ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান।
মঙ্গলবার বিকেলে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত এই রেজিস্ট্রার।
তিনি জানান, সকালে উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। ব্যক্তিগত কারণেই আমি পদত্যাগ করেছি। দায়িত্ব পালনকালে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে কাজ করেছি।
এর আগে, সোমবার রাতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসানকে পদত্যাগ করার জন্য মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক পরিষদ। কারণ হিসেবে এই পরিষদ উল্লেখ্য করে, ‘আল্টিমেটাম দেয়ার পরও তিনি পদত্যাগ করছেন না। উল্টো পেছনের তারিখে একের পর এক প্রকল্প এবং অন্যান্য কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন।’
সামাজিক মাধ্যমে সমন্বয়কদের এই আল্টিমেটামের পর শিক্ষার্থীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি না তুলে এভাবে পদত্যাগের দাবি কেন তোলা হচ্ছে সেটার স্পষ্ট কারণ জানতে চান। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে কয়েক ঘণ্টা পর ফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে সমন্বয়ক পরিষদ।
এতে উল্লেখ্য করা হয়, দেশ ‘স্বাধীনের’ পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলে ফিরতে শুরু করে। ইতোমধ্যে অনেকাংশে ক্যাম্পাসে চলে এসেছেন। আমরা ভিসি নিয়োগ হওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে ডিনদের সাথে বসে ক্লাস চালু করতে তার সাথে বারবার যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেছি। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এখন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান। তিনি চাইলে ডিনদের সাথে মিটিং করে ক্লাস চালু করে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো ফোনই পিক করেন না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, পেছনের তারিখে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।
সমন্বয়কদের এই পোস্টের পরও সমালোচনা থামেনি। শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত চালুর জন্য রেজিস্ট্রারকে সপদে রাখার পক্ষে-বিপক্ষে মত দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে সমন্বয়ক পরিষদ বাতিলের দাবিও তোলেন। এমন বিতর্কের মাঝেই সকালে পদত্যাগ করেন ড. তারিকুল হাসান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত