১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৫২

চসিক নির্বাচনে প্রতিশ্রুতির ‘ফুলঝুরি’ কাউন্সিলর প্রার্থীদের

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চসিক নির্বাচনে প্রতিশ্রুতির ‘ফুলঝুরি’ কাউন্সিলর প্রার্থীদের

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের মাঠে থাকা প্রার্থীরা ভোটারদের মাঝে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিয়ে আসছেন প্রচার-প্রচারণায়। প্রতিটি এলাকাকে মাদকমুক্ত সমাজ গড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, বিনোদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় মিনি স্টেডিয়াম ও শিশুপার্ক তৈরি করা, প্রতিটি এলাকাকে স্বাস্থ্যসেবাসহ নানামুখী আরো উন্নয়নকে গতিশীল করতে এক হয়ে কাজ করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করছেন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

তবে এবারের চসিক নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি ও দলীয় প্রতীক নয়, স্ব স্ব প্রার্থীদের যোগ্যতাও বিবেচনা করবেন বলে জানান একাধিক ভোটার।

চসিক নির্বাচনে ৯ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুল আবছার মিয়া বলেন, শুরুতেই এই ওয়ার্ডকে সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। যুব সমাজের বিনোদন, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ব্যবস্থাপনাকে উন্নয়ন করব। একটি পরিকল্পিত আধুনিক মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলব। শিক্ষার হার ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে শতভাগ উন্নত করার পদক্ষেপ নেব। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ও খাল ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি মাদকমুক্ত গড়ে তুলে ওয়ার্ড ও পাহাড়ি এলাকার জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

চসিকের ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম আশরাফুল আলম বলেন, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত ওয়ার্ড গড়ে তুলবো। শিক্ষার উন্নয়নে একটি টেকনিক্যাল স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া ছাড়াও স্থায়ী ওয়ার্ড কার্যালয় এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, গতবার জায়গার অভাবে ডিজিটাল কেন্দ্র (আইটি) প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। এলাকার ছাত্র ও যুব সমাজের উন্নয়নে তা নির্মাণের জন্য এবার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব।

চসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোবারক আলী বলেন, রাস্তা প্রশস্ত ও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখব। এই ওয়ার্ডে ১১৭টি রাস্তার উন্নয়ন কাজ আমি সমাপ্ত করেছি। এই এলাকায় আবর্জনা ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছি। ওয়ার্ডের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পেরেছি।

খুব শিগগিরই অত্র ওয়ার্ডকে শতভাগ উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে রুপান্তরিত করা হবে। তাছাড়া বিবিরহাট কাচাবাজারকে আধুনিকায়ন করে উন্নয়নের ধারা চলমান রাখবে বলে জানান তিনি।

চসিকের ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হাজি নুরুল হক বলেন, নির্বাচিত হলে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকার অভিশাপ যানজট সমস্যার সমাধানে শাহ আমানত সেতুর পাশে সরকারি জায়গায় একটি ট্রাক টার্মিনাল স্থাপন করব। চাক্তাই শিশু শিক্ষা নিকেতন ৬তলা ভবন নিমার্ণ এবং একই জায়গায় বর্তমান ফায়ার সার্ভিস এবং সরকারি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে এবার মেয়রসহ ২৩৬ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। এখানে মেয়র ৭ জনসহ সংরক্ষিত ১৪ ওয়ার্ড এবং সাধারণ ৪১ ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭২ জন প্রার্থী রয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর