চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী নেই পাচঁ রাজনৈতিক দলের। এই পাচঁ রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে নেতা-কর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অনেকেই মন্তব্য করছেন, বড় দলের মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে নানা কৌশলী মাঠে থাকার জন্য ‘ডামি’ হিসেবেই প্রার্থী হয়েছেন। তাছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে সাংগঠনিক ভিত্তিও নেই। সে কারণে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলর প্রার্থী দেয়া হয়নি।
তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে ছোট দলের মেয়র প্রার্থীরা বলছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে পারলে মেয়র নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, চসিক নির্বাচনে ছোট পাচঁ রাজনৈতিক দলের শুধু মেয়র প্রার্থীদের রয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর (আম প্রতীক), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার প্রতীক) এবং ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলাম ( হাতপাখা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী।
তাছাড়া নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, ধানের শীষ নিয়ে বিএনপি থেকে নির্বাচন করছেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। এবার চসিকের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীসহ ২২৬ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৩ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে (পুরুষ) ১৭২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ফরিদ ও মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচনী সেলের প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদ বলেন, প্রতিটি দলের এক, একটা কৌশল থাকে। নানা কৌশলে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মতৎপরতা চালিয়ে যান। আওয়ামী লীগ একটা বড় দল। এখানে ছোট দলগুলোর মেয়র প্রার্থী থাকলেও কাউন্সিলর পদে কোন প্রার্থী নেই। এসব দলের ওয়ার্ড পর্যায়ে কোন সাংগঠনিক কমিটিও হয়তো নেই। তবে অনেক রাজনৈতিক দল নানা কৌশলী বিভিন্ন ভূমিকাও রাখেন বলে জানান তিনি।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার প্রতীক) বলেন, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সাংগঠনিক কমিটি রয়েছে। তবে দলের নানা কৌশলগত কারণে ওয়ার্ড পযার্য়ে প্রার্থী দয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মেয়র প্রার্থী এম এ মতিন (মোমবাতি) বাংলাদেশ প্রতিদিন বলেন, প্রচারণা শুরু করেছি। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একাধিকবারও গেলাম। এটি পরীক্ষামূলকভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছি। তাই কাউন্সিলর পদে দলের কোন প্রার্থী দেয়া হয়নি।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে শক্তিশালী সাংগঠনিক কমিটি রয়েছে। নেতা-কর্মীরা মাঠেও কাজ করছেন মেয়র প্রার্থীর বিষয়ে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে মেয়র হবো।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা