চট্টগ্রামের পটিয়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চারজন এবং সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে একজনসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ১৬ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৮টায় পটিয়া উপজেলার ভাইয়ার দিঘীর পাড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে একটি কক্সবাজারমুখী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসটির ৩ জন আরোহী এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে মাইক্রোবাসের চালক মো. সাকিব ছাড়া অন্য তিনজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মিজানুর রহমান বলেন, সকালে কক্সবাজারগামী সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, পটিয়া থেকে ১১ জনকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। তারা হলেন আলী আহমদ (৪০), ফরহাদ (২৫), ইরফান (৩৫), আহমদ হোসেন (৫৫), রাশেদুল ইসলাম (৩২), হাসান (২৫), দিলীপ (৫০), নাসির উদ্দিন (৪৫), তৌকির আহমদ (১৫), সাকিব (২২) এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী একজন। এদের মধ্যে মাইক্রোবাস চালক সাকিবকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। তিনি সাতকানিয়ার নতুন হাট এলাকার ইছাক মিয়ার ছেলে। আহতদের আরও ৪-৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি ট্রাককে সৌদিয়া পরিবহনের বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়। আজ ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে সীতাকুন্ডের বড় কুমিরা মাজার গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মো. জসীম উদ্দীন জানান, ট্রাকচালকের নাম মো. আনোয়ার (৪৫)। তার বাড়ি বগুড়ায়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল