চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত চৌধুরী নিশাত (২৩)। তিনি গত ২১ জানুয়ারি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহতাবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন। অন্যজন নগরীর একটি পোশাক কারখানার প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত সুলতান আহমদ। তিনি পটিয়া উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় শনিবার ভোর সাড়ে সাতটার দিকে পিকআপ ভ্যানের চাপায় নিহত হন।
জানা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত চৌধুরী নিশাত টানা ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শনিবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি মারা যান। নুসরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া গ্রামের মৃত কবির হোসেন চৌধুরীর মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এক কন্যা সন্তানের জননী নুসরাত গত ২১ জানুয়ারি সকালে পরীক্ষা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ভাটিয়ারি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। মাথায় গুরুতর আঘাত লেগে কোমায় চলে যান নুসরাত। অস্ত্রোপচার শেষে প্রথমে নুসরাতকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়। দুদিন আগে তাকে চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অন্যদিকে জেলার পটিয়া উপজেলায় পিকআপ ভ্যান চাপায় সুলতান আহমদ (৩০) নামে নিহত এক মোটরসাইকেল আরোহী শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার মনসা চৌমুহনী এলাকায় এ দুর্ঘটনার শিকার হন। নিহত সুলতান আহমদ বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডী এলাকার আহমদ মিয়ার ছেলে। তিনি নগরের একটি পোশাক কারখানায় প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতেন।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এবিএম মিজানুর রহমান জানান, কক্সবাজারগামী একটি পিকআপ ভ্যান (চট্টমেট্টো-অ-১১-০৫৭৭) উল্টে মোটরসাইকেল আরোহী সুলতানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন