চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ও খিরাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ এবং ২টি ইটভাটার মালিককে ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদফতরের সহায়তায় পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান। অভিযানে মেসার্স খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং, মেহেরুজ্জোহা রহ. ব্রিকস, মেসার্স এবি ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং, শাহ আমানত ব্রিকস এবং নেক্সাস ব্রিকস নামের ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়। এসব ইটভাটার কাঁচা ইট, চুলা ও চিমনি ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুযায়ী মেসার্স এবি ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং এর মালিককে ৪ লাখ ৯৯ হাজার এবং মেসার্স শাহ আমানত ব্রিকস এর মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান বলেন, উচ্ছেদকৃত ইটভাটাগুলো জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে প্রদত্ত লাইসেন্স, পরিবেশগত ছাড়পত্র বা অবস্থান নির্ধারণের ছাড়পত্র, বন বিভাগের ছাড়পত্র ও বিএসটিআইয়ের মানপত্র নেই। তাছাড়া কৃষি জমি ও পাহাড় থেকে মাটি নিয়ে তারা ইট উৎপাদন করছিলো। কোনো কোনো ইটভাটার ৫০ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই এসব ইটভাটাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী ফটিকছড়ি উপজেলায় ৪১টি ইটভাটা অবৈধ। পর্যায়ক্রমে সবগুলো ইটভাটা উচ্ছেদ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার