চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বান নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ভোটারদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এটা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দেখেছি, মানুষ জেগে উঠেছে। মানুষের জোয়ারের কাছে ইভিএম ষড়যন্ত্র খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে। ভোটে কোনো কারচুপি হলে আমরা জনগণকে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব।
শনিবার দুপুরে নগরীর জামালখান দাওয়াত রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি। অনেক হামলায় আক্রান্ত হয়েছি। কিন্তু জনগণের ভালোবাসা সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। অত্যন্ত দুঃখজন ঘটনা হচ্ছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, তাদের বাড়িবাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গত পরশুদিন বোয়ালখালী পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানসহ আমাদের দলের নির্বাচনের মূল কাজ যারা করছেন তাদেরকে আসামি করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ মামলা করেছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে আবু সুফিয়ান বলেন, আমি কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। একজন রাজপথ থেকে উঠে আসা কর্মী হিসেবে আমার কমিটমেন্ট হচ্ছে জনগণের প্রতি। রাজনীতিতে এসেছি একটা কমিটমেন্ট নিয়ে। সেটা হচ্ছে- দেশের জন্য, জনগণের জন্য কিছু করার প্রচেষ্টা। এই আবু সুফিয়ানকে যেভাবে রাজনীতির শুরু থেকে দেখে এসেছেন সংসদ সদস্য যদি হতে পারি, সেই আবু সুফিয়ানকেই আপনারা পাবেন।
তিনি বলেন, মানুষের কাছে গেছি, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষের মধ্যে উচ্ছাস আছে। তবে আতঙ্কও আছে যে তারা ভোট দিতে পারবেন কিনা। আমরা সেই আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা করেছি। প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি, নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। উনারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, জনগণ ভোট দিতে পারবে। আমরা তাদের আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে চাই।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আমার আসনসহ বাংলাদেশের মোট ৬টি আসনে ইভিএমে নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটি আসনে আমিসহ আমাদের সব প্রার্থীকে হারানো হয়েছে। সেজন্য এই ইভিএম এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এই শঙ্কার কথা আমরা কয়েকদিন আগে প্রধান নিবাচন কমিশনারের কাছে তুলে ধরেছিলাম। তিনি জবাবে একটি হাস্যকর কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন- ‘আমাদের মেশিন নাকি ইন্ডিয়ার চেয়ে উন্নততর।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজি, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিম উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/ফারুক তাহের