চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখা থেকে জালিয়াতি করে দুই কোটি ৮৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনের অপচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সার্ভেয়ার খাজা উদ্দিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দীনের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে নগরের কোর্ট বিল্ডিংয়ের নিচে হকার মার্কেটের সামনে থেকে খাজা উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গত সোমবার ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনের অপচেষ্টায় জড়িত একটি চক্রের তিন সদস্যকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা। তারা হলেন- উখিয়ার বাসিন্দা জোহুরা, তার বাবা উসমাণ গণি ও বাঁশখালীর এসি ল্যান্ডের চেইনম্যান নেজামুল করিম। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এসআই) মুমিনুল হাসান বলেন, এলএ শাখার সার্ভেয়ার খাজা উদ্দিনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারের পর গতকাল সাতদিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাছাড়া এ মামলায় গ্রেফতারকৃত জোহুরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার জোহুরা একটি রেজিস্টার্ড পাওয়ার অব এটর্নি মূলে এলএ শাখায় হাজির হয়ে চেক উত্তোলনের আবেদন করেন। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা পাওয়ার দাতাদের পরিচয় ও তার সঙ্গে উক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন উত্তর দেন। তিনি বলেন, পাওয়ার অব এটর্নি দাতাদের তিনি চেনেন না। তার স্বামীর পক্ষে এ দলিল সম্পাদন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে পাওয়ার দাতাদের অনুসন্ধান করা হয়। দলিলে বর্ণিত ঠিকানায় আবুল কালাম শামসুদ্দিন ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল নামের দুইজন লোকের সন্ধান পাওয়া যায়। তারা জানান, জোহুরা নামের কাউকে জমির ক্ষতিপূরণ উত্তোলনে ক্ষমতা অর্পণ করেননি। জোহুরার এলএ শাখা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে চেক উত্তোলনের অপচেষ্টার বিষয়টি কর্মকর্তাদের নজরে আসে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অভিযোগ আকারে জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম