দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে কর্ণফুলী নদীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান ও তৌহিদুল আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
উচ্ছেদের শুরুতে বন্দর এলাকার লাইটার জেটি এলাকার ৫টি অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকশ' পুলিশ, র্যাব সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মী উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত জরুরি সভায় সোমবার থেকে অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৬ অগাস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেয়। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ অর্থের অভাবে এতদিন বাস্তবায়ন করা যায়নি। কিন্তু এখন অর্থের বিষয়টি ভূমিমন্ত্রী থেকে আশ্বাস পেয়েছি। তাই আমরা আগামী সোমবার থেকে উচ্ছেদ অভিযানে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘শুক্রবার থেকে শুরু হবে কর্ণফুলী নদীর সীমানা পিলার নির্ধারণ কাজ। স্থানীয় পর্যায়ে করা হবে মাইকিং।’
বিডি-প্রতিদিন/০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব