ভারতীয় মেগা সিরিয়াল ‘ক্রাইম পেট্রোল’ দেখেই করা হয় গৃহবধূ হাসিনা বেগমের খুনের পরিকল্পনা। শুধু খুনের পরিকল্পনা নয় প্রমাণ ধ্বংসের যাবতীয় কার্যও সম্পাদন করেন অনেকটা পেশাদার অপরাধীর মত। এ খুনের আদ্যপান্ত শুনে ‘চক্ষু যেন চরকগাছ’ হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)’র চৌকষ পুলিশ কর্মকর্তাদেরও। কিন্তু এতো পরিকল্পনা পরও শেষ রক্ষা হয়নি ‘খুনি’ মো. ফরহাদ হোসেন লিমনের। পুলিশের চালের কাছে ধরাশায়ী হয়ে শেষ পর্যন্ত তার স্থান হয়েছে শ্রীঘরে।
সিএমপি’র আকবর শাহ থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভাবিকে খুনের অপরাধে গ্রেফতার হওয়া লিমন পেশাদার অপরাধী না হলেও তার খুনের পরিকল্পনা ও প্রমাণ ধ্বংসের কর্মকাণ্ড দুর্ধর্ষ অপরাধীকেও হার মানিয়েছে। ক্রাইম পেট্রোল দেখেই ভাবিকে খুনের পরিকল্পনা করে। এ খুনের রহস্য উম্মোচনে অনেক খাটঘর পুড়ে রহস্য উম্মোচন সমর্থ হয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান- খুনের কিছুদিন আগে ভাবি হাসিনার থেকে টাকা চায় দেবর লিমন। টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করায় ভাবির উপর ক্ষুদ্ধ হয়। পরে ক্রাইম পেট্রোল দেখে খুনের পরিকল্পনা করে। খুনের দিন টেলিভিশন দেখার নাম করে হাসিনা বেগমের বাসায় যায় লিটন। রাতে হাসিনা ঘুমিয়ে গেলে তাকে খুন করে মরদেহ লুকিয়ে রাখে এবং স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ খুনের ঘটনা চুরি হিসেবে চালিয়ে নিতে ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো করে দেয় করে দেয়।
ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, লিমনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ লুট হওয়া কানের দুল, চেইন, ব্রেসলেটসহ স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করে। সাউন্ড বক্সের ভেতরে লুকানো ছিল এসব সামগ্রী।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে হাসিনা বেগমকে (৩২) হত্যা করে ফরহাদ হোসেন লিমন। এ ঘটনায় হাসিনা বেগমের ভাই মো. মানিক আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার