-04_12.gif)
মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সিলেট নগরবাসী। রাত-দিন মশার উপদ্রবে নাভিশ্বাস মানুষের। প্রতিবছর শীত মৌসুমের শুরুতে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হলেও এবার তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। নগরবাসীর পক্ষ থেকে মশক নিধনের দাবি জানানো হলেও নগরভবন কর্তৃপক্ষ ছিলেন নিরব। তবে অবশেষে মশক নিধনে মাঠে নামছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দু’মাসব্যাপী মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। সকালে নগরীর ১নং ওয়ার্ডের দরগাহ গেইট এলাকায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, প্রতিবছরের মতো এবারও নগরীর ২৭ ওয়ার্ডে একযোগে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মশার ঔষধ ছিটানোর পাশাপাশি নর্দমা ও ঝোঁপঝাড় পরিস্কার করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের এই উদ্যোগের সফল কয়েকদিনের মধ্যে নগরবাসী পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, দুদিন আগে থেকে সিসিকের পক্ষ থেকে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই দুদিন অফিস ও আদালতের মশক নিধন করা হয়। আর গতকাল শনিবার থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মহানগরীতে দু’মাস চলবে মশক নিধন কার্যক্রম।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান সফল করতে সিলেট মহানগরবাসির সহযোগিতা প্রয়োজন। সিসিকের কর্মীরা নির্দিষ্ট স্থান থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে থাকেন। নগরবাসী নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেললে নগর পরিচ্ছন্নতার কাজ আরো দ্রুত সময়ে করা সম্ভব হবে। কোন অবস্থাতেই বাসা-বাড়ির আশপাশের খোলা স্থান, ড্রেন বা ছড়ায় আবর্জনা না ফেলতে নগরবাসির প্রতি আহবান জানিয়ে সিসিক মেয়র আরও বলেন, মশক নিধন অভিযানে ফগার মেশিন ও স্প্রে দ্বারা ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। বিশেষ করে ডেঙ্গু মশার উৎস অনুসন্ধান ও নিধনে নাগরিকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ ডেঙ্গু বাসা বাড়ির ভেতরের বিভিন্ন স্থানে বংশ বিস্তার করে। ফলে বাসা-বাড়ি নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গুর উৎসের সন্ধান পেলে দ্রুত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানোর অনুরোধ করেন মেয়র।
বিডি প্রতিদিন/এএম
