চট্টগ্রামে এসএসসি পরীক্ষার প্রথমদিনে পরীক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া সেই আট কেন্দ্র সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। এতে নতুন আরো আটজনকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়ার অফিস আদেশ জারি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পাওয়া শিক্ষকরা এসএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালার ১৪ (ট) ধারা অমান্য করেছেন। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিবদের প্রতি জরুরি নির্দেশনার ১১ ও ১২ ধারা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছেন। এ জন্য তাদের অব্যাহতি দিয়ে নতুন কেন্দ্র সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ডা. খাস্তগীর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের সাহেদা আক্তারকে অব্যাহতি দিয়ে সহ-প্রধান শিক্ষক ও এফ এম ইউনূছকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মিউনিসিপ্যাল সিটি করপোরেশন মডেল বিদ্যালয় ও কলেজের শাহেদুল কবির চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়ে গণিত বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হককে, হালিশহরে গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের মো. রফিকুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে চট্টগ্রামের লেফটেন্যান্ট জি এম মুশফিক বীর উত্তম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে, কক্সবাজারের উখিয়ায় পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের আজিজুল এহসান মানিককে অব্যাহতি দিয়ে সহ কেন্দ্রসচিব মো. ইদ্রিছ মিয়াকে, কক্সবাজারের উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রোকেয়া খানমকে অব্যাহতি দিয়ে সহপ্রধান শিক্ষক ফাতেমা জাহানকে, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাসির উদ্দিনকে অব্যাহতি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নাজিম উদ্দিনকে এবং কক্সবাজারের পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আবুল হাশেমকে অব্যাহতি দিয়ে সহকেন্দ্র সচিব আব্দুল কাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া রবিবার নগরীর পতেঙ্গা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ওবায়দুল হককে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দক্ষিণ হালিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইসমাইলকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সাতটি পরীক্ষাকেন্দ্রে কিছু পরীক্ষার্থীকে এক বছর আগের সিলেবাসে প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এসব কেন্দ্রের কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের সিলেবাসে প্রণীত প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। এসব কেন্দ্রগুলো হলো-চট্টগ্রাম নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল, পতেঙ্গা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, হালিশহরের খাজা গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয় ও ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কক্সবাজারে পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল