চট্টগ্রাম নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া মেট্রোরেল নিয়ে সমীক্ষা কাজ আগামী ১৮ মাসের মধ্যে শেষ করা হবে। সোমবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতকালে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর পরই যেসব দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই যুক্ত আছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশকে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার নেপথ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ অবদান রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী এই দেশটি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষভাবে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোইকা’র সহায়তায় প্রকল্পের প্রাথমিক সমীক্ষা কাজে ৫১ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সরকার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত স্বদিচ্ছার কারণে চট্টগ্রাম অচিরেই আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নগরীতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় বিনিয়োগে অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখানে বাস্তবায়ন হচ্ছে বে-টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চল, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প। ২০৪১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশকে উন্নীত হওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে বিনিয়োগ, তথ্য-প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রশিক্ষণ আরও বৃদ্ধি করা দরকার।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন বলেন, চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ। চট্টগ্রাম পাহাড়, নদী, সাগরবেষ্টিত অনন্য নগরী। যেকোনো বিদেশি পর্যটকের সৌন্দর্য দেখে বিমুগ্ধ হবেন। বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী কোরিয়া। দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিখাত পোশাক শিল্পের প্রারম্ভে অবদান রাখতে পারায় গর্ব অনুভব করি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি জেং ইউল লি, প্রফেসর ইলজন চ্যাং, কোইকা’র প্রতিনিধি চ্যাউন কিম, জিং বো চুই, মো জেন কং, চট্টগ্রাম কোরিয়ান এসোসিয়েশন’র চেয়ারম্যান মি. জিনহুক পাইক।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর