চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সাতটি পয়েন্ট ও সড়কে ঝটিকা পরিদর্শন করেন। নগরীর জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেইট, প্রবর্ত্তক মোড়, চকবাজার মোড়, সার্সন রোড, লালখান বাজার ও টাইগারপাস মোড় পরিদর্শনের মাধ্যমে চসিকের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও নগরীর পরিবেশ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেন।
এসব মোড় পরিদর্শনকালে দেখা যায় কোনো কোনো মোড়ে দোকানিদের ফেলা ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে, আবার কোনো কোনো স্থানে চসিকের পরিচ্ছন্ন সেবক ও কর্মীরা ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করেনি, কোনো গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবড়ো-থেবড়োভাবে আছে গণপরিবহন, রিকশা দাঁড় করিয়ে রেখে যানজটের সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব অব্যবস্থাপনা দেখে প্রশাসক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মাধ্যমে যত্রতত্র ফেলা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার এবং যানজট নিরসনে সড়কের ওপর এলোমেলো করে রাখা যানবাহন ও গণপরিবহনগুলোকে সারিবদ্ধভাবে রাখার উদ্যোগ নেন।
চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, নগরবাসীকে বার বার অনুরোধ করার পরও কিছু মানুষ নাগরিক উপলদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে। তারা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। যেমন চকবাজার গুলজার মোড়ের বই দোকানিরা। তারা ছেড়া কাগজপত্র ফেলেছে রাস্তার ওপর। অথচ এর পাশে বসে তারা ব্যবসা পরিচালনা করছে। এই নোংরা পরিবেশে কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব। দেখা যাচ্ছে যে, এভাবে নগরীর রাস্তার পাশে যারা ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করছে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য শেষ করে যাওয়ার সময় আবর্জনা গুলো যত্রতত্র ফেলে চলে যায়। এতে করে নগরজুড়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড নোংরা মানসিকতার পরিচয় বহন করে। তাই নগরবাসীকে অনুরোধ করছি ‘আপনারা নিজেরা পরিষ্কার থাকুন, আপনার আশপাশ পরিষ্কার রাখুন।’
তিনি বলেন, সকালে কর্মজীবী মানুষ তার গন্তব্যের দিকে ছুটে, এটা স্বাভাবিক। অথচ এলোমেলো করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোড়গুলোতে গণপরিবহন, রিকশা দাঁড়িয়ে থাকলে যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে মানুষের কর্মঘণ্টার অপচয় হয়। ঠিক সময়ে কার্যসম্পাদন করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। আশাকরি ট্রাফিক পুলিশ বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিবেন। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ওয়াসার পানির লিকেজ বন্ধ ও কাটা রাস্তা দেখে প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কগুলো যান এবং জনগণের চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার আহবান জানান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
