হাটহাজারীর পূর্ব মেখলে শিশু জুলি আক্তার (১০) কে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আমির হোসেন প্রকাশ জামাল নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. মোতাহির আলী এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর ৯(২) ধারায় ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একই রায়ে আদালত আমির হোসেনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় অপহরণের দায়ে ৭ ধারায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আমির হোসেন ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন সাপমারা ফকিরের টিলা এলাকার ওমর আলীর ছেলে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আবু নাসের বলেন, ধর্ষণ, হত্যা ও অপহরণের দায়ে পৃথক ধারায় আসামি আমির হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৭ মে হাটহাজারীর দক্ষিণ পূর্ব মেখল এলাকার খলিল চৌধুরীর বাড়িতে ধর্ষণের পর হত্যা শিশু জুলি আক্তারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জামাল নামে একজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন জুলির ভাই আবদুর রহিম। পরে পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, জামালের আসল নাম আমির হোসেন। আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় আমির হোসেন। পুলিশ তদন্তশেষে ২০০৮ সালের ২৫ আগস্ট চার্জশিট দেয়।এর পরের বছর ৮ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। এ মামলায় মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। সাক্ষ্য শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযাগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই আইনের ৯ (২) ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন