চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে এবার মেয়রসহ ২৩৬ জন প্রার্থী নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। এখানে সংরক্ষিত ১৪ ওয়ার্ড এবং সাধারণ ৪১ ওয়ার্ডে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭২ জন প্রার্থী নির্ঘুম প্রচারণার মাঠে রয়েছেন।
এই নির্বাচনে পৃথকভাবে প্রতি ওয়ার্ডে ২ থেকে সর্বোচ্চ ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও। তবে নির্বাচনী মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করতে কমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন বলে জানান চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিকের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে, সারাদিন উৎসবমুখর পরিবেশে নিয়মতান্ত্রিকভাবে শৃঙ্খলা মেনেই প্রার্থীরা প্রচারণায় রয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও মাঠে রয়েছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দলীয় নেতা-কর্মী বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করছেন। বিএনপির একক কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এতে একের অধিক প্রার্থী থাকায় নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে জয়-পরাজয় বিবেচনায় নানা ধরণের প্রশ্ন উঠেছে।
দলীয় ও নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চসিকের নির্বাচনে এবার মেয়র পদে ৭ জন নির্বাচন করছেন। এদের মধ্যে দুই হেভিওয়েট দলের প্রার্থী রয়েছেন আওয়ামী লীগের মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন।
অন্যদিকে ছোট চারটি দলের মধ্যে প্রার্থী রয়েছেন ইসলামিক ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় মহাসচিব এমএ মতিন, ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আবুল মনজুর। অন্যজন হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী।
এবার নগরীর ১৪টি সংরক্ষিত এবং ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ছোট দলগুলোর কোন কাউন্সিলর প্রার্থী নেই। চসিকের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীসহ ২৩৬ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে (পুরুষ) ১৭২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর