চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বারিক বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কটির নাম ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’ নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার দুপুরে চসিকের আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে ১২তম সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনোরূপ ম্যাচিং ফান্ড ছাড়াই দুই হাজার ৪৯১ কোটি টাকা অনুমোদনের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ চসিক এ সিদ্ধান্ত নেয়। একই সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাকারী জননেতা এম এ হান্নানের কবরে তাঁর কীর্তিগাঁথা সম্বলিত নামফলক স্থাপন ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যাক্তিদের স্মৃতিকে অম্লান রাখতে কৃতিত্বের বিবরণ সম্বলিত স্মৃতিফলক স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
চসিক মেয়র মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও বিভাগীয় প্রধানগণ।
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, গৃহকর নিয়ে নানাধরণের বিভ্রান্তিমূলক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এই ধরণের বিভ্রান্তিতে কর্ণপাত না করে আপনারা আমার উপর আস্থা রাখুন। কোনো কর বৃদ্ধি করার অবকাশ নেই, শুধুমাত্র করের আওতা বৃদ্ধি হবে। অর্থাৎ আগে যে স্থাপনাগুলো ছিলো তা বৃদ্ধি করা হলে উক্ত অংশের কর ধার্য করা হবে। অসংগতি দূর করার জন্য ২টি রিভিউ কমিটির স্থলে আরো ২টি কমিটি গঠন করা হবে। এই রিভিউ কমিটির মাধ্যমে সকল আপিল বিবেচনা করে সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণ করা হবে।
সরকারী বিধি-বিধান অনুসরণ করে যে সমস্ত খাত থেকে চসিকের কর আদায় হয় না, তা চিহ্নিত করে কর আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মেয়র বলেন, আগামী রমজান মাসকে সামনে রেখে বাজার মনিটরিং’র উপর জোর দেয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সসহ ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হবে। এছাড়া অবৈধ বাজার উচ্ছেদের ব্যাপারে চলমান অভিযান জোরদার করা হবে বলে উল্লেখ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন