দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন থেকে পেশাজীবী জনতার সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে রবিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিবাদ মানববন্ধন। এতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সহ-সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যা চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা বরদাশত করবে না। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানাবো।’
দেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আরো বৃহত্তর আঙ্গিকে পেশজীবী-জনতার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে হত্যাচেষ্টা মূলত দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা শিল্প গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র। প্রকারান্তরে তা রাষ্ট্র শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করার শামিল। গণমাধ্যমের বৃহৎ প্রণোদনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানানো দেশের সকল গণমাধ্যমকর্মীর দায়িত্ব। তিনি করোনাকালীন সাংবাদিক প্রণোদনা, হকারসহ গণমাধ্যমের প্রতিটি ক্ষেত্রে ও সামাজিক-মানবিক খাতে বসুন্ধরা এমডির সহায়তার বিষয়টি সমাবেশে তুলে ধরেন।
চট্টগ্রামে কর্মরত ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সাংবাদিকরা এ সমাবেশ ও মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, বিএফইউজে’র সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলানিউজের ডেপুটি এডিটর তপন চক্রবর্তী, কালের কণ্ঠের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, দ্য ডেইলি সানের ব্যুরো চিপ নূর উদ্দিন আলমগীর মিলন, কালের কণ্ঠের ডেপুটি চিফ শিমুল নজরুল, নিউজ টোয়েন্টফোরের সিনিয়র রিপোর্টার শেখ জায়েদ, সিইউজের প্রতিনিধি ইউনিটের চিফ সাইদুল ইসলাম ও ডেপুটি চিফ সোহেল সরওয়ার।
বক্তারা বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একইসঙ্গে এ হামলার চক্রান্তকারীরা যত ক্ষমতাধর এবং যে দলেরই হোক না কেন আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সাংবাদিকদের কল্যাণে বসুন্ধরা গ্রুপের ভূমিকা তুলে ধরে রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি অকাল প্রয়াত চট্টগ্রামের আলোকচিত্র সাংবাদিক দিদারুল আলমের পরিবারকে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউএজ) মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি। এখানেই শেষ নয়, করোনায় প্রয়াত সাংবাদিকদের পরিবারকেও অনুদান দিয়েছে এ শিল্পগ্রুপ। পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মানবিকতার সহযোগিতার হাতও বাড়িয়েছে দেশজুড়ে।
বক্তারা বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়া ৭০ হাজার পরিবারের প্রায় ৫ লাখ মানুষের ভাগ্য এ শিল্পগ্রুপের ভাগ্যের সঙ্গে জড়িত। এ গ্রুপের এমডি’র বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র, মামলা, এমনকি হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে দেশবিরোধী একটি চক্র বসুন্ধরা শিল্পগ্রুপের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা এদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চায়। লাখো মানুষের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পথ বন্ধ করতে চায়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক