প্রতিদিন সকালে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের বাসা থেকে আশরাফ আলী রোড-চামড়াগুদাম-নতুন ব্রিজ হয়ে পটিয়ার মেহেরআটি সরকারি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মস্থলে যান প্রধান শিক্ষক এ্যানি বড়ুয়া। কিন্তু রবিবার সকালে তিনি নিত্য দিনের পথ দিয়ে না গিয়ে গেলেন ব্রিকফিল্ড রোড হয়ে কোতোয়ালি। নিজের অপর এক সহকর্মীসহ এক সঙ্গে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্যই তিনি এ পথে স্কুলে যাত্রা করেন।
এ্যানি বড়ুয়ার মামা দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘স্রষ্টা কার মৃত্যু কিভাবে রাখছেন তা কেউ বলতে পারবে না। বড়ুয়া ভবনের পূর্বে আরও কয়েকটি ভবনের পরই এ্যানি বড়ুয়ার বাসা। তিনি প্রতিদিনই স্কুলে যান আশরাফ আলী রোড-চামড়াগুদাম-নতুন ব্রিজ হয়ে। কিন্তু রবিবার তিনি গেলেন কোতোয়ালি হয়ে। মনে হয় মৃত্যুই তাকে কাছে টানলো। সব আল্লার ইচ্ছা।’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের পাথরঘাটার ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনে গ্যাসের পাইপ লাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হন একই পরিবারের দুই জনসহ সাতজন। এ ঘটনায় আহত হয় ১০ জন। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়।
জানা যায়, এবার পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল এ্যানি বড়ুয়ার। কিন্তু একটি বিকট আওয়াজের দুর্ঘটনা সব কেড়ে নিল। আর দায়িত্ব পালন করা হল না তার। স্বামী পলাশ বড়ুয়া ও দুই ছেলে অভিষেক বড়ুয়া ও অভিজিৎ বড়ুয়াকে নিয়ে পাথরঘাটায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। পলাশ বড়ুয়া পটিয়ার শিকলবাহায় পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী। বড় ছেলে অভিষেক এ বছর জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ছোট ছেলে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে।
পলাশ বড়ুয়া বলেন, ‘প্রতিদিন সে জামা পড়ে স্কুলে গেলেও পিএসসি পরীক্ষার প্রথম ডিউটিতে পছন্দের শাড়ি পড়ে ডিউটিতে যাচ্ছিল। ও আগে বের হয়, আমি পরে বের হচ্ছিলাম। এর মধ্যেই শুনি এ দুর্ঘটনা। এক নিমিষেই সব শেষ।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার