১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:২৯

অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পরও ছেড়ে দিল পুলিশ!

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পরও ছেড়ে দিল পুলিশ!

সংঘর্ষ চলাকালে অস্ত্রসহ মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে পাঠানটুলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও বিদ্রোহী আবদুল কাদের ওরফে মাছ কাদের সমর্থকদের সংঘর্ষ চলাকালে অস্ত্রসহ আটক করা হয় মেহেদী হাসান ওরফে জিয়া নামে এক সন্ত্রাসীকে। আটকের পর তাকে পুলিশ কার্যালয়েও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেয়া হয় জিয়াকে। অস্ত্রসহ আটক হওয়া এক আসামিকে ছেড়ে দেয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে।

তবে এ ধরণের ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে বাদীপক্ষের কাউকে কাউকে আটক করা হলেও যাচাই বাছাই শেষে কয়েকজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অস্ত্রসহ আটকের পর কাউকে ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হবে।’

জানা যায়, চসিক নির্বাচনে প্রচারণাকালে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী আবদুল কাদের ওরফে মাছ কাদের গ্রুপের সমর্থকরা। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েকশ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। 

সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় বাহাদুর সমর্থক হিসেবে পরিচিত জিয়া কাপড় মোড়ানো অস্ত্র নিয়েই মহড়া দেয়ার সময় অস্ত্রসহ আটক করা হয়। ঘটনার সময় কয়েকটি গণমাধ্যমের সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যায় জিয়াকে কাপড় মোড়ানো অস্ত্র দিয়ে ঘোরাফেরা করতে। তাকে আটকের পর থানায় নিয়ে যাওয়ার ওঠে আসে মাধ্যমে। অথচ আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়া হয় জিয়াকে।

ওই দিনের ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ঘটনার দিন প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে দৌড়া-দৌড়ি করে জিয়া। তিনি ফাঁকা গুলিও করেন। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হলেও পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।’

জিয়া এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী বাহাদুরের সেকেন্ড ইন কমান্ড মোস্তাফা কামাল টিপুর ডান হাত হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল ও বেদখলের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি নগরীর পাঠানটুলী এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী আবদুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আজগর আলী বাবুল নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী। আহত হন আরও একজন। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মাছ কাদেরসহ ২৬ জনকে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর