দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের শ্রমিক সর্দার মো মাসুদকে তর্কের জেরে সকালে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আর সন্ধ্যায় করা হয় ছুরিকাঘাত। খাতুনগঞ্জের আলোচিত মাসুদ হত্যার সাথে জড়িতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছেন।
এরআগে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন মোজাহের কলোনী থেকে গ্রেফতার করা হয় এ খুনের অভিযুক্ত মো. সোহাগকে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বি-বাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সাইদুল হোসেনকে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানা পুলিশ উদ্ধার করে ঘটনায় ব্যবহার করা ছুরি। শুক্রবার দুপুরে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপি’র কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, ’নিহত মাসুদ ছিলেন লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সর্দার। গত ১৭ অক্টোবর সকালে খাতুনগঞ্জের চাঁন মিয়া গলিতে পিকআপ নিয়ে ঢুকছিল রাসেল। গলির মোড়ে পিকআপ ঢোকানো নিয়ে মাসুদের সঙ্গে কথা তর্কাতর্কি হয় রাসেলের। রাসেল এক সময় দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে সন্ধ্যায় ছয় সাতজনকে নিয়ে মিয়া গলিতে যায়। নিহত মাসুদ তখন সামির ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আড়তে পণ্যের বস্তা তুলছিলেন। রাসেল ও তার সহযোগীরা আড়তে ঢুকে মাসুদকে টেনহিঁচড়ে বের করে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে সাইদুল পকেট থেকে ছোরা বের করে তাকে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। মাসুদ লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত রাসেলসহ কয়েকজন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সন্ধ্যায় খাতুনগঞ্জের চাঁন মিয়া লেনে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুত্বর আহত হন মাসুদ নামে এক শ্রমিক। মঙ্গলবার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দিন পণ্য উঠা নামা বন্ধ রাখে শ্রমিকরা। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় কাজে যোগদান করে শ্রমিকরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল