সমুদ্রগামী জাহাজের মাধ্যমে যাতে ‘করোনাভাইরাস’ ছড়াতে না পারে, সেই লক্ষ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স শিপসহ একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নাবিকের পরির্চযায় বন্দর মেডিক্যাল বিভাগের বিশেষ টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে মৌলিক সুস্থতা অনুশীলনের নানাবিধ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বন্দরে আসা জাহাজের মাস্টারকে পোর্ট লিমিটে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা দিতে হবে যে, ওই জাহাজে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত নাবিক আছে বা নেই। এছাড়া পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা জাহাজগুলোতে শতভাগ নাবিকের পোর্ট হেলথ অফিসার কর্তৃক স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ ঘোষণা করলেই বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে।
বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম শফিউল বারীর দফতরে এক জরুরি সভায় সমুদ্রপথে করোনা ভাইরাস প্রবেশ প্রতিরোধে জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং এজেন্ট কর্তৃক জাহাজ বহির্নোঙরে আসার সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে যথাযথ ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাহাজ থেকে হাসপাতালে দ্রুত রোগী স্থানান্তরে জন্য বন্দরের অ্যাম্বুলেন্স শিপ প্রস্তত রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, নোংরা হাত দিয়ে নাক, কান ও মুখমণ্ডল স্পর্শ না করা, আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি বিষয়ে সতর্কীকরণ প্রচারণার নিমিত্তে নৌ, ট্রাফিক, নিরাপত্তা বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বন্দর ইমিগ্রেশন ডেক্সে পোর্ট হেলথ অফিসারের ত্তত্ত্বাবধানে একটি মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। কোনো নাবিক বাইরে যেতে চাইলে মেডিক্যাল স্ক্রিনিংয়ে সুস্থতা সাপেক্ষেই শুধু অনুমতি দেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ-ফারুক তাহের