোকটির ডান হাতের তর্জনী যন্ত্রের মতো খোঁচাচ্ছে শুকনো মাটি। কেউ বলতে পারবে না, মাটির কাছে, অন্যের কৃষিখেতে মজুরিখাটা এই মানুষ, বিচার চাইছে কিনা।

হঠাৎ করে, বাইরের কোনো লোক যদি এসে দেখে, একটি ২২-২৩ বছরের মেয়ে ধান ভরা এক বাটির সামনে দুই পা, যেন তা এক পদ্মাসন, যোগাসনে স্থির, বসে তাকিয়ে আছে ধান নামের শস্যের দিকে। আগন্তুকের মনে হতেই পারে, মনে হওয়া ব্যাপারটি চিন্তা ও বিষয় সাপেক্ষ, মেয়েটি কোনো জাদুটোনায় ব্যস্ত কিনা, এক গভীর ধ্যানে খুঁজছে জটিল অবস্থার থেকে মুক্তি। এই দেশে অনেক জাদুমন্ত্রের লৌকিক-অলৌকিক গল্প আছে। তাতে আছে মুগ্ধতা এবং অনেকের আছে বিশ্বাস। কারও মনে পড়তে পারে প্রবাদ : ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর’। তারপরও মানুষ বড় তর্ক ও প্রশ্নপ্রিয়।

মাদবর বলেছিলেন এক সের ধান দিতে। প্রায় ৬৫ বছর বয়সী চেয়ারম্যানও গত রাতে ভেবে রেখেছিলেন, দেওয়া হবে এক সের। যে লোকটি বাটিতে ধান ঢালছিল তাকে তিনি বললেন, ‘আধ সের দে।’ ডান পাশে বসেছিলেন মাদবর। তিনি কিছু বলার জন্য চেয়ারম্যানের কানের দিকে মুখ বাড়াতেই, চেয়ারম্যানের হাতের ইঙ্গিতে মাদবরের মুখে তার আঙ্গুলের ছায়া দ্রুত দুলে ওঠে, তিন আঙ্গুলের তিন আংটিতে রোদ তারা ফোটায়, ইঙ্গিত কোনো না কোনো অর্থপূর্ণ, বোঝে কিছু বলতে হবে না। দেখা গেল, মাদবরের জোড়া ভুরুর নিচে সুরমা লাগানো মাঝারি মাপের দুটি চোখ আড়চোখে তাকালো এদিক-ওদিক, মেহেদির রসে রঞ্জিত গাঢ় কমলা রঙের দাড়িতে ভরা মুখ চেয়ারম্যানের কানের লম্বা লতির কাছ থেকে তিনি সরিয়ে নিলেন দ্রুত। এবং দাড়ির ভিতর তর্জনী ঢুকিয়ে, হয়তো খামোখা, হয়তো নয়, চুলকালেন থুতনি। তর্জনীর নড়াচড়ায় রঙিন দাড়িগুলো মেঘভাঙা পড়ন্ত রোদে দেখালো সুন্দর।

আধ সের বলার আগে কেন যেন সাবিনার শ্যামলা মুখটা চেয়ারম্যান দেখছিলেন একদৃষ্টিতে। তার মনের মধ্যে হঠাৎ দয়ার একপ্রকার ঠাণ্ডাপ্রবাহ নামে। দয়ার অচেনা প্রবাহে চেয়ারম্যান নিজেই চমকে যান। আগে কতবার মেয়েটি তার মুখোমুখি হয়েছে বা চলাফেরার পথে পড়েছে কিন্তু কখনো মায়া বা দয়া দেখানোর মতো কোনো কারণ ঘটেনি। আজ এই শাস্তি কার্যকরের সময় পশ্চিমে বেশ হেলে পড়া হেমন্ত দিনের সূর্যের সোনালি রোদ পড়েছিল সাবিনার মুখের ওপর, দুই চোয়ালে শুকিয়ে যাওয়া অশ্রুর বাঁকা রেখা দেখাচ্ছিল করুণ। ‘মেয়েটা কত যে কাঁদছে’, এই কথাটি মনে হতেই ধানের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে যায়। তার ছোটকালের দেখা অভিজ্ঞতা বলে, আধ সের ধান গ্রামের খলিল চোর চিবাতে পারেনি। দম বন্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তখন তার দাদা খলিলের মাথায় পানি ঢালতে বলেন। চেয়ারম্যানের মনে হয়, সাবিনা যদি দম বন্ধ হয়ে পড়ে যায়, ধান চিবাতে চিবাতে দম বন্ধ হওয়ার কথা, তখন তিনি নিজেই সাবিনার মাথায় পানি ঢালবেন, কপালে দেবেন খসখসে হাত। লোকজন দেখবে, চেয়ারম্যান এক দয়ার সাগর, নিজেই সেবা করছে। লোকজন বুঝবে না, সেবার নামে চেয়ারম্যান সাবিনার গায়ে হাত দেওয়ার একটি সুযোগ পেল। সব সেবা নিঃস্বার্থ হয় না, কোনো কোনো সেবার ভিতর বিশেষ অভিসন্ধি ওত পেতে থাকে। কথা পুরনো, সবার জানা।

সাবিনার অপরাধ ও দোষ, এখনকার গ্রামীণ সমাজের চোখে গুরুতর কিছু নয়। সমাজের চোখ সরবে, নীরবে কত ন্যায়-অন্যায় দেখে চেয়ারম্যান আর মাদবরের চোখে ও বিচারে তার দোষ অনেক : ১. চেয়ারম্যান নিজ মুখে বলার পরও তার বাড়িতে কাজ না করা ২. শরীর-স্বাস্থ্য ভালো, গড়ন সুন্দর, দেখতে ভালো, হাসলে গালে টোলপড়া মুখটা দেখায় নতুন রূপের কিছু, ৩. এনজিও আপার সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলে, সমিতির নেত্রী হতে চায়, ৪. স্বামী ফজলের সঙ্গে বৃষ্টির রাতে বাইরে যাওয়া। 

সাবিনার কোন দোষ আর কোন অপরাধ বেশি এবং কোনটি কম সে সব চেয়ারম্যান নিজের লোকদের ও মাদবরের কাছে কখনো ফিসফিস করে, কখনো রাগত গলায়, গলার রগ ফুলিয়ে, তর্জনী দিয়ে শূন্যতাকে শাসিয়ে, বলেছেন অনেকবার। প্রতিবার বলার সময় কোনটি বেশি এবং কোনটি কম অপরাধ ও দোষ, তার ব্যাখ্যা তার লোকজন শুনেছে। চেয়ারম্যান সামনে থেকে চলে গেলে, তার নিজের লোকজনই বলেছে, ‘মায়াটার পর ব্যাটার বদ চোখ পড়ছে।’ তবে কোনো দিন একসঙ্গে সব অপরাধ বা দোষের কথা একবারে চেয়ারম্যানের কাছে কেউ শোনেনি। হয়তো একদিন, উপরে বলা চারটি অপরাধ বা দোষের যে কোনো একটির সঙ্গে শোনা গেছে, ‘সাবিনার হাঁটার ভাব খারাপ, এই হাঁটার লক্ষণ ভালো না, আল্লাহর গজব পড়ে, মুখের ওপর কথা কয়, আমার বাড়িতে কাজ করল না।’ আর একদিন, ‘কী বেলেহাজ, বোরকা না পরেই রাস্তায় যায়!’

তিন নম্বর মুঠ ধান সাবিনা চিবাচ্ছে। চেয়ারম্যানের চোখ এবার দেখতে চায়, যখন ছোবড়া ফেলবে, নিশ্চয় হবে লাল, মানে রক্তভরা। বৃত্ত হয়ে থাকা গ্রামবাসীর স্থির চোখ দেখছে, সাবিনার চোখ-মুখ হয়ে গেছে লাল, দুই চোয়াল বারবার ফুলে উঠছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন ধান চিবানোর ভিডিও করার জন্য সাবিনার মুখের সমান্তরালে স্মার্টফোন এদিক-ওদিক করছিল, খুঁজছিল দেখানোর মতো এক ছবি। নজর পড়ে মাদবরের। ধমক দেন। ‘এই ভিডিও করবা না।’ কিছুদিন আগে এক শিশু ও তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করার সময় কেউ ভিডিও করেছিল এবং তা ছেড়ে দেয় ফেসবুকে। হত্যাকারীদের কেউ কেউ এখন জেলে। মাদবর এই খবর জানেন। 

হাত দুটি মাটির ওপর। কারও কারও মনে হচ্ছে, সাবিনা বমি করবে। কেউ কেউ ভাবছে, দৌড় দেবে নাকি? সবাই দেখল, এক দলা ধানের ছোবড়া ফেলল সাবিনা। এবার ছোবড়ার দলা আগের থেকেও বেশি লাল। জোরে জোরে শ্বাস পড়ছে। সাবিনা চারদিকে তাকায়। চোখে পানি নেই। চোখের গোলকে কষ্টের অন্ধকার হাসছে। 

সাবিনার চোখ এনজিও আপাকে খুঁজেছিল। আপার কানে এই শাস্তির কথা গেলে, নিশ্চয়ই এখানে আপা আসত। আপা কি ঢাকা গেছে? কী এক সালিস কেন্দ্রের কথা আপার কাছ থেকে সাবিনা শুনেছে। মেয়েদের ওপর অত্যাচার করলে তারা নাকি অত্যাচারীরে কঠিন বিচারে আনে। সাবিনা আর ফজল মিয়া কোনো যুক্তিতেই বোঝেনি, তিন দিন আগে রাতে খালপাড়ে, ঝির ঝির বৃষ্টিতে হারিকেন নিয়ে কই মাছ ধরতে যাওয়ার মধ্যে কী অপরাধ আছে। বাতাসে নিভে যায় হারিকেন। বজ্রপাতে ভয় পেয়ে সাবিনা ফজলকে জড়িয়ে ধরেছিল। বিদ্যুতের আলোতে দুজনকে দেখেছিল চেয়ারম্যানের রাখাল। সরকারি খাল থেকে বৃষ্টির ভিতর কান ঘষে পাড়ে ওঠা কই মাছ ধরা কী চুরি? ফজল মিয়ার নিচুস্বরের এই প্রশ্নে চেয়ারম্যান জোরে ধমক দিয়েছিলেন : ‘বেশি বুঝিস না, জানি তুই আর তোর বউ রাইতে কী ক্যরবের গিছিলু, বদমাশ কোথাকার, বাড়িত জায়গা নাই।’

গতকাল সন্ধ্যায় যখন, আজকের বিকালে কী শাস্তি সাবিনাকে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ওর স্বামী ফজল মিয়ার সামনে কথা হচ্ছিল, তখন চেয়ারম্যানের চোখ পড়েছিল বৈঠকখানার উত্তরের পাশে মাঠের দিক। সালিসে উপস্থিত কেউ কেউ বলেছিল, ফজল মিয়াকে একঘরে করতে। কেউ বলেছিল, সে যেন সাবিনাকে তালাক দেয়। যে যার মতো শাস্তির ধরন বলে যাচ্ছিল। চেয়ারম্যান কিছু বলছিলেন না। কিছু একটা ভাবনায় চিন্তিত তখন। উপস্থিত মজলিস অপেক্ষা করছে, তার রায় কী হবে। একবার কী মনে করে, তিনি ডান চোখ ডলে মুখটা নিচের দিকে নামিয়েই আবার ফেরালেন মাঠের দিকে এবং একটু হেসে বললেন, কিছু একটা মনে পড়েছে মনে হয়, ‘এবার তুমরা দেখবা নতুন শাস্তি, মজা পাবা, ধানপরীক্ষা, তুমরা আগে কেউ দ্যাখনি।’

এ এক নতুন পরীক্ষা, নতুন শাস্তি। উপস্থিত লোকজন পরস্পরের মুখের দিকে তাকায়। ধানপরীক্ষা কথাটি একজন ছাড়া আগে কখনো কেউ শোনেনি। তার বয়স হবে পঞ্চাশের ওপর, সে শুনেছিল, বলল, শুনেছে তবে কখনো দেখেনি। মাদবরকে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করল, সে শুনেছে কিনা। না, তিনিও কখনো শোনেননি। সীতার অগ্নিপরীক্ষার কাহিনী তার জানা। বলেন, ‘সীতা কিন্তু অগ্নিপরীক্ষায় পাস করছিল। কঠিন পরীক্ষা দিছিল রাম। তার দ্যাশের লোকেরা মনে হয় সীতারে নিয়া নিন্দা করছিল। শুনছি, রাবণের সঙ্গে সীতা কোনো খারাপ কাম করছিল না, করলে পুইড়ে যাইত, সীতা পবিত্র ছিল, তাই আগুন তারে পোড়াতে পারে নাই, আগুন তো নিজেই পবিত্র, আগুন শুধু পাপে ভরা জিনিস পোড়ায়।’ চেয়ারম্যান মৃদু ধমকে বলেন, ‘মাদবর আজগুবি গল্প থামাও, আগুন কাউরে ছাড়ে নাকি?’

‘শুন, আমার দাদা ছিল খুব ইমানদার লোক। পাঁচ গ্রামের মাদবরি এই গ্রামে বসে করতেন। কেউ আগে তারে সালাম দিতে পারে নাই। তার বিচার-আচারের ভুল কেউ ধরতে পারে নাই। বাপ-দাদার আমলে ওই মাঠের মাঝখানে ছিল একটা কাঁঠাল গাছ। এখন খালি মাঠ। গাছের তলায়, অনেক বছর আগে, আমার বয়স আট বা নয়, গ্রামের খলিল চোররে দাদা ধানপরীক্ষার শাস্তি দেয়। ডাব চুরি করছিল। এখন মাঠের দিক চোখ পড়তে মনে পড়ল, সাবিনারে এই পরীক্ষা দেব, তুমরাও নতুন জিনিস দেখবা।’ উপস্থিত সভাসদের মধ্যে দু-একজন দাদা বিষয়ে মূল্যবান স্মৃতি শুনে কেন যে হাসে, বোধহয় নিজেরাই বুঝতে পারে না। এবং যারা হাসে না, কেন হাসে না বা মুগ্ধ হয় না, সেটাও বোঝে না। হাসি সবসময় সংক্রামক নয়।

গ্রামের সবাই নয়, কেউ কেউ রাতে ঘুমিয়ে পড়ার আগে জেনে যায়, কাল বিকালে সাবিনার ধানপরীক্ষা হবে।

নতুন শাস্তির কথা শুনে মাদবর বাড়ি আসার পর তার বউ জানতে চেয়েছিল, কী শাস্তি হতে যাচ্ছে সাবিনার। মাদবর উত্তর দেয়নি। ‘পরে শুইন, খাইতে দাও।’ খাওয়া শেষ হলো। মাদবর একটু তালমিছরি খেলেন। একটু পানি খেয়ে মাটির মালসায় দুই-তিনবার করলেন কুলকুচি। 

মুহম্মদ শহীদুল্লার মা, মাদবরের বউ, মোসাম্মৎ শহীদা খাতুন, পানটা হাতে তুলে দিয়ে, গলার স্বর নিচু করে, যেন এক গোপন কথা, কারও কানে যেন না যায়, আবার জানতে চাইল, ‘সাবিনার কী শাস্তি হবে?’ ‘ধানপরীক্ষা’, অনেকরকম পরীক্ষা— ম্যাট্রিক, ফাজিল, আলিমের নাম শুনেছে শহীদা খাতুন; কিন্তু ধান দিয়ে কিসের পরীক্ষা, এই পরীক্ষা কে নেয়, কারা নেয়, কীভাবে হয়? সব চিন্তা একসঙ্গে করেও সে কোনো উত্তর পায় না। ‘ইডা আবার কোন ধাঁচের পরীক্ষা?’ ‘আমিও জানি না, চেয়ারম্যান ব্যাটা শুধু কইল ধানপরীক্ষা, মনে হয় ধান চিবাইতে হবে।’ শহীদা খেয়াল করে ‘চেয়ারম্যান ব্যাটা’ বলার সময় মাদবরের উচ্চারণ ছিল তাচ্ছিল্যের। ‘খুব কষ্টের কাম, আমি দেখবার চাই।’ তার ইচ্ছার কোনো উত্তর না পেয়ে আবার তার ইচ্ছার কথা বলে শহীদা। মাদবর পানের পিক ফেলে, দাড়িতে আঙ্গুল বুলিয়ে বলেন, ‘যাওয়ার দরকার নেই।’ স্বর শাসনের। শহীদা খাতুন চুপচাপ। চোখ দেখছে বাইরের অন্ধকার। কী মনে করে জিজ্ঞাসা করে, ‘কি করছিল সাবিনা।’ হুজুর বলেন, ‘দিন তিনেক আগে রাতে যে বৃষ্টি হইল, টিপটিপ বৃষ্টি, ফজল আর সাবিনা খালে যায় হারিকেন নিয়ে, কই উঠতেছিল, ধরতে গিছিল, একসময় বাতাসে হারিকেন নিভে যায়, বৃষ্টির মধ্যি দুইজনরে জড়াজড়ি অবস্থায় দেখা যায়, কী কমু, মনে হয় সাবিনার খায়েস হইছিল, বেহায়া মেয়েলোক, খালপাড়েই তারা, বুঝতে পারছ?’ এক সরল কথা শহীদার মুখ থেকে বের হয়, ‘স্বামী-স্ত্রীর হাউস হইছে, করছে, অপরাধ কী, দেখল কে?’ মাদবর কিছুক্ষণ কথা বলেন না, যুৎসই একটা জবাব দিতে হবে। ‘বিদ্যুৎ চমকাইলে ঘটনা দেখছে চেয়ারম্যানের রাখাল, সেও গেছিল কই ধরতে।’ এই পর্যন্ত স্বাভাবিক গলায় বলেই মাদবরের গলার স্বর ভারী হয়ে ওঠে। শহীদা বুঝে যায় কড়া কথা শুনতে হবে। ‘আকাম-কুকাম রাস্তাঘাটে, সমাজ আছে না, তাই ধানপরীক্ষা।’ 

পাঁচ নম্বর মুঠ ধান মুখে তোলার সময় সাবিনার হাত কাঁপছিল। হাঁয়ের খুব কাছে, লাল হয়ে ওঠা ঠোঁটে লেগেছিল আঙ্গুল, আঙ্গুল আর হাঁয়ের ফাঁক দিয়ে পড়ে গেল কিছু ধান। দানা মাটিতে পড়ার শব্দ নিশ্চয় হয়েছিল, কেউ শোনেনি। সাবিনা শুনেছিল কিনা, আমরা জানি না। দর্শকদের কেউ কেউ, যারা চেয়ারম্যানের আশপাশে ছিল, শুনল তার কথা : ‘শালি খুব চালাক, মুখের কাছে ধান নিয়া অর্ধেক মুখে দিতাছে, ফেলতাছে অর্ধেক, তাড়াতাড়ি শেষ করবার ক।’ সাবিনা কথার শেষ অংশ শুনেছিল। মাথা ঘুরায়। চোখ দুটি লাল। দৃষ্টি চেয়ারম্যানের ওপর। ধান চিবানোর কারণে চোয়াল ধরে আসছিল। চোয়াল দুটি অল্প কেঁপে ওঠে। মাদবর আর চেয়ারম্যানের মনে হয়, সাবিনা হাসছে। দর্শকরা দেখে তীব্র কষ্টপীড়িত এক মুখ।

ধানের বাটি ক্ষিপ্রহাতে তুলে নেয় সাবিনা, যেন এক বাজপাখি ছোঁ মেরে খাল থেকে তুলে নিল মাছ। সোজা দাঁড়িয়ে পড়ে। বৃত্ত হয়ে বসা, দাঁড়ানো মানুষরা মনে করে, সাবিনা পালাবে। কেউ কেউ সরে যায়। চোখ-মুখে অবাকের বিস্ময়। পরিধি থাকে না পরিধি। কেঁপে ওঠে। চেয়ারম্যান অবাক। মাদবর বিস্মিত। সাবিনা এক দৌড়ে চলে আসে চেয়ারম্যানের সামনে। সোজা, স্থির, কেউ তার ঋজুতাকে একচুলও নড়াতে পারবে না, দাঁড়ায়। বড় হাঁ করে ধানের বাটি মুখের গহ্বরের ওপর ধরে। ধান মুখের ভিতর পড়তে থাকে। মাটিতে পড়ে। শরীরে পড়ে। কাঁধে, গলায়, বুকে, হাতে, শাড়িতে এবং পায়ে শুধু ধান আর ধান। দর্শকরা দেখে, এক ধানমানুষ দাঁড়ানো, এক শস্যভূমি দাঁড়ানো। সাবিনা ধান চিবায়। সাবিনা থু শব্দ করে ছোবড়ার সঙ্গে শস্যের অজস্র কণা মাটিতে ফেলে, ফেলতেই থাকে। যেন ওই মুখ এক ধানখেত, শুধু জন্মে যাচ্ছে শস্য। ওর দম বন্ধ হয় না। অজ্ঞান হয় না। ঠোঁট দুটি ক্ষতবিক্ষত, রক্তময়। লালা ঝরছে না। চেয়ারম্যানের চোখের দিকে সাবিনার লাল চোখ স্থির। সূর্যবৎ। 

শরণখালী গ্রামের মানুষ অনেকদিন ধরে বলাবলি করে, করে যায়, ‘সাবিনা ধানপরীক্ষায় ফেল করে নাই।’ বলে, ‘সাবিনা সেই পরীক্ষার পর বোবা হয়ে যায়।’

এই বিভাগের আরও খবর
রূপকথার গান গানের রূপকথা
রূপকথার গান গানের রূপকথা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
প্রভাত পাখির গান
প্রভাত পাখির গান
রঙ বদলের খেলা
রঙ বদলের খেলা
বিষণ্নতা
বিষণ্নতা
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
চূর্ণ পঙ্ক্তি
চূর্ণ পঙ্ক্তি
ইস্কুলকালের ইরেজার
ইস্কুলকালের ইরেজার
আঁকারীতি
আঁকারীতি
একলা হয়ে যায় সন্ধ্যা
একলা হয়ে যায় সন্ধ্যা
অব্যক্ত আলাপ
অব্যক্ত আলাপ
কবিতার ময়মনসিংহ সেকাল-একাল
কবিতার ময়মনসিংহ সেকাল-একাল
সর্বশেষ খবর
তীব্র খরার মুখে পড়তে যাচ্ছে ইংল্যান্ড, জরুরি পদক্ষেপের প্রস্তুতি
তীব্র খরার মুখে পড়তে যাচ্ছে ইংল্যান্ড, জরুরি পদক্ষেপের প্রস্তুতি

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রুমায় বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রুমায় বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নৈশপ্রহরীর সঙ্গে বাজার পাহারা দিতেন বেলাল, ঘুমন্ত অবস্থায় পিটিয়ে হত্যা
নৈশপ্রহরীর সঙ্গে বাজার পাহারা দিতেন বেলাল, ঘুমন্ত অবস্থায় পিটিয়ে হত্যা

৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, শতাধিক নিখোঁজ
মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, শতাধিক নিখোঁজ

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির সাথে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
বিএনপির সাথে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের বৈঠক

২২ মিনিট আগে | রাজনীতি

নিজের লিভার দান করে স্বামীর জীবন বাঁচালেন খাদিজা
নিজের লিভার দান করে স্বামীর জীবন বাঁচালেন খাদিজা

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়ার নতুন ডিসি তৌফিকুর রহমান
বগুড়ার নতুন ডিসি তৌফিকুর রহমান

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেয়ের প্রেমিকের বন্ধুকে পিটিয়ে হত্যা; ১৪ দিনেও গ্রেফতার নেই
মেয়ের প্রেমিকের বন্ধুকে পিটিয়ে হত্যা; ১৪ দিনেও গ্রেফতার নেই

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর পা বিচ্ছিন্ন
সিদ্ধিরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর পা বিচ্ছিন্ন

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

বসুন্ধরায় জমজমাট আয়োজনে কর্পোরেট ফুটসাল কাপ সম্পন্ন
বসুন্ধরায় জমজমাট আয়োজনে কর্পোরেট ফুটসাল কাপ সম্পন্ন

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

'বগুড়া-১ আসনের কাজী রফিকুলের নামে প্রচারিত ভিডিওটি সত্য নয়'
'বগুড়া-১ আসনের কাজী রফিকুলের নামে প্রচারিত ভিডিওটি সত্য নয়'

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা সেমিনার অনুষ্ঠিত
জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা সেমিনার অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

ফের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের মুখে ফিলিপাইন
ফের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের মুখে ফিলিপাইন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বলিউডে বাজেটের রেকর্ড ভাঙবে শাহরুখের ‘কিং’
বলিউডে বাজেটের রেকর্ড ভাঙবে শাহরুখের ‘কিং’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেনের আবাসিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা, নিহত ১১
ইউক্রেনের আবাসিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা, নিহত ১১

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বন্দুক ঠেকিয়ে এতিমখানার লুটের গরু ৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি
বন্দুক ঠেকিয়ে এতিমখানার লুটের গরু ৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কানাডায় ঢাবি ফোরামের ক‍্যারিয়ার সেমিনার
কানাডায় ঢাবি ফোরামের ক‍্যারিয়ার সেমিনার

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের মাইলফলক : ব্যারিস্টার মীর হেলাল
৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের মাইলফলক : ব্যারিস্টার মীর হেলাল

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষাসহ দুই অধ্যাদেশের প্রজ্ঞাপন জারি
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষাসহ দুই অধ্যাদেশের প্রজ্ঞাপন জারি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলশান অলিম্পিয়াড ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন জিওয়াইসি ডমিনেটরস
গুলশান অলিম্পিয়াড ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন জিওয়াইসি ডমিনেটরস

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী
বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সূচকের মিশ্র প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের মিশ্র প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়
মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

একক নৈপুণ্যে মায়ামিকে সেমিফাইনালে তুললেন মেসি
একক নৈপুণ্যে মায়ামিকে সেমিফাইনালে তুললেন মেসি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভিশন এম্পোরিয়াম থেকে টিভি কিনে গাড়ি জিতলেন কুমিল্লার মিঠুন
ভিশন এম্পোরিয়াম থেকে টিভি কিনে গাড়ি জিতলেন কুমিল্লার মিঠুন

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

হরিণাকুন্ডুতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত, আহত ২
হরিণাকুন্ডুতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত, আহত ২

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম
ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা
যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন
৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস
সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী
আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব
খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল
গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী
বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল
শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা
ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স
‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রিন্ট সর্বাধিক
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ
মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ

মাঠে ময়দানে

ফের সংকট চরমে
ফের সংকট চরমে

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ
জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা
সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম
সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস
অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস

পেছনের পৃষ্ঠা

লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপিতে  নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক
এনসিপিতে নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক

প্রথম পৃষ্ঠা

রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা
রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে

মাঠে ময়দানে

নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে

পেছনের পৃষ্ঠা

রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক
রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক

মাঠে ময়দানে

বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে
বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড
দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ
মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

পেছনের পৃষ্ঠা

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক
অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট
১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট

পেছনের পৃষ্ঠা